Published : 28 Aug 2024, 08:11 PM
চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে সচিবালয় অবরুদ্ধ করে ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানার মামলায় গ্রেপ্তার ছয় আনসার সদস্যকে পুলিশ দুই দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞসাবাদ করবে।
বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই সাইমুল ইসলাম তাদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
ঢাকার মহানগর হাকিম মো. শাকিল আহাম্মদ শুনানি শেষে দুই দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- শরিফুল ইসলাম, আহসান হাবিব, মনিরুজ্জামান, হাসিবুর রহমান, নাসির মিয়া ও শফিকুল ইসলাম।
এদিন কারাগারে আটক ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করা হয় বলে জানান আদালতের প্রসিকিউশন পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান।
গত ২৬ অগাস্ট শাহবাগ থানার এসআই শামীম মীর মালত বাদী হয়ে ২০৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত তিন হাজার আনসার সদস্যকে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২৫ আগস্ট রাত ৯টার সময় বাংলাদেশ সচিবালয়ের সামনে সাধারণ আনসার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
এসময় কিছু আনসার সদস্যরা পল্টন মডেল থানাধীন জিরো পয়েন্ট এলাকায় চাকরি জাতীয়করণসহ বিভিন্ন দাবিতে রাজপথ অবরোধ করে রাখেন। পুলিশ তাদের ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করলেও তারা রাস্তা অবরোধের মাধ্যমে যান চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন।
অভিযোগে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ অন্যান্য উপদেষ্টারা তাদের দাবি-দাওয়ার প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিয়ে দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সাধারণ আনসারদের পক্ষে কয়েকজন প্রতিনিধির সঙ্গে তাৎক্ষণিক বৈঠক করেন এবং আংশিক দাবি পূরণ করেন। এছাড়াও অন্যান্য যৌক্তিক দাবিগুলো একটি কমিটি গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নে আশ্বাস দেন।
কিন্তু সাধারণ আনসাররা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে সচিবালয়ের চারপাশে অবস্থান করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন এবং জিরো পয়েন্টসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে অবরোধ করে দাবি দাওয়া পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান করবেন মর্মে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
মামলায় আরও বলা হয়, বাংলাদেশের সাধারণ আনসাররা একটি সুশৃঙ্খলিত বাহিনীর সদস্য। সচিবালয় রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান তথা কেপিআই জানা সত্ত্বেও আনসার সদস্যরা কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে অবস্থান করতে থাকেন। একপর্যায়ে সাড়ে ৯টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা ঘটনাস্থলে আসলে তারা তাদের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেন।
এতে অসংখ্য পথচারী ও ছাত্র আন্দোলনকারীরা গুরুতর আহত হন। আনসার সদস্যরা রাস্তার ওপর আগুন ধরিয়ে দেন এবং রাস্তায় চলাচলরত বিভিন্ন গাড়ি ভাঙচুর করতে থাকেন।
আসামিরা বেআইনিভাবে পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা, অগ্নিসংযোগ ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে গাড়ি ভাঙচুর করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।