Published : 31 Oct 2023, 08:02 PM
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের আবাসিক হলে না থাকার যে নির্দেশনা দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ, সেই নির্দেশনা স্থগিত করেছে হাই কোর্ট।
একই সঙ্গে ওই নির্দেশনা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আইনুন্নাহার সিদ্দিকা ও অ্যাডভোকেট আয়েশা আক্তার।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
অ্যাডভোকেট অমিত দাশ গুপ্ত জানান, বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের হল ছাড়তে দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নোটিস আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত রাখার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
“এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিকতা লাভ ও বসবাসের শর্তাবলী এবং আচরণ ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা ২০২১ এ নারী-পুরুষ, বিবাহিত-অবিবাহিত নিয়ে যেসব বৈষম্যমূলক বিধান রয়েছে, তা আগামী ১ মার্চের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।”
শিক্ষা সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানকে এই প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে থাকা বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ‘আবাসিকতা লাভ ও বসবাসের শর্তাবলি এবং আচরণ ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা ২০২১’ এর ১৭ নং ধারা মোতাবেক বিবাহিত ও গর্ভবতী ছাত্রীরা আবাসিক সিট পাবে না।”
ওই নোটিস চ্যালেঞ্জ করে রিট করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), নারীপক্ষসহ সাতটি সংগঠন।
এর আগে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীরা আবাসিক সিট পাবে না সংক্রান্ত বিধান বাতিল করতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়।
এতে বলা হয়, হল কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার ফলে বিবাহিত ও গর্ভবতী ছাত্রীরা আবাসিক সুবিধা গ্রহণ করে উচ্চশিক্ষা অর্জনের যে সুযোগ-তা থেকে বঞ্চিত হবে।
জগন্নাথের বিবাহিত ছাত্রীদের হল ছাড়ার নির্দেশনা বৈষম্যমূলক: সিএসও