Published : 28 Feb 2025, 07:58 PM
ভারতে উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় তুষারধসের কবলে পড়েছেন বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের (বিআরও) অন্তত ৪১ জন কর্মী। এ পর্যন্ত ১৬ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, বুধবার বদ্রীনাথ মন্দির থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে, সীমান্তবর্তী গ্রাম মানার কাছে এই তুষারধস হয়।
উত্তরাখণ্ড পুলিশের পরিচালক জেনারেল দীপম শেঠ এনডিটিভি-কে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় বিআরও ক্যাম্পে ৫৭ জন রাস্তা নির্মাণ শ্রমিক কাজ করছিলেন। উদ্ধার করা ১৬ জনের অবস্থা গুরুতর, তাদের সেনা ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে।
উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে ৬০-৬৫ জন কর্মী। তবে প্রচণ্ড ঠান্ডা, প্রবল বাতাস ও তুষারপাতের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দীপম শেঠ।
তিনি বলেন, “গত দুই ঘণ্টা ধরে অভিযান চলছে। প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রতিকূল আবহাওয়া। রাস্তাঘাট তুষারে ঢেকে গেছে, তাই তুষার কাটার যন্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে।”
বিআরও-র নির্বাহী প্রকৌশলী সি আর মীনা সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানান, “ঘটনাস্থলে তিন থেকে চারটি অ্যাম্বুল্যান্সও পাঠানো হয়েছে। তবে ভারি তুষারপাতের কারণে উদ্ধারকারী দলের সেখানে পৌঁছাতে অসুবিধা হচ্ছে।”
চামোলির জেলাশাসক সন্দীপ তিওয়ারি বলেন, টানা বৃষ্টি ও তুষারপাতের কারণে উদ্ধারকাজে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা যাচ্ছে না। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এসডিআরএফ) একটি দল জোশীমঠ থেকে দুর্ঘটনাস্থলের পথে রওনা হয়েছে।
এসডিআরএফ-এর পরিদর্শক জেনারেল ঋদ্ধিম আগরওয়াল জানিয়েছেন, ড্রোন দল প্রস্তুত থাকলেও প্রচণ্ড তুষারপাতের কারণে আপাতত ড্রোন ব্যবহার সম্ভব হচ্ছে না। আবহাওয়া পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলে হেলিকপ্টারে করে ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হবে।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি তুষারধসের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন। উদ্ধার অভিযানের তদারকির জন্য রাজ্যের দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণ কক্ষে শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছেনতিনি।
ওদিকে, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও জানিয়েছেন, “উদ্ধারকাজই আমাদের অগ্রাধিকার। এনডিআরএফ- এর দুটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছচ্ছে।”
অন্যদিকে, ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) উত্তরাখণ্ডসহ পার্বত্য অঞ্চলে শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ভারী তুষারপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে।