Published : 26 Jan 2025, 08:39 PM
‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগে সাবেক ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান ও তার স্ত্রী আফরোজা হকের বিরুদ্ধে আলাদা দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
মামলায় দুজনের বিরুদ্ধে ৪ কোটি টাকার বেশি মূল্যের সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি বলেছে দুদক।
রোববার সাবেক ধর্মমন্ত্রী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
তিনি বলেন, জামালপুর ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের বিরুদ্ধে ‘অপব্যবহারের’ মাধ্যমে ৩ কোটি ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৭১৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য মিলেছে। এটি জ্ঞাত তার জানা আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।
এছাড়া আওয়ামী লীগের সাবেক এই মন্ত্রী স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ১১টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৫২ কোটি ৪৬ লাখ ৫০ হাজার ৩৬৩ টাকার লেনদেন হওয়ার তথ্য দিয়ে দুদক কর্মকর্তা বলেছেন, এসব লেনদেন ‘সন্দেহজনক’।
এই ব্যাংক লেনদেনকে অর্থ পাচার হিসেবে তুলে ধরে দুদক মহাপরিচালক বলেন, “আসামি দুর্নীতি ও ঘুষ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করেছেন।”
সাবেক ধমমন্ত্রীর স্ত্রী আফরোজা হকের বিরুদ্ধে ১ কোটি ২ লাখ ৩৫ হাজার ২৩৮ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করে বলা হয়েছে, এই সম্পদ ‘জ্ঞাত আয়বহির্ভূত’।
এ মামলায় ফরিদুল হককেও আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে এ মামলায়ও অর্থ পাচারের অভিযোগও আনা হয়েছে।
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর ফরিদুল হক খানকে পূর্ণ মন্ত্রী হন। আগের সরকারে তিনি ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ৫ অগাস্ট ক্ষমতার পালাবদলের পর দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যার কয়েকশ’ মামলা হয়েছে।
পুনর্গঠিত দুর্নীতি দমন কমিশনও সাবেক এসব মন্ত্রী-এমপি ও নেতাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও দুর্নীতির অনুসন্ধানে নেমেছে। ইতেোমধ্যে শেখ পরিবারের সদস্যসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে কমিশন।