Published : 27 May 2021, 08:24 PM
শিল্পের কথা বললে দৃশ্য শিল্প এবং করণ শিল্পের কথা প্রথমেই স্থান পায়। এর মধ্যে ভাস্কর্য, অঙ্কন, সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি, থিয়েটার, সিনেমা, ফটোগ্রাফিসহ অনেককিছুর কথাই মাথায় আসে। অন্যদিকে আমরা প্রজনন শিল্প, নিষ্কাশন শিল্প, নির্মাণ শিল্প, উৎপাদন শিল্প এবং সেবা শিল্পের কথাও জানি। আবার একটু অন্যভাবে বলতে গেলে সংজ্ঞার আলোকে আমরা যে সকল শিল্প খুঁজে পাই সেগুলো হলো: বৃহদায়তন বা বৃহৎ শিল্প, ক্ষুদ্রায়তন শিল্প, মাঝারি শিল্প, অতিক্ষুদ্র শিল্প, অগ্রাধিকার শিল্প, ভোগ্য শিল্প, মাধ্যমিক দ্রব্য শিল্প, হাইটেক শিল্প, সংরক্ষিত শিল্প, নিয়ন্ত্রিত শিল্প, আমদানি বিকল্প শিল্প, রপ্তানীমুখী শিল্প, মূলধনী দ্রব্য শিল্প এবং কুটির শিল্প।
বলা হয়ে থাকে পর্যটন হলো বৃহত্তম শিল্প এবং এর গুরুত্ব সর্বজনীন। জাতীয় পর্যটন নীতিমালা-২০১০-এর একেবারেই শুরুতে এটিকে 'বহুমাত্রিক' শিল্প হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু পর্যটনকে কেন শিল্প বলা হয়ে থাকে? সেটা কি আমরা নিরূপণ করেছি? সংজ্ঞার আলোকে আমরা যে সকল শিল্প নির্ধারণ করেছি পর্যটন কি সেগুলোর (এক বা একাধিক) মধ্যেই পড়ে? তাহলে আলাদাভাবে পর্যটনকে শিল্প বলার কারণ কি?
আমার মনে হয়, পর্যটনকে কেন শিল্পের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে সে কারণটা যদি আমরা খুব ভালোভাবে খুঁজে দেখতে পারি, তাহলে শিল্প হিসেবে পর্যটনের গুরুত্ব ও তাৎপর্যটাও আমরা খুব গভীরভাবেই অনুধাবন করতে পারবো।
বইয়ের ভাষায় একদিকে শিল্প হলো: প্রাথমিক দ্রব্যকে কারখানাভিত্তিক উৎপাদন প্রণালীর মাধ্যমে মাধ্যমিক বা চূড়ান্ত দ্রব্যে রূপান্তরের ক্রিয়া। আর অন্যদিকে উইকিপিডিয়া শিল্পকে সংজ্ঞায়িত করেছে অনেকটা এভাবে: "চিরায়ত ও চিরন্তন নৈসর্গিক প্রকৃতিকে শিল্পীর নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে উদ্ভূত রং, রেখা, শব্দ বা রূপকের আশ্রয়ে প্রকাশ করে সেই অনুভূতি অন্যের মনে সঞ্চারের মাধ্যমে একটি পরিচয়বোধের সঞ্চারণ ঘটানোকেই শিল্প বা আর্ট হিসেবে অভিহিত করা হয়।"
তাহলে শিল্পের মূলত দুটি দিক স্পষ্ট একটি শৈল্পিক দিক যেটিকে শিল্পসমৃদ্ধ ও সৃজনশীল বলা যেতে পারে। অন্যটি উৎপাদন, অর্থনৈতিক কিংবা বাণিজ্যিক। ফলে পর্যটনকে যদি সত্যিই শিল্প হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় তাহলে এ দুইটি দিকের সমন্বয়ে একটি সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নিরূপণ করাটা জরুরি হবে।
পর্যটন ক্ষেত্রে সম্প্রতি উন্নয়নের নামে অনেক ঐতিহ্য ধ্বংস করা হচ্ছে, এর অনেকগুলো উদাহরণ আমরা চোখের সামনে দেখতে পাই। যেমন: নতুন বহুতল ভবন নির্মাণের নামে কুমিল্লা টাউন হল ভাঙা এবং সার্বিকভাবে ত্রিপুরার মহারাজার স্মৃতি ও স্থাপত্যশৈলী ধ্বংসের উদ্যোগ গ্রহণ; বান্দরবানে পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণ ইত্যাদি।
এর বাইরে পর্যটনসমৃদ্ধ বিভিন্ন স্থানের অনেক অপ্রত্যাশিত চিত্র করোনাভাইরাস সংক্রমণের এ সময়েও আমরা বিশেষভাবে প্রত্যক্ষ করেছি; যেমন: রাজবাড়ীর দ্বারকানাথ মঠের আশেপাশে ঘরবাড়ি তৈরি হওয়া এবং চারপাশ থেকে অপরিকল্পিতভাবে মাটি খনন করা, ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের অবহেলা ও অযত্নসহ নানা ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ চলতে থাকা, সেইন্টমার্টিনে পরিবেশ অধিদপ্তরের ১৪ দফা নির্দেশনা সংবলিত গণবিজ্ঞপ্তি কার্যকর না হওয়া, পর্যটক সমীক্ষার অভাব ও সমন্বিত পরিকল্পনা এবং নীতিমালা প্রণয়নের ঘাটতি, পর্যটন নিয়ন্ত্রণের অভাবে গোয়াইনঘাটের জলাবন রাতারগুলের পরিবেশ ও প্রতিবেশ নষ্ট হওয়া, কুয়াকাটায় অবৈধ দোকানপাট ও রেস্তোঁরাসহ অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ইত্যাদি।
পৃথিবীর দীর্ঘতম বালুকাময় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার, অনুপম সমুদ্র বেলাভূমি কুয়াকাটা, সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন, প্রবহমান একাধিক মহানদীসহ অসংখ্য নদ-নদী, বন, পাহাড়, হ্রদ, চা-বাগান, হাওড়-বাওড় বৈচিত্র্যপূর্ণ এসবকিছুই আমাদের পর্যটনের সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের আরও আছে বন্যপ্রাণী, অসংখ্য বিরল জীবজন্তুর জীববৈচিত্র্য।
এছাড়া পর্যটনসমৃদ্ধ প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন ও স্থানসমূহ মধ্যে আমাদের আরও রয়েছে: প্রাচীন মসজিদ, বৌদ্ধবিহার, মন্দির, সাধারণ বসতি, আবাসিক গৃহ, নহবতখানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, জমিদার প্রাসাদ, মুদ্রা, প্রাচীন পুঁথি, পোড়ামাটির ফলকচিত্র, পাথরের ভাস্কর্য, মৃৎপাত্র ইত্যাদি। অথচ সার্বিকভাবে এগুলোর যথাযথ সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রায় সবসময়ই আমরা উদাসীন থাকতে দেখেছি।
এমনকি করোনাভাইরাসের এ সংকটে সময়েও পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে এমন অনেক ঘটনা ও মানুষের আচরণসমূহ আমরা দেখেছি। যেমন: যেখানে আগুন জ্বালানো যাবে না তেমন স্থানে আগুন জ্বালিয়ে রান্না করা, যেখানে উচ্চশব্দে গানবাজনা বাজানো যাবে না সেখানে বাজানো, প্লাস্টিক সামগ্রীর অত্যাধিক ব্যবহার ও যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে পরিবেশকে নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন করে তোলা ইত্যাদি।
জাতীয় পর্যটন নীতিমালা ২০১০ এ খুব সুস্পষ্টভাবেই বলা হয়েছে, "পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ ব-দ্বীপ বাংলাদেশ একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ পর্যটন সম্ভাবনাময় দেশ"। আমাদের দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে আছে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের সমৃদ্ধ ভাণ্ডার। এগুলো নিঃসন্দেহে একটি দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরতে এবং আমাদের ইতিহাস বিনির্মাণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া পর্যটনকে জাতিগত সংযোগ, সৌহার্দ্য ও বিশ্বভাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠার অন্যতম বাহন বললেও বোধহয় অত্যুক্তি হবে না।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমরা এমনভাবে আমাদের পর্যটন শিল্পকে গড়ে তুলতে পারিনি যার মধ্য দিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশ, ইকোসিস্টেম ও সার্বিকভাবে প্রাণবৈচিত্র্য সুরক্ষিত থাকবে। আমাদের জাতীয় সম্পদসমূহ রক্ষা পাবে। এর সবচাইতে বড় কারণ হিসেবে আমার কাছে মনে হয় পর্যটন ও শিল্প এ দুটোকে আলাদাভাবে বুঝতে পারার ঘাটতি।
পর্যটন যে শিল্প সেই শিল্পকে রক্ষা করার গুরুত্ব ও বোধ যদি প্রতিটি পর্যায়ের মানুষের মধ্যে তৈরি না হয় তাহলে শিল্প হিসেবে সেটিকে রক্ষার জন্য মানুষ উদ্যত হবে কেন? তাই শিল্প হিসেবে পর্যটনকে আলাদাভাবে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম বলেই আমার কাছে মনে হয়।
ব্যক্তিগত আলাপচারিতার এক পর্যায়ে এ প্রসঙ্গে মন্তব্য জানতে চাইলে খ্যাতিমান শিল্প সমালোচক ও স্বনামধন্য শিক্ষক অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, "পর্যটন একটি শিল্প। তবে শিল্প সংজ্ঞায়িত করাটা কঠিন। কারণ এটা একেকজনের কাছে একেকরকম। নন্দনতত্ত্ব নিয়ে বিতর্ক অনেক পুরোনো। তবে এ নিয়ে আবার নতুন করে বিতর্ক হতে পারে। কারণ আমাদের দেশে পর্যটন তেমন কিছু উৎপাদন করে না, বরং উপস্থাপন করে। ফলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে শতভাগ ঠিক রেখেই পর্যটন নিশ্চিত করতে হবে। এমনকি আচার-আচরণ, কৃষ্টিগত বিষয়ও অনেকের কাছে পর্যটন হতে পারে। তাই প্রচেষ্টা থাকতে হবে আরও ভালোভাবে উপস্থাপন করার। এছাড়া প্রতিটি পর্যটনসমৃদ্ধ স্থান হতে হবে নান্দনিক এবং সাংস্কৃতিক, সেখানে সূক্ষ্ম বিষয়কেও গুরুত্ব দিয়ে উপস্থাপন করতে হবে। সেটির ব্যবসায়িক ও বাণিজ্যিক মূল্যও নিঃসন্দেহে থাকবে। নদীতে বেড়ানো, সেটাই একটা পর্যটন কিন্তু দুর্গন্ধে যদি কাছেই যাওয়া না যায়, তাহলে সেটার আর পর্যটনের মূল্য থাকে না।"
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অসাধারণ প্রতিভাবান শিল্পী শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন পর্যটন প্রসঙ্গে নিজস্ব অভিমত ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, "…বাংলাদেশ, এটি আমার দেখা সর্বাধিক সুন্দর দেশ।… একটি দেশের আসল পরিচয় তার অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য এবং অন্তর্চেতনাতে। যে বিদেশি বাংলাদেশ সফর করতে এবং প্রশংসা করতে চায়, তার অবশ্য অবশ্যই এর অভ্যন্তরীণ মনোমুগ্ধের সাথে তার বাহ্যিক সৌন্দর্য্যেরও সন্ধান পেতে হবে।… বাঙালি এবং একটি মুক্ত দেশের মানুষ হিসাবে, আমাদের সুন্দর ভূমির আসল সৌন্দর্য উপস্থাপনের দায়িত্ব আমাদেরই।" (সূত্র: জয়নুল আবেদিন: তাঁর কাজ ও কথা, পাঠক সমাবেশ)।
আমরা জানি যে, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পর্যটন সংক্রান্ত বিষয়গুলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছিল। পরবর্তী সময়ে কয়েকদফা গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের মাধ্যমে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় একটি মন্ত্রণালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলে পর্যটন সংক্রান্ত বিষয়গুলো এই মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে আসা হয়।
কিন্তু পর্যটন শুধুমাত্র বাণিজ্য কিংবা বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বিষয় নয়। এর সাথে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন অধিদপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে যেমন: প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। দায়িত্ব রয়েছে বিভাগের যেমন: বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদেরও এ সকল ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট ভূমিকা ও দায়িত্ব রয়েছে।
এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নীতিমালাসমূহও অনুসরণের আলাদা প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, যেমন: আন্তর্জাতিক পুরার্কীতি নীতিমালা। সুতরাং সার্বিক দিক চিন্তা করে পর্যটনের জন্য বাস্তবধর্মী নীতিমালা প্রণয়ন এবং টেকসই আইন ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো জরুরি বলেই আমার কাছে মনে হয়। যার মধ্য দিয়ে কেবলমাত্র নামে নয়, সত্যি সত্যিই শিল্প হিসেবে পর্যটনকে আমরা বিকশিত করে তুলতে পারবো।
প্রসঙ্গত আশার কথা হলো, আমাদের দেশে পর্যটন করপোরেশন ও ট্যুরিজম বোর্ড গঠিত হয়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড (নিবন্ধন ও পরিচালনা) বিল ২০২১ নামে পর্যটন শিল্প ও পর্যটকদের স্বার্থ সংরক্ষণে নতুন একটি আইন প্রণয়নের উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু আইন চূড়ান্তকরণের এই প্রয়াসে প্রত্নতত্ত্ববিদ, ইতিহাসবিদ, ঐতিহ্য বিশেষজ্ঞ, স্থপতি, পরিকল্পনাবিদ ও সংস্কৃতিকর্মীদেরও মতামত বিশেষভাবে গ্রহণ করার প্রয়োজন আছে বলেই আমি মনে করি।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের এ সময়টা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সংক্রমণ কিছুটা হ্রাস পেলে কোনোরকম স্বাস্থ্য বিধি-নিষেধ না মেনেই আমরা পর্যটন শিল্প চাঙ্গা হতে দেখেছি। এজন্য সাময়িকভাবে নানান সচেতনতাধর্মী ও প্রচারণামূলক উদ্যোগ এবং ব্যবসাসহ নানামুখি কর্মকাণ্ড আমরা লক্ষ্য করি, যা নিতান্তই অপ্রতুল। কিন্তু প্রকৃতঅর্থে পর্যটনশিল্পকে চাঙ্গা করে তুলতে হলে ও রাখতে হলে এজন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা এ মুহূর্তে সবচাইতে জরুরি। আর সেই পরিকল্পনার অধীনেই সবার আগে প্রয়োজন হবে শিল্পকে আলাদাভাবে সংজ্ঞায়িত করা।
যেখানে পর্যটক বা পর্যটনকেন্দ্র আছে, সেখানে ব্যবসা ও বাণিজ্য থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রতিটি পর্যটন স্থান কীভাবে শিল্প হয়ে উঠবে কিংবা শিল্প সমুন্নত থাকবে, তার রূপকল্প তৈরি করাটাই সেই পরিকল্পনার মূখ্য বিষয় হবে। আর তাহলেই মানুষ পর্যটক হিসেবে যে উদ্দেশ্যে পর্যটন স্থানে যায়- সে উদ্দেশ্য সফল ও সার্থক হবে। পর্যটন স্থানসমূহের শৈল্পিক দিক ও পরিবেশবান্ধব পরিবেশও সুরক্ষিত থাকবে এবং সার্বিকভাবে পর্যটনের মাধ্যমে বিশ্বে অর্থনৈতিক, মানবিক ও আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও উন্নত হবে।