Published : 23 Jan 2025, 11:54 AM
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে এক ইউপি সদস্যের গুদাম থেকে ৪৯ বস্তা টিএসপি ও ডিপিএ নকল সার জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের দাতমন্ডল গ্রামে মেসার্স কাউছার এন্টারপ্রাইজের গুদামে এ অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে জানান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রবিউস সারোয়ার।
মেসার্স কাউছার এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী মো. কাউছার উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও যুবলীগের নেতা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এক মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় তিনি পলাতক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দাতমন্ডল গ্রামের একাধিক কৃষক বলেন, কয়েক বছর ধরে কাউছারের কাছ থেকে সার কিনে জমিতে দেওয়া হচ্ছে কিন্তু কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। পরে বিষয়টি কৃষি অফিসকে জানান তারা। তখন কৃষি কর্মকর্তারা যাচাই করে দেখেন সব সার নকল।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা কাউছার মিয়া নকল সারের ব্যবসা করে আসছে বলে অভিযোগ ছিল। কিন্তু প্রমাণের অভাবে আইনগত প্রদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বুধবার সন্ধ্যার দিকে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় কাউছার মিয়ার গুদাম থেকে ৪৯ বস্তা টিএসপি ও ডিএপি নকল সার জব্দ করা হয়।
পরে গুদামে থাকা কর্মচারী রিপন মিয়াকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রবিউস সারোয়ার বলেন, ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪১ ধারা লঙঘনের দায়ে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। পাশাপাশি তার লাইসেন্সটি বাতিল করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
অভিযানে সহযোগিতা করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন ও নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পুতুল রানী।