Published : 22 Oct 2023, 06:32 PM
ঠিকানা পরিবর্তন করে ঢাকার ধানমন্ডি থেকে গুলশানে স্থানান্তরিত হয়েছে এডওয়ার্ড এম কেনেডি (ইএমকে) সেন্টার।
রোববার গুলশানে এভিনিউয়ের ১১৩ নম্বর রোডে গ্র্যান্ড দেলভিস্তা ভবনে এ সেন্টারের নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বন্ধু সেনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডির নামে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও ঢাকায় আমেরিকান সেন্টারের উদ্যোগে ২০১২ সালে ঢাকায় ইএমকে সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়।
এতদিন ধানমন্ডির ২৭ নম্বরে সড়কের মাইডাস সেন্টার ভবনে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল ইএমকে সেন্টার। বর্তমানে সেন্টারের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে জাগো ফাউন্ডেশন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস বলছে, ইএমকে সেন্টার বাংলাদেশি তরুণদের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পৃক্ততার কেন্দ্র। এটি বই, ডিজিটাল উপকরণ, আধুনিক মাল্টিমিডিয়া এবং অনলাইন তথ্যসহ সমৃদ্ধ এক ভাণ্ডার।
এই সেন্টারে রয়েছে অগমেন্টেড রিয়েলিটি বা ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি প্রযুক্তিসহ একটি আধুনিক রেকর্ডিং স্টুডিও এবং ঢাকার বৃহত্তম থ্রিডি প্রিন্টারগুলোর মধ্যে একটি।
দূতাবাস জানিয়েছে, ইএমকে সেন্টারে উদ্যমী শিল্পীদের তোলা ও আঁকা ছবি এবং শিল্প প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রয়েছে। কেন্দ্রে শিক্ষার্থী, গবেষক, শিল্পী এবং উৎসাহীরা নিজেদের সমৃদ্ধ করে তুলতে, আলোচনায় যুক্ত হতে, শিক্ষাগত এবং সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখে এমন প্রকল্পগুলোতে সহযোগিতা করতে পারেন৷
ইএমকে সেন্টার এডুকেশন ইউএসএ’র অ্যাডভাইজিং সেন্টার হিসেবেও কাজ করে। চারজন বিশেষজ্ঞ অ্যাডভাইজার শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় আবেদন করতে বিনামূল্যে বিভিন্ন পরিষেবায় ব্যবস্থা করেন।
এই সেন্টার ইংরেজি ভাষাশিক্ষা, উদ্যোক্তা, স্টেম বা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রদর্শনী, এবং আমেরিকান সাহিত্য ও ইতিহাস ঘিরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, কর্মশালা এবং ইভেন্টের আয়োজন করে।
ঢাকা যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বলছে, জ্ঞান বিনিময়, দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তোলা, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্ক জোরদার করাই ইএমকে সেন্টারের লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পাবলিক এনগেজমেন্ট ডিরেক্টর শার্লিনা হুসাইন-মর্গান বলেন, “বাংলাদেশি যেই তরুণরা এই দরজা দিয়ে প্রবেশ করবেন, এটি আপনাদের কাছে আহ্বান- আপনাদের আগে যারা এখানে এসেছিল, তাদের মতো করে - শিখবার, নেতৃত্ব দেওয়ার, যুক্ত হওয়ার এবং সংযোগ করার।”
এর আগে দূতাবাসের পাবলিক ডিপ্লোমেসি কাউন্সেলর স্টিভেন ইবেলি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। যুক্তরাষ্ট্র এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, শিক্ষার্থী এবং সুশীল সমাজ, শিল্পকলা ও সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সদস্যরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।