Published : 02 Dec 2019, 06:11 PM
ঘোর লাগার মতোই ঘটনা সোমবার সকালে কাঠমান্ডুতে ঘটিয়েছেন দিপু। সাতদোবাতোর ইন্টারন্যাশনাল স্পোর্টস কমপ্লেক্সে তায়কোয়ান্দোর ২৯ (প্লাস) বয়সীদের পুমসে ভারতের প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে সোনা জিতেছেন। দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের ত্রয়োদশ আসরে প্রথম সোনার হাসি হেসেছে বাংলাদেশও।
এবারই প্রথম এসএ গেমসে খেলছেন দিপু। অভিষেকটা রাঙিয়ে রাখলেন সোনা জিতে। সেই বছর এগারো আগে যে স্বপ্নের বীজ বুনেছিলেন, তা সত্যি হওয়ার গর্বে বুকটা ফুলে উঠছে তার।
“নিজের মনের ভেতরে একটা স্বপ্ন ছিল, দেশের পতাকা এমন একটি বড় স্টেডিয়ামের মধ্যে তুলে ধরব। জাতীয় সঙ্গীত বাজবে। এই অনুভূতি আসলে আলাদা। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। অন্যরকম অনুভূতি।”
“দেশের বাইরে খেলতে এসেছি, দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে এসেছি। দেশকে কিছু দিতে পেরে গর্বিত। এই আনন্দ আমি আসলে এখনও বুঝতে পারছি না। আমার হাত ধরে যদি প্রথম সোনার পদক এসে থাকে, তাহলে এই আনন্দ আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।”
২০১৩ সালে বাংলাদেশ গেমসে দুটি সোনা জেতা দিপু ঘরোয়াতে প্রতিবারই সেরা হন। ঘরে-বাইরের অনান্য প্রতিযোগিতায় ৫টি সোনা ও ১টি রুপাও আছে তার। কিন্তু আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এটাই সেরা সাফল্য বলে জানালেন তিনি।
“এর আগে কোনো অফিসিয়াল গেমসে কখনও সোনার পদক পাইনি। অন্যান্য দেশে খেলতে গিয়ে স্বর্ণপদক পেয়েছি। এখানে জিতে অনেক গর্ববোধ করছি। আমি আসলে এখনও ঘোরের মধ্যে আছি।”
২০০১ সালে তায়কোয়ান্দো শুরু করলেও ছিলেন অনিয়মিত। চার বছর পর যোগ দেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে। শুরু হয় রাঙামাটির ছেলেটির নতুন জীবন। সেনাবাহিনীর তাবুতে থাকতেই ঘটনাক্রমে তায়কোয়ান্দো নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখার শুরুও হয়।
“২০০৫ সালে সেনাবাহিনীতে আসি….. ব্যাটালিয়নে থাকার সময় পেপারে দেখেছিলাম তায়কোয়ান্দোতে স্বর্ণ জিতেছেন মিজানুর রহমান (২০০৬ এসএ গেমস)। ২০০১ এ তায়কোয়ান্দো শুরু করি, কিন্তু দলে আসিনি। ২০০৮এ টিমে আসার পর স্বপ্ন বোনা শুরু। এখানে তার পূরণ হলো। খুব গর্বিত আমি।”
২০১০ সালের এসএ গেমসে তায়কোয়ান্দো থেকে দুটি সোনা পেয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে সোনা আসেনি। এবার প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় দিনে ৮ দশমিক ২৮ ও ৭ দশমিক ৯৬ স্কোর গড়ে কাঙ্ক্ষিত পদকটি এনে দিলেন দিপু।