Published : 12 Mar 2025, 07:48 PM
নেত্রকোণার খালিয়াজুরী উপজেলায় ইজিবাইকে করে প্রাইভেটে যাওয়ার পথে দশম শ্রেণির এক কিশোরীকে মারধর ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুই যুবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনার তিন দিন পর মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর বাবা থানায় অভিযোগ করলে রাতেই অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করা হয় বলে জানান খালিয়াজুরী থানার ওসি মো. মকবুল হোসেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার কুঁড়িহাটি এলাকার মো. মিজান মিয়া (৩০) এবং লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা ইজিবাইক চালক নাজমুল (২৮)।
আহত ওই কিশোরীকে সিলেটের একটি হাসাপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার হাত-পা ও শরীরে বিভিন্ন অংশ জখম হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবার।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, শনিবার সকালে প্রাইভেট পড়তে ওই ছাত্রী ইজিবাইকে করে উপজেলা সদরে যাচ্ছিল। এ সময় ইজিবাইকে মিজান মিয়া ছিলেন। পথে হাওরের নির্জন স্থানে মিজান ওই ছাত্রীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। বাধা দিলে তাকে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করেন মিজান।
পরিস্থিতি খারাপ দেখে ইজিবাইক থামাতে বলে ওই ছাত্রী। নেমে যাওয়ার সময় মিজান তার জামা টেনে ধরেন এবং চালককে দ্রুত ইজিবাইক চালার নির্দেশ দেন। ইজিবাইক দ্রুত চলতে শুরু করলে ওই ছাত্রী ঝুলে থাকে। এতে সড়কে ঘষা খেয়ে তার হাত, পা, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ জখম হয়।
এ সময় তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা মেয়েটিকে উদ্ধার করে খালিয়াজুরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।
মেয়েটির বাবা বলেন, “শ্লীলতাহানির অত্যাচারে আমার মেয়ে ইজিবাইক থেকে নেমে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু বখাটেরা জামা টেনে ধরে ইজিবাইক ঝুলিয়ে অনেকটা পথ নিয়ে যায়। এতে পাকা রাস্তায় লেগে তার হাত, পা, মাথাসহ শরীরের অনেক অংশের চামড়া উঠে ক্ষত হয়েছে।
“প্রথমে তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। তবে চেনাজানা চিকিৎসক থাকায় মেয়েকে সিলেট নিয়ে ভর্তি করাই।”
মঙ্গলবার রাতে তিনি থানায় অভিযোগ করেন। পরে রাতেই ওই দুইজনকে আটক করে পুলিশ।
ওই কিশোরীর বাবা সাংবাদিকদের বলেন, “শনিবার ঘটনাটি ঘটলেও কেউ মেয়েটার খবর নেয়নি। একবার দেখতেও আসেনি। এখন তাদের আটকের পর বিষয়টি সমাধান করবে বলতেছে কয়েকজন। আমি চাই অপরাধীদের বিচার হোক।”
খালিয়াজুরী থানার ওসি মকবুল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। আটক দুইজনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।