জাতীয় ক্রিকেট লিগ
Published : 28 Oct 2024, 07:20 PM
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আলো ছড়ালেন আশিকুর রহমান। চমৎকার ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি উপহার দিলেন ১৮ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। সঙ্গে জয়রাজ শেখের আশি ছাড়ানো ইনিংসে রংপুরের বিপক্ষে লিড পেল ঢাকা।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের আরেক ম্যাচে বরিশালের বিপক্ষে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত ৫ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন খুলনার এনামুল হক।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে সোমবার ১২৯ রান করেন যুব এশিয়া কাপ জয়ী আশিকুর। তার ১৮৬ বলের ইনিংসটি সাজানো ৫ ছক্কা ও ১০ চারে। সিলেটের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে এক ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে স্রেফ ১৫ রান করতে পারেন তিনি।
আশিকুরের সেঞ্চুরি ও জয়রাজের ৭ চারে ৮৭ রানের ইনিংসে তৃতীয় দিন ৩২৭ রানে শেষ হয়েছে ঢাকার প্রথম ইনিংস। ৭৪ রানের লিড পেয়েছে তারা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ২ উইকেটে ২৮ রান করে দিন শেষ করেছে রংপুর। প্রথম ইনিংসে ২৫৩ রান করা দলটি এখনও পিছিয়ে ৪৬ রানে।
১ উইকেটে ৭০ রান নিয়ে দিন শুরু করা ঢাকাকে টানেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান আশিকুর ও জয়রাজ। ৪৫ রান নিয়ে খেলতে নামা আশিকুর ফিফটিতে পা রাখেন ৬৬ বলে। আর জয়রাজের ফিফটি আসে ৯২ বলে।
তাদের ব্যাটে প্রথম সেশন কাটিয়ে দেয় ঢাকা। দ্বিতীয় সেশনে ১৩৯ বলে কাঙ্ক্ষিত তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া পান আশিকুর। সেঞ্চুরির পর রিশাদ হোসেনের বলে আশিকুর ক্যাচ তুলে দিলে ভাঙে ২০৪ রানের বন্ধন।
পরের ওভারেই বিদায় নেন জয়রাজ। ১৩ রানের জন্য শতক স্পর্শ করতে পারেননি তিনি। এরপর আরিফুল ইসলাম ২ ছক্কা ও ৩ চারে ৪১ এবং তাইবুর রহমান একটি করে ছক্কা-চারে ৩৭ রান করেন।
ঢাকার শেষ ছয় ব্যাটসম্যানের কেউ দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি। ২৪ রানে শেষ ৭ উইকেট হারায় তারা।
পরে ব্যাটিং নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি রংপুর। ৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। মোহাম্মদ রিজওয়ান ও নাঈম ইসলাম পরে আর উইকেট পড়তে দেননি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রংপুর ১ম ইনিংস: ২৫৩
ঢাকা ১ম ইনিংস: ৯০.৩ ওভারে ৩২৭ (আগের দিন ৭০/১) (আশিকুর ১২৯, জয়রাজ ৮৭, আরিফুল ৪১, তাইবুর ৩৭, শুভাগত ৪, মাহফুজুর ৯, রুবেল ৬, নাজমুল ০*, এমানুল ০, সালাউদ্দিন ০; শরিফুল ১১-১-২৬-১, মুকিদুল ১৩.৩-৪-৪৮-৩, মামুন ৮-১-২১-১, রিশাদ ১৮-১-৯৩-১, আবু হাসিম ২৩-২-৭২-১, রিজওয়ান ৮-০-৩২-১, নাঈম ৫-০-১৫-০, খালিদ ৪-০-১৫-১)
রংপুর ২য় ইনিংস: ১৪ ওভারে ২৮/২ (খালিদ ৪, রিজওয়ান ৫*, অনিক ২, নাঈম ১৭*; সালাউদ্দিন ৪-০-১৭-১, এনামুল ৪-১-৪-১, নাজমুল ৩-০-৭-০, মাহফুজুর ২-২-০-০, শুভাগত ১-১-০-০)
এনামুলের ৯৫, খুলনার ৪০৮
শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে বরিশালের বিপক্ষে সোমবার ৯ উইকেটে ৪০৮ রান করে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে খুলনা। কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৮ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে বরিশাল। এখনও ৩৮০ রানে পিছিয়ে তারা।
খুলনার বিশাল সংগ্রহের কারিগরদের একজন এনামুল। আগের দিন ৬৬ রান করে অপরাজিত থাকা ব্যাটসম্যান এদিনও খেলছিলেন দারুণ। কিন্তু সেঞ্চুরি যখন দৃষ্টি সীমানায় তখনই যেন মনোযোগ হারিয়ে ফেলেন তিনি। ১ ছক্কা ও ১০ চারে ৯৫ রান করে বিদায় নেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
চমৎকার ব্যাটিংয়ে ২ ছক্কা ও ৬ চারে ৬৭ রান করেন অমিত মজুমদার। ইমরুল কায়েস পারেননি নিজেকে মেলে ধরতে, ফেরেন কেবল ১৩ রানে। ভালো শুরু পেয়ে ৩৭ রান করে বিদায় নেন মোহাম্মদ মিঠুন।
নুরুল হাসান সোহান ফিফটি ছোঁয়ার আগে ফেরেন ড্রেসিং রুমে। এই কিপার-ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে আসে ১ ছক্কা ও ২ চারে ৪৪ রান। মেহেদি হাসানের ১ ছক্কা ও ৬ চারে গড়া ৬৩ রানের ইনিংসে চারশ পার হয় দলের রান।
বরিশালের সফলতম বোলার তানভির ইসলাম। ১২৪ রানে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন বাঁহাতি এই স্পিনার। দুটি প্রাপ্তি পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বির।
দিনের শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নামা বরিশালকে কোনো উইকেট হারাতে দেননি ইফতেখার হোসেন ও আব্দুল মজিদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
খুলনা ১ম ইনিংস: ১১০.২ ওভারে ৪০৮/৯ ডিক্লে (আগের দিন ১৩০/১) (এনামুল ৯৫, অমিত ৬৭, ইমরুল ১৩, মিঠুন ৩৭, সোহান ৪৪, মেহেদি ৬৩, জিয়াউর ৮, নাহিদুল ৫, টিপু ০*; কামরুল ২০-৩-৫৮-২, নুর ১৫-০-৮৭-০, তানভির ৩৯.২-৪-১২৪-৪, মইন ১৯-২-৭৪-১, সালমান ৫-০-১০-০, গাজী ১২-২-৪৩-১)