Published : 23 May 2025, 11:50 PM
পাঁচ বছরের চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ইশরাক হোসেন যখন আদালতের রায়ে মেয়র হলেন, তখনও নগর সংস্থায় মাস দুয়েক দায়িত্ব পালনের সুযোগ ছিল এ বিএনপি নেতার। কিন্তু ইসির প্রজ্ঞাপন জারি আর এক রিট মামলাতেই কেটে গেছে আট সপ্তাহ।
এখন শপথগ্রহণ করলে ইশরাক দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাবেন মাত্র এক সপ্তাহ। কিন্তু এই স্বল্প সময়ের জন্য আইনি পথের পাশাপাশি কেন রাজপথের আন্দোলনকে বেছে নিলেন সাদেক হোসেন খোকার ছেলে?
এ বিষয়ে কথা বলতে ইশরাককে ফোন করেও তার সাড়া পায়নি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
তবে বুধবার রাতে কাকরাইল মসজিদ মোড়ে সমর্থকদের অবস্থান কর্মসূচিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “এই আন্দোলন কোনো এক ব্যক্তির ক্ষমতা বা কোনো একটি পদের জন্য লড়াই নয়। আজকের এই লড়াই নির্ধারণ করে দেবে যে এই বছর ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আমরা আদৌ একটি নির্বাচন দেখতে পাব কি না। যেখানে দেশের জনগণ ভোটদানের মাধ্যমে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে এটি সেই আন্দোলন।”
তার অভিযোগ, মেয়র নির্বাচনের ফল নিয়ে রায় দেওয়ার সময় অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতর থেকে বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের সময়ও একই ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু বিএনপি তা হতে দেবে না।
“আজকে নির্বাচন কমিশনকে এক প্রকার জিম্মি করা হয়েছে। পুরো ব্যুরোক্রেসি তারা নিয়ন্ত্রণ করছে। এই অবস্থায় আমি- একজন প্রার্থীর সঙ্গে যদি এই আচরণ করে, তাহলে যখন জাতীয় নির্বাচন হবে, রাষ্ট্র ক্ষমতা পরিবর্তনের প্রশ্ন চলে আসবে, তখন কি আপনারা আশা রাখতে পারেন যে- নিরপেক্ষভাবে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন হবে? তারা এই সরকারে থাকা অবস্থায়?”
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র হন আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস।
ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর গেল ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল সেই ফল বাতিল করে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে।
এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তাকে যেন শপথ পড়ানো না হয় সেজন্য গত ১৪ মে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ।
অন্যদিকে ইশরাককে শপথ পড়ানোর দাবিতে ওইদিনই আন্দোলন শুরু করেন তার সমর্থকরা। তাদের আন্দোলনে কার্যত অচল হয়ে পড়ে নগর ভবন। কিন্তু আইনি জটিলতার কথা বলে ইশরাকের শপথের আয়োজন থেকে বিরত থাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক ফেইসবুক পোস্টে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করেন ইশরাক। তার সমর্থকরাও একই দাবি তোলেন। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ওই রিট মামলা খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট।
এরপর ওইদিন বিকালে শপথ পড়ানোর জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন ইশরাক।
‘শপথের’ আনুষ্ঠানিকতা বাদ থাকলেও এরই মধ্যে ‘জনতার মেয়র’ হিসেবে দায়িত্ব পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার সকালে ফেইসবুক পোস্টে ইশরাক লিখেছেন, “শপথ কেবল একটা ফরমালিটি। জনতার মেয়র হিসাবে আমার দায়িত্ব বর্তায় আগামী কোরবানির ঈদের আগে যাতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকে।
“আমি ঢাকাবাসীকে নিশ্চিত করছি, উত্তরে মেয়র না আসা পর্যন্ত সেখানকার প্রশাসন ও পরিচ্ছন্ন কর্মীদের দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করব। দক্ষিণে সাবেক কাউন্সিলর ও বিগত নির্বাচনের প্রার্থীদের সমন্বয় করে একটি জোন ভিত্তিক মনিটরিং টিমের অনুমোদন দেব।”
ইশরাকের মেয়াদ কত দিনের?
ইশরাককে শপথ পড়ানো ঠেকাতে যে রিট মামলা হয়েছিল, তা খারিজ হওয়ার পর আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীর আইনজীবী।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এর আগে ফেইসবুকে লিখেছিলেন, মেয়াদ সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিয়েছে; কতদিন মেয়র থাকবেন বা আদৌ মেয়াদ আছে কি না তা স্পষ্ট নয়।
সাবেক সচিব এ কে এম আব্দুল আউয়াল মজুমদারও বলছেন, ইশরাকের দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষেত্রে ‘মেয়াদ’ সংক্রান্ত জটিলতা থাকবে।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইশরাক হোসেনের শপথ কবে হচ্ছে, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। আদালতের বিষয়টি নিষ্পত্তি হলে সরকার শপথের ব্যবস্থা নেবে।
“এখন এ সিটি করপোরেশনের মেয়রের মেয়াদ স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনের সময়টিকে বিবেচনায় নিয়ে হবে। সে হিসাবে আইন অনুযায়ী বাকি যে ক’দিন থাকবে, উনার মেয়াদের তাই হওয়ার কথা। শপথ হলেই তা স্পষ্ট হবে।”
স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ অনুযায়ী, করপোরেশন গঠনের পর প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছরকে সিটি করপোরেশনের মেয়াদ ধরা হয়।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনের পর মেয়র হিসাবে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস প্রথম সভা করেন সেই বছরের ২ জুন। তার মানে চলতি বছরের ১ জুন পর্যন্ত করপোরেশনের মেয়াদ রয়েছে। সে হিসাবে শনিবার শপথগ্রহণ করলে ইশরাক ৯ দিনের জন্য দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাবেন।
স্থানীয় সরকার স্বপ্রণোদিত হয়ে নির্বাহী আদেশেও ইশরাকের মেয়াদের বিষয়টি স্পষ্ট করতে পারে বলে মনে করেন সাবেক সচিব এ কে এম আব্দুল আউয়াল মজুমদার।
তিনি বলেন, “আর যে কয়দিন রয়েছে, সে সময়ে শপথ যদি হয়, তখন মেয়াদের বিষয়টি আসবে এবং মেয়াদের বিষয় সরকারের নির্বাহী আদেশও দিতে পারে। এটা স্থানীয় সরকার বিভাগের ওপর নির্ভর করবে।
“এখন তো জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করে প্রশাসক দিয়েছে সরকার। বিশেষ পরিস্থিতির বিষয়টি সরকারের বিবেচনায়।”
তবে ইশরাক হোসেনের আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলছেন, ‘কাগজে-কলমে’ আগামী ৯ দিনের মেয়াদ থাকলেও শপথ নিলে পরবর্তী মেয়র না আসা পর্যন্ত ইশরাকের মেয়াদ থাকবে।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোকন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২৬ মের মধ্যে শপথের ব্যবস্থা নিতে তারা বাধ্য। যদি শপথের ব্যবস্থা না করে, তাহলে আদালত অবমাননা হবে। মেয়াদ কোনো ম্যাটার নয়। পরবর্তী মেয়র নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত এ মেয়রের মেয়াদ।”
দুয়েক দিনের মধ্যে ইশরাকের শপথ হতে পারে বলে আশা করছেন ব্যারিস্টার খোকন।
তিনি বলেন, “আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ইশরাক হোসেন মেয়রের দায়িত্ব পাচ্ছেন। ইসির গেজেট হয়েছে, গেজেটের ত্রিশ দিনের মধ্যে শপথ দিতে হবে। ২৭ এপ্রিল গেজেট হয়েছে, ২৬ মে এর মধ্যে শপথ করাতে হবে। আইনি বাধ্যবাধকতা। এ সময়ের মধ্যে শপথ না দিলে আদালত অবমাননা হবে।”
২০০৯ সালের স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইনের ১৫ ধারায় বলা হয়েছে, মেয়রের পদ শূন্য হবে, যদি তিনি এ আইনে বর্ণিত কোনো কারণে মেয়র হওয়ার অযোগ্য হয়ে পড়েন; বা গেজেট হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে শপথ গ্রহণ করতে না পারেন, কিংবা যদি পদত্যাগ করেন, অপসারিত হন বা মারা যান।
আবার ২৫(১) ধারায় বলা হয়েছে, কোন সিটি করপোরেশন মেয়াদোত্তীর্ণ হলে, সরকার সিটি করপোরেশন গঠিত না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে। সেক্ষেত্রে ইশরাক শপথ নিলেও ১ জুনের পর সরকার তার জায়গায় প্রশাসক বসাতে পারবে, সেই সুযোগ আইনে রয়েছে।
ইশরাকের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা ২০০২ সালে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। সময়মত নির্বাচন না হওয়ায় সেই পদে ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯ বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেন বিএনপির তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান খোকা।
সিটি ভোট কবে?
বর্তমানে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণসহ দেশে ১২টি নগর সংস্থা রয়েছে। বাকিগুলো হলো-চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন রয়েছে।
গত ৫ অগাস্টের পর সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভায় আওয়ামী লীগ সমর্থক মেয়র, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, কাউন্সিলররা অনুপস্থিত থাকায় নাগরিক সেবা ব্যাহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে আইন সংশোধন করে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত ১৯ অগাস্ট ঢাকাসহ সব সিটি মেয়রকে অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের রায়ে জিতে বিএনপির শাহাদাত হোসেন মেয়র পদে বসেছেন। ঢাকা দক্ষিণে বিএনপির ইশরাক হোসেন এখন শপথ নেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির নির্বাচনে ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র হন আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস।
ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর গেল ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম সেই ফল বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেন।
নির্বাচনের সময় বিষয়ে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইনের ৩৪ (১) (খ) ধারায় করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী একশত আশি দিনের মধ্যে এবং ৩৪ (১) (গ) ধারায় করপোরেশন গঠন বাতিলের ক্ষেত্রে- বাতিলাদেশ জারির পরবর্তী একশত আশি দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলা হয়েছে।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি, চট্টগ্রামে ২০২০ সালের ২৯ মার্চ, নারায়ণগঞ্জে ২০২২ সালের ১৬ জানুয়ারি, কুমিল্লায় ২০২২ সালের ১৫ জুন, রংপুরে ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর, গাজীপুরে ২০২৩ সালের ২৫ মে, খুলনা ও বরিশালে ২০২৩ সালের ১২ জুন, রাজশাহী ও সিলেটে ২০২৩ সালের ২১ জুন এবং ময়মনসিংহে ২০২৪ সালের ৯ মার্চ ভোট হয়েছিল।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া ধারণা অনুযায়ী, এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী জুনের মধ্যে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের কথা রয়েছে। স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুনে স্থানীয় নির্বাচন সম্ভব।
তবে এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন বলছে, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের মূল লক্ষ্য জাতীয় নির্বাচন।
এরই মধ্যে বিএনপি দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের দাবি তুলেছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দাবি করে আসছে।
বর্তমান ইসি পুনর্গঠন ও আগে স্থানীয় নির্বাচনের দাবিতে বুধবার নির্বাচন ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে এনসিপি।
সেদিন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, “নির্বাচন কোনটা আগে হবে, কোনটা পরে হবে- এটা ইসির হাতে নেই। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে কোন নির্বাচন আগে হবে বা পরে হবে। ইসির দায়িত্ব নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।”
সিটি ভোট আয়োজনের বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোনো অনুরোধপত্র পায়নি নির্বাচন কমিশন।
রিট মামলা খারিজ, ইশরাকের শপথ নিতে 'বাধা নেই'
ইশরাকের শপথ: যেসব জটিলতায় আটকে মন্ত্রণালয়
কত মাসের জন্য মেয়র হচ্ছেন ইশরাক?
আগে জাতীয় নির্বাচন করার পক্ষে ইসি
জুনে স্থানীয় সরকার সম্ভব নয়, টার্গেট ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন
'জাতীয় নাকি স্থানীয় সরকার নির্বাচন, সেই সিদ্ধান্ত সরকারের'