Published : 22 Aug 2024, 09:42 PM
কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে শিক্ষানবীশ চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা নিয়ে রাজনীতি না করতে কেন্দ্র ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
এনডিটিভি জানায়, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৌঁসুলি কপিল সিব্বলের মধ্যে কথার লড়াইয়ের সময় এ আহ্বান জানিয়েছেন বিচারপতি।
শুনানির সময় কপিল সিব্বল আদালতকে অনুরোধ করেন, এ বিষয়ে যাতে কোনও উসকানিমূলক বিবৃতি দেওয়া না হয়।
জবাবে ভারতের সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, “কারও কোনও বিবৃতি দেওয়া উচিত না। কিন্তু আমাদের কাছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একজন মন্ত্রীর বক্তব্য আছে। এটি খুব গুরুতর বিষয়। (ওই মন্ত্রী বলেছিলেন) কেউ যদি আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে আঙুল তোলেন, তাহলে সেই আঙুল কেটে ফেলা হবে।”
কটাক্ষ করে এ কথার পাল্টা জবাব দেন কপিল সিব্বলও। এমন পরিস্থিতিতেই প্রধান বিচারপতি বলেন, “দয়া করে ঘটনাটি নিয়ে রাজনীতি করবেন না। আইন তার নিজের গতিতে চলবে। দ্রুত ও কার্যকর তদন্তের পর আইন তার স্বাভাবিক গতিতে চলবে সেটি আমরা নিশ্চিত করছি।”
প্রধান বিচারপতির এই বক্তব্য এমন একসময়ে এল যখন আর জি কর হাসপাতালের চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাকে ঘিরে তুমুল রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চলছে।
প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বিক্ষোভ করছে। ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে তারা অভিযোগের আঙুল তুলছে। ওদিকে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলের দাবি, বিজেপি রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে মিথ্যা অভিযোগ করছে।
গত ৯ অগাস্ট পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার সরকারি আর জি কর হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে ৩২ বছর বয়সী নারী চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে অনুযায়ী, নির্যাতিতার চোখ, মুখ ও গোপনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। এছাড়া তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত রয়েছে।
দায়িত্বে থাকা অবস্থায় শিক্ষানবীশ ওই চিকিৎসক এ ঘটনার শিকার হয়। ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ সঞ্জয় রায় নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।
আরজি করের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা গ্রহণ করে সুপ্রিম কোর্ট। র শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের মামলাটি ওঠে শুনানির জন্য।