Published : 15 May 2025, 10:15 AM
তাপপ্রবাহের সংকট দেখিয়ে আমচাষিদের চাপের মুখে সাতক্ষীরার হিমসাগর আম সংগ্রহের ক্যালেন্ডারে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ফলে বৃহস্পতিবার থেকেই বাজারে পাওয়া যাবে সুস্বাদু জাতের এই আম।
বুধবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসনের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।
আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ২০ মে থেকে জেলার ব্র্যান্ড আমের জাত হিমসাগর ও ২৫ মে থেকে ল্যাংড়া পাড়ার কথা। কিন্তু প্রচণ্ড তাপদাহে হিমসাগর আম অগ্রিম পাকা শুরু করে।
একইসঙ্গে পাকা আম গাছ থেকে ঝরে পড়তে থাকলে বাধ্য হয়ে চাষিরা জেলা প্রশাসনের নির্ধারিত সময়সূচি উপেক্ষা করে আম সংগ্রহ করে বাজারে উঠাতে শুরু করেন।
ফলে চাষি-ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে হিমসাগর আমপাড়ার সূচিতে পরিবর্তন আনে জেলা প্রশাসন।
এদিকে, বুধবার রাতেই শহরের সুলতানপুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, হিমসাগর আমে বাজার সয়লাব। প্রতি মণ হিমসাগর আম বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায়।
ব্যবসায়ীদের দাবি, প্রশাসনের আম সংগ্রহের নির্দেশনার ২০ মের আগেই গাছে আম পরিপক্ব হয়ে ঝরে পড়ছে, সে জন্য বাধ্য হয়ে বাজারে আম তুলছেন তারা।
তবে চাহিদানুযায়ী দাম না পাওয়ারও অভিযোগ করেছেন চাষিরা। তারা জানান, এই আম কয়েকদিন আগে বাজারে তুলতে পারলে ৩ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকায় প্রতি মণ বিক্রি হতো। এতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
তবে এরমধ্যেও বাজারের আম ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান মনে করেন একশ্রেণির অসাধু মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীদের কৃত্রিম চাপেই প্রশাসনকে বাধ্য করা হয়েছে আম সংগ্রহের তারিখ বদলাতে।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, “হিমসাগর ’পেকে যাচ্ছে-পেকে যাচ্ছে’ বলে যে রব উঠানো হচ্ছে, সেটি আসলে বাস্তবতা না। কারণ এক সময়ে সব আম গাছের আম পাকে না। তারপরও সবার চাপে আম ক্যালেন্ডার পরিবর্তন করা হলো।”
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য নিরাপদ আম ভোক্তার কাছে নিশ্চিত করা। তাই আম ক্যালেন্ডারে পরিবর্তন হয়েছে।
“কিন্তু কাঁচা আম কৃত্রিম উপায়ে পাকিয়ে বিক্রির চেষ্টা করলে প্রশাসন আইন অনুযায়ী যে ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রয়েছে তার ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন হবে না।”