Published : 06 Jun 2025, 01:20 AM
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার ‘গুমের’ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর মধ্যে কার কী ভূমিকা ছিল, তা অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন তুলে ধরেছে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুমের বেশির ভাগ ঘটনাই ঘটেছে পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে।
গুমের শিকার ব্যক্তি, তার পরিবারের সদস্য ও প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশ, র্যাব এবং পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটকে ‘মূল অপরাধী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বলে কমিশন তাদের প্রতিবেদনে বলেছে।
এর বাইরে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) অধিদপ্তর ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার ‘সত্যতা পেয়েছে’ কমিশন।
কমিশন বলছে, তারা গুমের অভিযোগ পেয়েছে এক হাজার ৮৩৭টি। এর মধ্যে প্রথম দফা পর্যালোচনার পর এক হাজার ৭৭২টি অভিযোগ ‘চলমান ঘটনা’ হিসেবে ডেটাবেইসে রাখা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অ্যাক্টিভ কেইস’ বা ‘চলমান ঘটনার’ মধ্যে এক হাজার ৪২৭ জনকে (৮১ শতাংশ) জীবিত পাওয়া গেছে। বাকি ৩৪৫ জন (১৯ শতাংশ) প্রতিবেদন তৈরির সময় পর্যন্ত নিখোঁজ ছিলেন।
পুলিশ
গুমের পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধে মোটা দাগে ‘ক্রসফায়ার’, হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন ও আন্দোলন সংগ্রামে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে ধরেছে তদন্ত কমিশন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৯ সাল থেকে পুলিশ ক্রমে রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট হতে থাকে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বহু প্রতিবেদন রয়েছে, যেখানে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মত বিরোধীপক্ষের ওপর পুলিশের অতিরিক্ত বল প্রয়োগের তথ্য রয়েছে।
কমিশন বলছে, বিভিন্ন অভিযানে, বিশেষ করে মাদক কারবারি ও সন্দেহভাজন অপরাধীদের ধরতে গিয়ে ‘ক্রসফায়ারের’ নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড পুলিশি অভিযানের নিয়মিত অংশে পরিণত হয়। আর অধিকাংশ হত্যাকাণ্ডেই বিচার বিভাগ অবগত ছিল না।
পুলিশের বিরুদ্ধে হেফাজতে নিয়ে ‘ব্যাপক নির্যাতন’ চালানোর অভিযোগ তুলে ধরে কমিশন বলছে, ভুক্তভোগীরা মারধর, গরম পানি, বৈদ্যুতিক শকসহ নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন।
এ ধরনের ঘটনা বন্ধের লক্ষ্যে সররকার ২০১৩ সালে 'নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (প্রতিরোধ) আইন' প্রণয়ন করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনটি বাস্তবে খুব কমই প্রয়োগ হয়েছে এবং পুলিশের খুব কম সদস্যকেই আইনিভাবে জবাবদিহির মুখে পড়তে হয়েছে।
কমিশন বলছে, পুলিশের হাতে গুম হওয়ার কয়েকশ অভিযোগ তারা পেয়েছেন। ভুক্তভোগীদের মধ্যে ছিলেন রাজনীতিক, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও সরকারবিরোধী সমালোচক।
গুমের পর চরম নির্যাতন চালানোর পাশাপাশি এদের অনেককেই বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উঠে হয়েছে।
র্যাব
কমিশন বলছে, তারা গুম, হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যায় র্যাবের ‘সরাসরি জড়িত থাকার’ কয়েকশ অভিযোগ পেয়েছে।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক সংস্থার কাছে এমন অনেক ঘটনা নথিভুক্ত রয়েছে, যেখানে র্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর অনেক ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেছে। অনেকের কোনো খোঁজই পাওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সহায়তায় র্যাব গড়ে তোলার কথা তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, এটি শেষমেশ রাজনৈতিক ‘ডেথ স্কোয়াডে’ পরিণত হয়।
র্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের গোয়েন্দা শাখা বিভিন্ন অপারেশনাল ব্যাটলিয়নের সঙ্গে বহু গোপন অভিযানে গেছে। জঙ্গিবাদ, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানের বিরুদ্ধে অভিযানের নাম করে তারা মানুষকে অপহরণ এবং জিম্মি করে রাখত।
তাদের নির্যাতন চালানোর একটি ‘কুখ্যাত জায়গা’ হিসেবে ‘টাস্ক ফোর্স ফর ইন্টাররোগেশন‘ (টিএফআই) সেলের কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে, যার অবস্থান র্যাব ১ কম্পাউন্ডের ভেতরে।
হাজার হাজার বন্দিকে সেখানে আটকে রাখা হয়েছে, যাদের সপ্তাহ বা মাসের পর মাস অন্ধকার কক্ষে চোখ ও হাত-বেঁধে ফেলে রাখা হত।
সাক্ষ্য-প্রমাণের বরাতে কমিশন বলছে, আটক ব্যক্তিদের মারধরের পাশাপাশি বৈদ্যুতিক শক, ছাদের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা, ঘূর্ণনের মাধ্যমে দিকভ্রান্ত করা, এমনকি অঙ্গচ্ছেদের মত নির্যাতনও চালানো হত। শিশু ও মানসিকভাবে অসুস্থ বন্দিরাও এসব নির্যাতন থেকে রেহাই পাননি।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বন্দিদের টিএফআই সেলে আনা হত। কখনও র্যাবের গোয়েন্দা শাখা সরাসরি অপহরণ করে নিয়ে আসত; কখনও আবার ডিজিএফআই বা র্যাবের স্থানীয় কোনো ব্যাটলিয়ন থেকে পাঠানো হত।
অনেক ক্ষেত্রে হত্যার পর লাশ এমনভাবে নদীতে ফেলা হত, যেন তা উদ্ধার কিংবা শনাক্ত করা না যায়।
ডিবি
কমিশন বলছে, পুলিশের এ গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, কর্মী ও সন্দেহভাজন অপরাধীদের অপহরণ, অজ্ঞাত স্থানে আটক রাখা, আটকের কথা অস্বীকার করা, ওয়ারেন্ট ছাড়া আটক করা এবং দীর্ঘ সময় ধরে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখার মত অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগীদের বরাতে কমিশন বলছে, হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন করা হত। বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যাও করা হয়েছে অনেককে। আবার র্যাব বা ডিজিএফআইয়ের মত অন্যান্য সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার মত অভিযোগও ডিবির বিরুদ্ধে পেয়েছে কমিশন।
নির্বাচনের আগে তাদের হাতে গুমের ঘটনা বেড়ে যেত বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
কমিশন বলছে, ভুক্তভোগীদের সাধারণত সাদা পোশাকে আসা কর্মকর্তারা তুলে নিয়ে যেতেন। তুলে নেওয়া ব্যক্তির অবস্থান নিয়ে পরিবারের সদস্যদের তথ্য দেওয়া হত না। কেউ কেউ কয়েক সপ্তাহ বা মাস পরে ফিরে এলেও অনেকেই নিখোঁজ থেকে গেছেন। কারো কারো লাশও মিলেছে।
এসব কর্মকাণ্ড ডিবি কখনও একা, কখনও র্যাব ও ডিজিএফআইয়ের সহযোগিতায় করেছে বলে প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে কমিশন।
সিটিটিসি
র্যাব বা অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর মত সিটিটিসিও ধীরে ধীরে বিচারহীনতা ও নির্যাতনের ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
অন্যান্য সংস্থার চেয়ে তারা কম সময়ের জন্য মানুষকে আটকে রাখলেও সিটিটিসির কর্মকর্তারা ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ করেছেন বলে অভিযোগ পেয়েছে কমিশন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ইউনিট বারবার ভুয়া মামলা করে বিচার ব্যবস্থাকে ‘আইনি অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করেছে, যাদের লক্ষ্য ছিল নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের দমন করা।
র্যাব যেমন শুরুতে বাইরের সমর্থন পেয়েছিল, ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ লড়াইয়ের নামে সিটিটিসিও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীকে পাশে পায়। কিন্তু তারাও র্যাবের মত মানবাধিকার লঙ্ঘনের পথ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারেনি বলে মনে করছে কমিশন।
সিটিটিসির বিরুদ্ধে গুম, নির্যাতন ও নির্বিচারে আটক করার মত গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তুলে ধরে কমিশন বলছে, অনেক ব্যক্তিকে গুম করা হয়েছে; তাদের পরিবার ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে এবং তথাকথিত জিজ্ঞাসাবাদের নামে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। পরে অনেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয় এবং অনেকের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ডিজিএফআই
গত এক দশকে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের বিরুদ্ধে একের পর এক গুম, বেআইনিভাবে আটক, নির্যাতন এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর নজরদারি চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
কমিশন বলছে, সংস্থাটির বিরুদ্ধে দেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ এবং ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগও রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংস্থাটি বিভিন্ন 'ব্ল্যাক সাইট' পরিচালনা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে কুখ্যাত হচ্ছে ‘আয়নাঘর’, যেখানে বন্দিদের সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রেখে চরম নির্যাতন চালানো হত।
আয়নাঘরে আটক থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা, বিরোধী রাজনীতিক এবং সন্ত্রাসবাদের ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক ব্যক্তিরা।
উদাহণ দিতে গিয়ে অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার আবদুল্লাহ আমান আজমী, রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান, হুম্মাম কাদের চৌধুরী ও মাইকেল চাকমার কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।
ডিজিএফআইয়ে দায়িত্বরত সেনা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে আয়নাঘর চলত মন্তব্য করে কমিশন বলছে, সেখানে একাধিক জিজ্ঞাসাবাদ কক্ষ ছিল। এসব কক্ষে বন্দিদের মারধর, ছাদে ঝুলিয়ে রাখা, বৈদ্যুতিক শক দেওয়া এবং ঘূর্ণায়মান চেয়ারে বসিয়ে দিকভ্রান্ত করা হত।
উচ্চ শব্দের জন্য প্রচণ্ড এক্সহস্ট ফ্যান বসানো ছিল, যা নির্যাতনের আওয়াজ চেপে রাখত; ভুক্তভোগীদের দীর্ঘ সময় চোখ বেঁধে ও হাতকড়া পরিয়ে রাখা হত বলেও প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে।
এনএসআই
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের হয়ে কাজ করা এ গোয়েন্দা শাখার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা মূলত রাজনৈতিক বিরোধী দল, নাগরিক সমাজ এবং সাংবাদিকদের ওপর নজরদারি চালাত। জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবেলার নামে তারা ‘দমনমূলক’ পদক্ষেপও নিত।
কমিশন বলছে, তাদের কাছে এনএসআইয়ের বিরুদ্ধেও গুমের অভিযোগ এসেছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, এনএসআই নির্যাতন ও অন্যান্য অপরাধে জড়িত। কিন্তু তাদের কার্যক্রমে ‘অস্পষ্টতার কারণে’ ভুক্তভোগীরা আইনি সহায়তা খুব একটা পান না।
বিজিবি
সীমান্ত নিরাপত্তায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করা এ বাহিনীর বিরুদ্ধেও গুমের অভিযোগ পেয়েছে কমিশন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘নির্ভরশীল’ তথ্যের ভিত্তিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অভিযোগ করেছে, গুমের ঘটনায় বিজিবিও জড়িত।
কমিশন বলছে, ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তে বিভিন্ন অভিযানে গুম এবং ‘নির্বিচারে’ হত্যা সংক্রান্ত খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু দুর্গম হওয়ায় এবং সংবাদমাধ্যমের নজর না থাকায় অধিকাংশ ঘটনা আড়াল থেকে যায়।
গুমকে ‘আন্তঃরাষ্ট্রীয় অপরাধ’ হিসেবে তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কখনও কখনও ভুক্তভোগীকে এক দেশে অপহরণ করে আরেক দেশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আর এই কাজটি দুই দেশের সীমান্ত বাহিনীর সহায়তা ছাড়া সম্ভব নয় বলে কমিশন মনে করে।
এ ধরনের গুমের উদাহরণ হিসেবে সুখরঞ্জন বালি, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ, মেহেদী হাসান ডলার ও রহমতুল্লাহর ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ‘গুমের’ ঘটনা তদন্তে গত ২৭ অগাস্ট অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের এই কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
কমিশন গত ১৪ ডিসেম্বর তাদের প্রথম অন্তর্বর্তী একটি প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেয়। আর দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী একটি প্রতিবেদন তুলে দেয় বুধবার।
প্রথম প্রতিবেদনে বলা হয়, আওয়ামী লীগের শাসনামলে ‘গুমের নির্দেশদাতা’ হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে। ‘গুমের’ ঘটনায় বিচার প্রক্রিয়া শুরু এবং র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশও করা হয় সেখানে।
আরও পড়ুন-
সমাজের ‘ভদ্রলোকেরা’ গুমে জড়িত: প্রধান উপদেষ্টা
হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে ‘গুমের’ অভিযোগ বিএনপির সালাহউদ্দিনের
গুমে প্রধান ভূমিকা ছিল র্যাবের ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের: প্রেস সচিব
গুম: শেখ হাসিনা 'নির্দেশদাতা', প্রমাণ পাওয়ার দাবি কমিশনের
‘আয়নাঘরে’ কোন কক্ষে বন্দি ছিলেন, চিহ্নিত করলেন নাহিদ ও আসিফ
‘আয়নাঘরে’ গেলেন ইউনূস, দেখলেন নির্যাতনের যন্ত্র
গুম: ‘আমরা এমনই হতভাগা, জানি না আমাদের বাবা জীবিত নাকি মৃত’
র্যাব বিলুপ্ত, বিজিবি ও ডিজিএফআইকে সীমায় বাধার সুপারিশ জাতিসংঘের