Published : 06 Jan 2024, 09:56 PM
খেলোয়াড় ও কোচ, দুই ভূমিকাতেই বিশ্বকাপের মঞ্চে উজ্জ্বল এক নাম মারিও জাগালো। উভয় ভূমিকায় বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবল ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তি তিনি। আরও কত অর্জন-কীর্তিতে ভাস্বর তার ক্যারিয়ার। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর মতে, বিশ্ব মঞ্চে যে ছাপ রেখে গেছেন ব্রাজিলের এই কিংবদন্তি, তার কোনো তুলনা চলে না। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের ‘গডফাদার’ হিসেবে জাগালো স্মরণীয় হয়ে থাকবেন বলে মনে করেন ফিফা প্রধান।
৯২ বছর বয়সে শনিবার না ফেরার দেশে পাড়ি জমান জাগালো। তার মৃত্যুতে ফুটবল-বিশ্বে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ফিফার বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করেছেন ইনফান্তিনোও।
“গভীর দুঃখের সঙ্গে আমরা সত্যিকারের একজন মহান ব্যক্তির মৃত্যু কথা জানতে পেরেছি। ফিফা বিশ্বকাপে তার প্রভাব অতুলনীয়। মারিও জাগালো খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে চারটি বিশ্বকাপ জিতেছেন। কিন্তু তার লেগ্যাসি সংখ্যায় মাপা যাবে না। ফুটবল, বিশেষ করে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলে জাগালোর প্রভাব অপরিসীম।”
“ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের গডফাদার হিসেবে তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। খেলাটির সঙ্গে জড়িত সবাই তার উপস্থিতি খুব মিস করবে, বিশেষ করে ফিফা। মারিও জাগালোকে ছাড়া বিশ্বকাপের গল্প বলা যাবে না।”
১৯৫৮ সালে ব্রাজিলের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী দলে খেলেন জাগালো। পরের বিশ্বকাপে শিরোপা ধরে রাখা দলেরও গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলেন তিনি।
১৯৭০ সালে তার কোচিংয়ে ব্রাজিল জেতে আরেকটি শিরোপা। পেলে, জাইরজিনিয়ো, রিভেলিনো, তোস্তাওদের সেই দলকে মনে করা হয় ফুটবল ইতিহাসের সেরা দল।
পরে ১৯৯৪ বিশ্বকাপে শিরোপাজয়ী ব্রাজিল দলের সহকারী কোচ ছিলেন জাগালো। এছাড়াও ১৯৭৪ বিশ্বকাপে তার কোচিংয়ে চতুর্থ হয় ব্রাজিল, ১৯৯৮ বিশ্বকাপে রানার্স আপ। ২০০৬ বিশ্বকাপে তিনি ছিলেন ব্রাজিলের টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট।
ব্রাজিলের ১৯৯৪ বিশ্বকাপজয়ী সাবেক স্ট্রাইকার রোমারিওর মতে, ব্রাজিলিয়ান ফুটবলে জাগালোর প্রভাব আরেক কিংবদন্তি পেলের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।
“আমি বিশ্বাস করি, ফুটবলে, বিশেষ করে ব্রাজিলে গুরুত্বের ক্ষেত্রে জাগালোর প্রভাব পেলের মতোই। জাগালো সবসময়ের বিজয়ী, চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। আজ ফুটবলের জন্য দুঃখের দিন।”
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা ডি সিলভার মতে, সর্বকালের সেরা ফুটবলার ও কোচদের একজন জাগালো।
"ব্রাজিলিয়ানদের জন্য জাগালো ছিলেন উদাহরণ, যিনি কখনও হাল ছেড়ে দেননি। স্নেহ, ভালোবাসা, নিবেদন এবং জয়ের পাঠ আমাদের সমগ্র দেশ ও বিশ্ব ফুটবলের জন্য রেখে গেছেন তিনি।”