Published : 09 May 2025, 05:13 PM
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনার সামনে থেকে সরে মিন্টো রোডের প্রবেশ মুখে ফোয়ারার পশ্চিম পাশে মঞ্চ পেতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সমাবেশ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের পাশের মঞ্চটিতে সমবেত হতে থাকে। সেখান থেকে কয়েকশ গজ দূরেই বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে অবস্থান করা বিক্ষোভকারীরাও মঞ্চস্থলে যোগ দিয়েছেন।
এর আগে দুপুরে বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনেই জুমার নামাজ পড়েন। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর ডাকে শুরু হওয়া এই অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী আন্দোলন এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় কর্মীরা।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বিভিন্ন পক্ষ সরব হয় সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের খবরে। হাসনাতের নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে বিক্ষোভে সংহতি প্রকাশ করে জামায়াতে ইসলামী, এবি পার্টি, ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হেফাজতে ইসলাম এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
রাত ১টার দিকে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি মিছিল যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেয়। এনসিপি গঠনের সময় জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বেরিয়ে আপ বাংলাদেশ নামে আরেকটি অরাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম আপ বাংলাদেশ গঠন করা আলী আহসান জুনাইদ ও রাফে সালমান রিফাত রাতে সেখানে যোগ দেন।
শুক্রবারও অনড় অবস্থানের মধ্যে দুপুরে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি ‘গুরুত্বের সঙ্গে’ বিবেচনা করার কথা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইনে ‘প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার’ উদ্যোগ নিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও জনগণের পক্ষ থেকে স্বৈরশাসন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার যে দাবি উঠেছে, তা সরকার গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে।”
আরও পড়ুন-
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি সরকারের বিবেচনায়: প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর