Published : 26 Jul 2016, 05:58 PM
কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের দায়ে সম্প্রতি আটক করা হয় বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় পাইরেসি ওয়েবসাইট কিকঅ্যাস টরেন্টস-এর 'মালিক'কে। আটকের পরই ডোমেইন বাতিল করে দেওয়া হয় ওই সাইটের। যার ফলে বন্ধ হয়ে যায় এই ওয়েবসাইটটি। তবে নতুন ঠিকানায় ঠিকই নাক ভাসায় সাইটটি।
ডোমেইন পরিবর্তন করা হলেও সাইটে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। সাইটটিতে ব্রাউজ করলে দেখা যায় সেখানে এখনও আগের কিকঅ্যাস টরেন্টস নামেই সাইটটি পরিচালিত হচ্ছে।
এই নতুন ডোমেইন-কে কিকঅ্যাস টরেন্টস (কেএটি) -এর বিকল্প অবস্থান হিসেবে ধরা হচ্ছে। এর মাধ্যমে সাইটটির সমর্থকদের একটি বার্তা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস। ওই বার্তায় বলা হয়, "এটি কেএটি'র প্রতিফলক, যা কিছু উৎসাহীরা বানিয়েছে। সাইটটি শেষ এক থেকে পাঁচ বছর ধরে কেএটি টরেন্ট বেইস ধারণ করছে। যদি আপনি কেএটি থেকে কিছু টরেন্ট সংরক্ষিত করতে চান, এখনই সময়। কারণে, আমরা জানি না কতক্ষণ আমরা এই সাইট ধরে রাখতে পারব।"
চলতি বছরের ২০ জুলাই কিকঅ্যাস টরেন্টস-এর 'মূল পরিকল্পনাকারী' হিসেবে এক ইউক্রেইনিয়ান ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আরটেম ভাউলিন নামের ওই ব্যক্তিকে ফাইল শেয়ারিং সাইটটির 'মালিক' বলা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে মুদ্রাপাচার আর কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগে তিনি শেষ আট বছরে শতকোটি পাউন্ড মূল্যের পাইরেটেড গান আর চলচ্চিত্র ‘বিতরণ’ করেছেন বলে দাবি করা হয়েছে। এরপরই সাইটের ডোমেইন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
৩০ বছর বয়সী ভাউলিন-কে পোল্যান্ডে আটক করা হয়, জানিয়েছে বিবিসি। মার্কিন বিচার বিভাগ জানিয়েছে তারা তাকে যুক্তরাষ্ট্রে আনার চেষ্টা চালাবে।
কিকঅ্যাস টরেন্টস ২৮টি ভাষায় পরিচালিত হয় আর এর বাজার মূল্য ৫.৪ কোটি ডলারেরও বেশি, দাবি মার্কিন কর্মকর্তাদের।
মার্কিন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জ্যাচারি ফার্ডন এক বিবৃতিতে বলেন, "ভাউলিন ইন্টারনেট ব্যবহার করে শিল্পীদের প্রচুর ক্ষতি করেছেন।"
কিকঅ্যাস টরেন্টস-এ অবৈধ ফাইল রাখা না হলেও, এখানে ওই ফাইলগুলোর ইন্টারনেট লিঙ্ক দিয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে ব্যবহারকারীরা সেখান থেকে কোনো অনুমোদন ছাড়াই কনটেন্ট ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
ওয়েব মনিটরিং প্রতিষ্ঠান অ্যালেক্সা -এর মতে, ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত কিকঅ্যাস টরেন্টস-এর মালিকানাধীন একটি ডোমেইন সারা বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে ৭০তম। এর আগেও ২০১৪ সালে ডোমেইন বাতিল করার কারণে ডোমেইন নেইম পরিবর্তন করে সাইটটি।
চলতি বছর মার্কিন বিচার বিভাগ আরেক অন্যতম সেরা ফাইল শেয়ারিং সাইট মেগাআপলোড-এর প্রতিষ্ঠাতা কিম ডটকম-এর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়। বর্তমানের তাকে যুক্তরাষ্ট্রে আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।