Published : 13 Oct 2017, 03:46 PM
চুক্তির অংশ হিসেবে লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক স্টার্ট-আপ হাইপারলুপ ওয়ানের বোর্ড সদস্য হিসেবে যোগ দিচ্ছেন ভার্জিন প্রতিষ্ঠাতা রিচার্ড ব্র্যানসন। চুক্তির ফলে হাইপারলুপ ওয়ানের নাম পরিবর্তন করে ‘ভার্জিন হাইপারলুপ ওয়ান’ করা হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
হাইপারলুপ ট্রানজিট সিস্টেম হচ্ছে ২০১৩ সালে মার্কিন ধনকুবের ও প্রকৌশলী, টেসলা প্রধান ইলন মাস্ক-এর দেওয়া ভবিষ্যতের যোগাযোগ প্রযুক্তির একটি ধারণা। এতে একটি বায়ুশূন্য নলের ভেতর চুম্বকের সহায়তায় কিছু পড ভাসিয়ে রাখা হয়। এই ভাসমান পডগুলোর মাধ্যমে মানুষ ও মালামাল ঘণ্টায় সাড়ে সাতশ' মাইল পর্যন্ত গতিতে পর্যন্ত ভ্রমণ করানো যাবে।
এর আগে সুড়ঙ্গ খননকারী প্রতিষ্ঠান বোরিংয়ের সহায়তায় ভিন্ন একটি হাইপারলুপ ব্যবস্থা তৈরির ইচ্ছার কথাও জানিয়েছেন মাস্ক। বোরিং নামের প্রতিষ্ঠানটির মালিকও তিনি।
বর্তমানে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এই প্রযুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে। ভার্জিনের সঙ্গে হাইপারলুপ ওয়ানের এই চুক্তি হাইপারলুপ ওয়ানের প্রাতিষ্ঠানিক অবস্থানকে সামনে এগিয়ে নেবে বলে ধারণা করছেন অ্যাস্টন বিজনেস স্কুল-এর অধ্যাপক ডেভিড বেইলি।
বেইলি বলেন, “এটি পরীক্ষিত কোনো প্রযুক্তি নয় এবং বাস্তব জগতে এর ব্যবহার দেখতে এখনও অনেক দেরী। কিন্তু এই চুক্তি প্রযুক্তিটির প্রচারণায় সহায়তা করবে এবং অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের এতে আকৃষ্ট করবে।”
সম্প্রতি নেভাডা মরুভূমিতে একটি প্রটোটাইপ পড পরীক্ষা করেছে হাইপারলুপ। ৫০০ মিটারের মধ্যে ঘন্টায় ৩১০ কিলোমিটার গতি তুলতে পেরেছে এটি। ঘন্টায় ১০৪৬ কিলোমিটার গতি তোলাই প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য।
পডগুলো টিউবের মধ্য দিয়ে ভাসিয়ে নিতে ম্যাগনেটিক লেভিটেশন ও ইলেক্ট্রিক প্রোপালশন ব্যবহার করে এই প্রযুক্তি। ফলে বর্তমানের অনেক যাতায়াত ব্যবস্থা থেকে আরও বেশি পরিবেশবান্ধব হবে এটি।
হাইপারলুপ ওয়ানের পক্ষ থেকে বলা হয় মধ্য প্রাচ্য, ইউরোপ, ভারত, কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রযুক্তি আনতে বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ চলছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভার্জিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই ব্যবস্থায় এডিনবার্গ থেকে লন্ডনে ৫০ মিনিটে যাতায়াত করা যাবে।