Published : 24 Aug 2024, 12:15 AM
নোয়াখালীতে বৃষ্টি কমলেও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। মানুষ ভোগান্তির মধ্যে দিনযাপন করছেন।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, জেলার আট উপজেলার ৮৭ ইউনিয়নের ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। বেশিরভাগ এলাকায় সড়ক ও বাড়িঘর চাার থেকে পাঁচ ফুট পানির নিচে তলিয়ে আছে। নিরূপায় হয়ে লোকজন স্কুল, মাদ্রাসাসহ আশপাশের উঁচু ভবনে আশ্রয় দিয়েছে।
প্রায় সবগুলো সংযোগ সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় লোকজন নৌকায় করে বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়ের খোঁজে বেরিয়ে আসতে হচ্ছে।
জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, “নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এটি এর আগের ২৪ ঘণ্টার প্রায় অর্ধেক।”
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জাহিদ হাসান খান জানান, শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় সরকারিভাবে ৫০২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, সরকারিভাবে ২৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ও ৫০৫ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। মজুদ আছে ২০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা এবং ১ হাজার ২৯৫ মেট্রিক টন চাল।