Published : 26 Dec 2024, 01:22 PM
বাড়ি
তালা খুলছি। সামনে বহুদিনের পুরোনো সদর দরজা। কাঁধে ব্যাগ। বগলে জলের বোতল। বৃষ্টিতে তালায় মরচে। অথচ না খুললে ঢুকতেই পারবো না।
অবশেষে খুলল। ঠেলে অনিচ্ছুক দরজার পাল্লা সরাতেই উঠোন, আম, আমগাছে মৌচাক, নারকোল, নিম, কুল, পেয়ারাগাছের নিশ্চুপ পিঠ ফিরিয়ে থাকা।
আগে যেটা ছিল রান্নাঘর, গ্রিলঘেরা, একটা মোটাসোটা বেড়াল, কেউ কাউকে চিনি না, গ্রিল গলে নিমেষে পাঁচিলপার।
এ বাড়ি কার!
এরপর গ্রিলের একটা দরজা, তারপর কাঠের। মোট তিনটে তালা। একেকটা তালার প্যাঁচ একেক রকম। প্রত্যেকে নাজেহাল করার মতলবে ঝুলে রয়েছে।
যদি চিচিংফাঁক করতে পারো, তবেই এ বাড়ি তোমার।
সাদা। দোতলা একটা ধাঁধা সামনে। একা এসেছি এবার। পারবো কি?
প্রাণপণে একটার পর একটা চাবি ঘোরাতে থাকি। কাঁধের ব্যাগ খসে পড়তে চাইছে। কোনো মতে তুলে চাবি ঘোরাচ্ছি। ফের খসে পড়ছে। ফের তুলে চাবি ঘোরাচ্ছি। আর, চাবিগুলো ঘুরিয়েই মারছে আমাকে। ঘোরাচ্ছে, ঘোরাচ্ছে, ঘোরাচ্ছে...
(৩০ অক্টোবর ২০১৯)
রাতের ছবি
রাত একটা। যারা মুহূর্তের কৌণিকতাগুলির অনুপুঙ্খ দেখতে অভিলাষী, এবার শুধু তারাই জেগে থাকুক।
(৩ নভেম্বর ২০১৯)
আজ কোনো সন্ধ্যা নামেনি
বারবার ভেবে দেখ, ভাবো, আবার ভাবো, তুমি ঠিক কী চাইছিলে।
যদি নিজে না-মরতে পারো, মৃত্যু স্বয়ং রয়েছে সামনে। মাথা নীচু করে দাঁড়াও। ফের ভাবো। তার অতিকায় কালো স্তব্ধতায় আচ্ছন্ন হয়ে আছো তুমি। ভাবো-- কোন্ সম্ভাবনা তোমাকে আহ্বান করছে।
তুমিই তো সে, একটি ম্রিয়মান সন্ধ্যেকে যে মহিমা দিতে চেয়েছিলে?
তা পারো না তুমি। বরং সেই ময়লাকুড়োনি সন্ধ্যের মুখোমুখি দাঁড়াও। নিজেকে সমর্পণ করো। উত্যক্ত করো তাকে। অনবরত খোঁচাও। তোমার একাগ্রতায় যদি সে যাবতীয় নোংরা সরিয়ে কুসুমিত রূপটি দেখায়, তবেই তুমি।
পা ফেলার আগে নিশ্চিত হয়ে নাও-- অপমান, দারিদ্র, জুতোর লুকোনো সেলাই তুচ্ছ করে আজই মুখোমুখি হবে তুমি।
(৫ নভেম্বর ২০১৯)
গোয়েন্দা
বরাবরই আমি নিজেকে সন্দেহ করে এসেছি। সন্দেহ করার মতো সেখানে সত্যিই কিছু রয়ে গেছে!
(২০ নভেম্বর ২০১৯)
পুরুষেরা
জানি না আজ সকালে আর কী-কী ঘটেছে। নাতনিকে স্কুলে দিয়ে ফিরতি পথে মেয়ের জন্যে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগে কমলালেবু। আমি বাজার করেছি পেঁপে চল্লিশ আলু পঁচিশ পেঁয়াজ আশি উচ্ছে একশোয় একশো। জানি না আজকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কত ছিল বা বৃষ্টি কোথাও হল কি না। তবু শীত তো আসছেই। দরদাম করে দু-টো ব্ল্যাঙ্কেট কিনতে গিয়ে জানলাম মালকিনের নাম কাজল অথচ ডাকনাম বিনু ধর্মে জৈন। হাডকো অটোয় সেখান থেকে বাড়ি আর বাড়িতে অস্টিয়োপরেসিস।
শীত আসছে তবু জানতেও পারিনি আজ ছিল পুরুষ দিবস। যারা হয়তো-বা সেই রাজা পুরুর মতো হেরে গিয়েও এক পা সিঁড়ির উপর-ধাপে রাখে আর স্বামীজির মতো হাতে বুক বেঁধে সসাগরা ধরিত্রীর কাছে আশা করে সন্ন্যাসীর প্রতি গৃহীর যথোচিত আচরণ...
শোনো, মন খারাপ কোরো না আর এটাও ভেবো না যে আমি আর ফিরে আসব না।
(২০ নভেম্বর ২০১৯)
নাতনি-দাদান সংবাদ-৩
(আজ সকালে পড়তে বসে লণ্ডভণ্ড অবস্থা। কিছুতেই হোমওয়র্ক করবে না।)
বড্ড ফাঁকি দিচ্ছ। তোমাকে তো A+ পেতে হবে। সব বিষয়েই। না পড়লে পাবে কী করে?
কেন পেতে হবে? আমি পারব না।
পারবে না কেন? তোমার বন্ধুরা তো পাবে।
তুমি জানো না। ওরা খুব চালাক।
ওরা পড়াশোনা করে, তাই পাবে। চালাক হবে কেন?
তুমি চালাকই হতে বলছো।
বলিনি তো। বলছি ভালো রেজাল্ট করতে।
আমি চালাক হবো না। কেন হবো? আমি তো বুদ্ধিমতী। বুদ্ধিমতীরা কি চালাক হয়?
(৩ ডিসেম্বর ২০১৯)
বেড়ালছানা
নাতনি বহুদিন আবদার করছিল একটা ছোট্ট বেড়ালছানার, যে নড়বে কিন্তু কামড়াবে না।
কোথায় মিলতে পারে? কয়েক দিন হল টের পাচ্ছি, সেই বেড়ালছানাটি নিরুপায়ভাবে আমিই। জয়ের আনন্দে ডগমগ নাতনি আমাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতে চায়। পিৎজা বানিয়ে খাওয়াতে চায়। শীতে কুঁকড়ে গেলে যেমন, অসম্ভব গুটিসুটি মেরে শুয়ে থাকতে বলে। না পারলে ধমক দেয়-- তোমার মা কি তোমাকে ম্যানার্স শেখায়নি?
ছোট্ট বেড়ালছানা হয়ে ভয়ে ভয়ে থাকি। দেখি, তার মাথার ভেতর আরেক প্রভুর খবরদারি। বুঝতে পারি-- আমাকে এবার থেকে বেড়ালছানারই ভুমিকা নিতে হবে, যে নড়তে পারলেও কামড়ানোর কোনো ক্ষমতাই যার নেই।
(৫ ডিসেম্বর ২০১৯)
পরশুর কথা
গ্রামের বাড়িতে ভোর-ভোর হাঁস এসেছে। উদ্দেশ্য: নলেন গুড় আর হাঁসের মাংস সহযোগে ধুকি সেবন। ফি-বছর শীতে একবার অন্তত খেতেই হয়।
বেলায় উঠে মেমসাহেবকে বললাম-- চলো, Duck দেখবে। তিনি উল্লসিত। গিয়ে দেখি, উঠোনে ঘাড় বেঁকিয়ে সাদা হাঁস পড়ে আছে। গলায় একটু রক্ত, প্রথমে লক্ষ করেননি। একটু আদর করলেন। তার duckling কোথায়, জানতে চাইলেন। তারপরই রক্ত দেখে ছিটকে সরে এসে দাঁড়িয়ে থাকা মামিমাকে তাঁর ধিক্কার-- মামিমা, তুমি মানুষ না শিকারি? মেরে ফেললে!
হাড়-কাঁপানো শীতে খেতে বসেছি। ভাপ-ওঠা ধুকিপিঠে। গাঢ় নলেন গুড়ের আহ্বান। কিন্তু সোনালি মাংসখণ্ডগুলো এই প্রথম জ্যান্ত হাঁসের মতো ছটফটিয়ে উঠে প্লেটকে অস্বীকার করতে চাইল।
(২ জানুয়ারি ২০২০)
কাজের মেয়ে কবিতা
সে এসে গেছে! ওই তো। লাজুক মুখে দাঁড়িয়ে আছে মেলার বাইরে। কাচুমাচু। ভাজা ফিসফ্রাইটি যেন উলটে খেতে শেখেনি। ঠোঁটের কোণে তাই কাসুন্দির একফোঁটা দাগ। চোখে দুষ্টু হাসি। পায়ের চটিতে শুকনো কাদা।
যতই তাকে বলা হচ্ছে-- লাগবে না, ততই হাত-পা নেড়ে লোকজনকে বোঝাচ্ছে-- সব কাজই সে জানে। সব কাজ একাই করে দেবে। বাসন ধোয়া, কাচাকাচি, ঘর মোছা, মায় খবরের কাগজে চিঠি লেখাও। মুমূর্ষু শিশুর দু-চোখে এঁকে দিতে পারবে মৃত্যুর আকাশভরা আলো। তবু, হুই যে সাগরপারের এক দাড়িঅলা বুড়ো-- নামটা মনে নেই-- ওকে ভাগিয়ে দিয়েছিল।
এতসব বলে শিশিরভেজা ডানাদুটো খুলে ফুটপাথে রাখল। ইশারায় সে-দুটো দেখিয়ে ফিসফিসিয়ে জানাল-- দরকারে সে উড়তেও পারবে। মা তাকে শিখিয়ে দিয়েছে। বলেছে-- পরের ঘরে গতর খাটিয়ে খায় যারা, সব কাজই তাদের শিখে রাখতে হয়।
ধীরে অদৃশ্য হয়ে আবার এই রেখায়-রঙে ফিরে আসার কেরামতিও জানে বলে তার দাবি।
তার চেয়ে বড়ো কথা, সব রকমের ছন্দেও সে দড়। তবে বাবু যদি যখনতখন হ্যাঁচকা টান মারে, কাজ ছেড়ে সে চলে যাবে।
(১ ফেব্রুয়ারি ২০২০)
সত্তর বছর!
‘Your hair is lost in the forest,
your feet touching mine.
Asleep you are bigger than the night,
but your dream fits within this room.’
Last Dawn (part), Octavio Paz
যতই টেনে লম্বা করে বলি, সত্তর বছর বয়স হলে কীই-বা হয়? একটি আত্মজীবনী আছে বিপিনচন্দ্র পালের। নাম— ‘সত্তর বছর’। আর যা-যা হয়, সেসবের কিছুটা এই ক-দিন দেখলাম। কিছুই হল না তো! কিচ্ছু না। হয়তো অলক্ষ্যে কিছু হয়, তবে হাওয়াবাতাসও তার গন্ধ পায় না। মধ্যরাতের কোনো কোনো বোবা অন্ধকার হয়তো-বা জানতে পারে।
কোনো-এক বড়োসড়ো অনুষ্ঠানে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ষাট বছর পূর্তি-অনুষ্ঠানের পর কেউ বয়স জানতে চাইলে সন্দীপনদা (চট্টোপাধ্যায়) মুচকি হেসে জানিয়েছিলেন— অনুষ্ঠান-ফনুষ্ঠান না-হয় হয়নি। তাই বলে কি ষাট বছর বয়সও আমার হয়নি?
সেসব অন্য কথা। রাতের নয়।
৩০ জুন রাতে, বারোটা তিন মিনিটে— ইংরেজি মতে ১ জুলাই— মেয়ে সুদৃশ্য একটা প্যাকেট তুলে দেয়। লাল রিবনে বাঁধা। সঙ্গে নাতনির তৈরি কার্ড। বলে দেয় সকালে খুলতে। ভোরে মশারি তুলে নাতনির অতিউৎসাহী প্রবেশ— খুলে ফেলনি তো র্যাপার?
না।
একটু বেলা হলে সবার সামনে নাতনিই খোলে। এবার বই। কোন্ বই নিতে চাই? তিনটে নাম বলি। মেয়ে তার অপুদাকে ফোন করে। একটা বই ছাপা নেই। তাহলে দু-টোই সই। দামও কম পড়বে। আর, কী ছেলে অপু (শুভঙ্কর দে)! ওই ক-টা টাকার বই দিতে চারচাকা ঘুরিয়ে নিজেই হাজির! টাকা তো সবার কাছে গজ-ফিতে নয়। ধনী-নির্ধন ছাড়া আর কিছু মাপাও যায় না টাকা দিয়ে। তা-ও কি যায় সবসময়?
ফেসবুকে প্রচুর বই কেনার বা উপহার পাওয়ার ছবি দেখি। দু-টো মাত্র বইয়ের ছবি? মেয়ের লজ্জা দেখে বলি— জীবনে বেশি বইয়ের দরকার হয় না। লক্ষ লক্ষ মানুষ একটা মাত্র বইয়েই সারা জীবন কাটিয়ে দেয়। আবার ঠিক বইটির কাছে পৌছোতে আরও বিশটা কিনে ফেলে কেউ কেউ। নিজের অপারগতা তবু সে মানতে পারে না। এইসব নিয়েই সত্তর বছর।
স-ত্ত-র ব-ছ-র!
মাপব কী দিয়ে? ঘড়ি একটা ছিল। শিশুকালে দেখেছি— মায়ের তেমন দরকার হত না। রান্নাঘর (উঠোন পেরিয়ে) থেকে উঠোনে ছাদের ছায়া দেখে বলে দিত— ক-টা বাজে। বছর ছিল ঘটনা-চিহ্নিত। সেই যেবার অমুকের ছেলেটা জলের তোড়ে ক্যানেলের সরু পাইপে আটকে মরে গেল, সে-বছর। ফলে, গণনাপদ্ধতি জানলেও, সত্তর বছর মানে কতটা সময় পেরিয়ে এলাম— দাগ কেটে কেটে মনে রাখার অভ্যেসটি আর গড়ে উঠল না। ধোঁয়াটে একটা সময় পেরিয়ে আরও একটা ধোঁয়াটে সময়ের দিকে হাঁটা। ফলে কলেজপড়ুয়া তরুণের সঙ্গে ফুটে দাঁড়িয়ে বা রোয়াকে বসে আজও আড্ডা দিই দিব্যি। হাতে চায়ের ভাঁড়।
অজস্র শব্দটা কথার কথা। ফোন, ফেসবুক, ইনবক্স আর হোয়াটসঅ্যাপ মিলিয়ে কয়েকশো শুভেচ্ছা। ভয়ে গুনে দেখিনি। দেশ-বিদেশের বিখ্যাতজন যেমন আছেন, তেমনই আছেন এইসব তরুণও। এতজনের শুভেচ্ছাপ্রাপ্তির যোগ্য কোনো কাজ করতে পারিনি। কয়েকটা কবিতা লেখার চেষ্টা করেছি মাত্র। মানুষের চেষ্টা তো শেষপর্যন্ত জানলার পর্দার মতো। হাওয়ায়— সে-হাওয়া ফ্যানের হোক বা প্রকৃতির— কাঁপে। তাই ভয়।
ঘুরতে-ফিরতে গুনেছি— বাংলাদেশে আমার নাকি অনেক ফেসবুক-বন্ধু। সংখ্যা-বিচারে এইসব শুভেচ্ছা-বার্তা হয়তো-বা তাঁদের প্রশ্রয়ও দিতে পারে। তাঁদের জানার কথা নয় এবং আজ জানানো দরকার যে, ওপারে আমার এক যুগ্ম সত্তা আছে। ঢাকা শহরে তুষার দাশ নামে থাকলেও আসলে সে একরাম আলি। এপারে আমি যেমন তুষার দাশ। ১৯৮৯ সালে মৃদুল (দাশগুপ্ত) দু-জনকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে বলেছিল— আয়, দুই সংখ্যালঘুর আলাপ করিয়ে দিই! তারপর থেকে আমরা আর সংখ্যালঘু থাকিনি। আমরা যুগ্মতা অর্জন করেছি।
(২ জুলাই ২০২০)
বর্ষশুরু
মানুষ মরণশীল। জীব মাত্রই মৃত্যুর কাছে হেরে বসে আছে। ওই যে বিন্দুবৎ পিঁপড়েটি, টেনেহিঁচড়ে খাড়া দেওয়াল বেয়ে উঠছে, নিজের আয়ুষ্কালে পারবে কি তার লক্ষ্যে পৌঁছতে? কেউ জানি না। তবু শিশুর মতো, জল্লাদের মতো, নরপিশাচের মতো, আচমকা তাকে আঘাত করি। বুড়ো আঙুলে টিপে মেরে ফেলতে চাই ওই কালো, শীর্ণ, কিছুই-না-জানা, অতি ক্ষুদ্র প্রাণটিকে। মরবার আগে সে জানতেও পারে না, কেন মরছে। তার মৃত্যুকালীন চোখেমুখে হতভম্ব ভাবটি শুধু বেঁকেচুরে থাকে।
কেন এমন করি? অপরকে মেরে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে।
কী নিষ্ঠুর আমি, আমরা!
এবার নতুন বছরে আমি যেন সাধারণ হই। বিনীত আর সহমর্মী হই। ওই ছোট্ট পিঁপড়েটি যেন দেওয়াল বেয়ে উঠতে পারে। চারপাশে যারা থাকব, সবাই যেন কাণ্ডজ্ঞানসম্পন্ন হই।
(১৪ এপ্রিল ২০২১)
একটি ফোন
আগামীকাল শঙ্খবাবুর ফোনের অপেক্ষায় হয়তো থাকব। এটা জেনেই যে, সে-ফোনটি আর আসার নয়। প্রতি বছর ইদের দিনে যেমন আসত। ঠিক শুভেচ্ছা নয়। ইদের প্রসঙ্গও থাকত না সে-কথোপকথনে।
তবু..
(১৩ মে ২০২১)
সরকার
"The governors need not know our language, need not come into personal touch with us except as officials;..."
--Rabindra Nath Tagore, Nationalism, pp-18. (1921)
(১৯ মে ২০২১)
পরচর্চা
পরচর্চা করুন। এবং-- বিপদে পড়ার আশঙ্কা না-থাকলে-- মন খুলে! এই কাজটা আমরা করে আসছি সত্তর হাজার বছর ধরে। হারারি বলছেন, ভাষার উৎপত্তি এবং বিকাশের দুটি কারণের একটি পরচর্চা। অন্যটি হল তথ্য আদানপ্রদান।
(৭ অক্টোবর ২০২১)
(ক্রমশ)