Published : 25 Sep 2024, 04:55 PM
আন্তর্জাতিক ফুটবলের পাঠ অনেক আগেই চুকিয়ে ফেলা রাফায়েল ভারানে এবার নিলেন আরও বড় সিদ্ধান্ত। একরকম আচমকাই পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারেরই ইতি টেনে দিলেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী এই ডিফেন্ডার।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে বুধবার অবসরের ঘোষণা দেন ৩১ বছর বয়সী ভারানে। গত অগাস্টে ইতালিয়ান কাপে কোমোর হয়ে সাম্পদোরিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারে ৫-৪ ব্যবধানে হেরে যাওয়া লড়াইটি হয়ে রইল পেশাদার ফুটবলে তার শেষ ম্যাচ।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে তিন মৌসুম খেলে গত জুলাইয়ে ইতালিয়ান ফুটবলে পাড়ি জমান ভারানে। এবারই সেরি আ-তে উঠে আসা ক্লাব কোমোতে দুই বছরের চুক্তিতে যোগ দেন তিনি। কিন্তু দলটির হয়ে মিশনের শুরুতেই চোট ছোবল দেয় তার শরীরে।
ইতালিয়ান কাপে ওই অভিষেক ম্যাচে হাঁটুতে গুরুতর আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়ার আগে কেবল ২৩ মিনিট খেলেন ভারানে। পরের পাঁচ ম্যাচে ছিলেন দলের বাইরে। চোটের সঙ্গে লড়াইয়ে হেরে এবার সব কিছুর ইতিই টেনে দিলেন তিনি।
২০১০ সালে ফরাসি ক্লাব লঁসের হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা ভারানে পরের বছর যোগ দেন রেয়াল মাদ্রিদে। সেখানে চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, চারটি ক্লাব বিশ্বকাপ ও তিনটি লা লিগাসহ জিতেছেন ১৮টি ট্রফি। পরে ২০২১ সালে যোগ দেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের অধ্যায়টা অবশ্য সাফল্যময় হয়নি তার।
বিদায়ী বার্তায় ভারানে স্মরণ করলেন গত মে মাসে ইউনাইটেডের হয়ে এফএ কাপ জয়ের স্মৃতি।
“ক্যারিয়ারে আমি হাজার বার ঘুরে দাঁড়িয়েছি, কিন্ত এবার মনে হয়েছে, থেমে যাওয়ার এখনই সময়। ওয়েম্বলিতে শেষ ম্যাচে ট্রফি জয়ের স্মৃতি নিয়ে বুটজোড়া তুলে রাখার এটাই সঠিক সময়।”
পেশাদার ক্যারিয়ারে চারটি ক্লাবের হয়ে খেলেছেন ভারানে। সবচেয়ে বেশি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন তিনি রেয়ালের জার্সি গায়ে। স্প্যানিশ ক্লাবটির হয়ে ৩৬০ ম্যাচে ১৭ গোল ও ৭ অ্যাসিস্ট আছে তার। একশ ম্যাচও খেলেননি আর কোনো ক্লাবের হয়ে।
সব মিলিয়ে ক্লাব ক্যারিয়ারে ৪৮০ ম্যাচ খেলেছেন ভারান। ২১ গোল করার পাশাপাশি অ্যাসিস্ট করেছেন ৮টিতে।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারও বেশ সমৃদ্ধ ভারানের। ২০১৩ সালে ফ্রান্সের হয়ে অভিষেকের পর সময়ের সঙ্গে দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠেন তিনি। ২০১৮ সালে জেতেন বিশ্বকাপ। ২০২০-২১ মৌসুমে পান উয়েফা নেশন্স লিগ জয়ের স্বাদ।
গত ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলার আগে ফ্রান্সের হয়ে ৯৩ ম্যাচে মাঠে নামেন ভারান। ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ফাইনালে টাইব্রেকারে হেরে যাওয়া দলেও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি।
খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টেনে দিলেও কোমোর সঙ্গে সম্পর্ক এখনই শেষ হচ্ছে না ভারানের। তবে কী ভূমিকায় ইতালিয়ান ক্লাবটিতে থাকবেন তিনি, সেটা পরিষ্কার করেননি।
“মাঠের বাইরে নতুন জীবন শুরু হচ্ছে। আমি কোমোর সঙ্গে থাকব। স্রেফ আমার বুট ও শিন প্যাড ব্যবহার করা হবে না। এ বিষয়ে আমি শিগগিরই আরও বিস্তারিত জানাতে মুখিয়ে আছি।”