Published : 10 Oct 2022, 07:11 PM
চার দিন আগে উত্তরার একটি বারে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযান নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর এবিষয়ে আবারও কথা বললেন ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যদের সহকর্মী উল্লেখ করে তিনি বলেন, একই উদ্দেশ্যে অবৈধ মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করি। তারা তাদের কাজটি করবে। আর আমরা আমাদের কাজটি করব।
সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে নকল মোবাইল ফোন ও সরঞ্জামসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে উত্তরার বারে অভিযানের প্রসঙ্গটি ওঠে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন জানান, পুলিশ নিজেরা যেমন অভিযান পরিচালনা করে, তেমনি কারও অভিযোগ পাওয়ার পরও অভিযান চালিয়ে থাকে।
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “গুলশান, বনানী, উত্তরাসহ অনেক এলাকা থেকে সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ এগুলো থেকে পরিত্রাণের জন্য পুলিশের কাছে সহযোগিতা চায়।“
আরেক প্রশ্নে তিনি জানান, ওই অভিযানের সময় মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের কোনো সদস্য সেখানে ছিল বা নাজেহাল হয়েছে এমন অভিযোগও কেউ করেননি।
অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কোনো সদস্যদের নেওয়া উচিত ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এ ধরনের অভিযান আমরা সব সময় করি। পুলিশ আইনগত দিন মেনেই অভিযান পরিচালনা করে। আর অভিযানে পুলিশ অনেককে বলে।“
মাদ্রকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ২৩ ধারায় কী আছে তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ভালো করেই জানেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেখানে স্পষ্ট করে বলা আছে কারা অভিযান করতে পারবেন। এটা হল আইনগত বিষয়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরার গরীবে নেওয়াজ অ্যাভিনিউয়ের কিং ফিশার রেস্টুরেন্টের উপরে অবস্থিত লেক ভিউ বারে অভিযান চালিয়ে রাতভর ‘আনন্দ-ফুর্তির’ অভিযোগে ৪৫৮ বোতল মদসহ ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। তবে ওই বারের মালিক মুক্তার হোসেনকে ধরতে পারেনি পুলিশ।
এ অভিযানের যৌক্তকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দুই কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, লেক ভিউ বারের লাইসেন্স রয়েছে।
এরপর রোববার আরেক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ক প্রশ্নে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন বলেছিলেন, “এটি কোনো বার ছিল না, বাইরে লেখা ছিল এটি রেস্টুরেন্ট।“
আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, যেখানে অসামাজিক কার্যকলাপ সেখানেই অভিযান হবে। বৈধ বারে অসামাজিক কার্যকলাপ হলে কিংবা যেখানে অবৈধ মদ বিক্রি হয় বা ডিজে পার্টির নামে অসামাজিক কাজ হয় সেখানে অভিযান করা হবে।
পুলিশের দায়িত্বই হচ্ছে নতুন প্রজন্মকে রক্ষা করা মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: