Published : 06 Oct 2024, 01:27 AM
যুবকের প্রেমের টানে কুমিল্লায় এসে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন এক ইন্দোনেশিয়ার তরুণী।
শুক্রবার দুপুরে নগরীর ঝাউতলা এলাকার এলিট প্যালেস নামে একটি হোটেলের কনভেনশন হলে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠান হয়।
বর আহাম্মদ উল্লাহ ইমতিয়াজ অপু (৩২) কুমিল্লা নগরীর রেসকোর্স এলাকার শামসুদ্দিন আহাম্মদ ও ফরিদা ইয়াসমির দম্পতির ছেলে।
কনে নাজিফা মুনজারিন সিনতা (২৫) ইন্দোনেশিয়ার মেডান রাজ্যের তেবিংতিংগি এলাকার উইলিয়াম সিনাগা ও মাসনিয়ার ডুলকের মেয়ে।
সিনতা জন্মগতভাবে খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী হলেও বাংলাদেশে এসে ইসলাম গ্রহণ করে মুসলিম রীতি অনুযায়ী অপুকে বিয়ে করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকার উইন্ড কনভেনশন ও পার্টি সেন্টারে তাদের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হয়।
আহাম্মদ উল্লাহ ইমতিয়াজ অপু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় প্রবাস জীবনে আছেন তিনি। সেখানে একই কোম্পানিতে কাজ করার সুবাদে পরিচয় হয় সিনতার সঙ্গে।
একপর্যায়ে ভালো বন্ধুত্ব হয় দুজনের। পরে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ান। ভালোবাসাকে সত্যিকারের রূপ দিতে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তারা।
অপু আরও বলেন, সিনতা মালয়েশিয়া থাকলেও তার পরিবার ইন্দোনেশিয়ায় বসবাস করে।
“সে তার পরিবারের সবাইকে জানিয়েই বাংলাদেশে এসেছে এবং পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে হয়েছে। কয়েকদিন বাংলাদেশে থাকার পর ইন্দোনেশিয়ায় ফিরব আমরা।”
তার ভাষ্য, সেখানে গিয়ে সেদেশের রীতি অনুযায়ী আবার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হবে সিনতার পরিবারের পক্ষ থেকে।
সদ্য বিয়ে করা সিনতা সম্পর্কে ইমতিয়াজ অপু বলেন, “সে খুবই ভালো মেয়ে। তার সাথে আমার দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক। তাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়ে আমি ধন্য।”
দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে সবার দোয়া চেয়েছেন অপু।
কনে নাজিফা মুনজারিন সিনতা ইন্দোনেশিয়ার ভাষায় বলেন, বাংলাদেশের মানুষ খুবই আন্তরিক। এ দেশের মানুষের আতিথেয়তায় তিনি মুগ্ধ হয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষও তাকে আপন করে নিয়েছেন।
অপুকে স্বামী হিসেবে পেয়ে ‘জীবন ধন্য হয়েছে’ বলেও তার ভাষ্য।
অপুর মা ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, “আমরা মনেই হয় না, আমার ঘরে নতুন বউ এসেছে। মনে হচ্ছে, আমার একটি মেয়ে ঘরে এসেছে। আমার তিনটা ছেলে, কোনো মেয়ে নেই। আজকে থেকে সিনতা আমার মেয়ে হয়ে থাকবে। আল্লাহর কাছে শোকর যে, তিনি আমার মনের মত একটি মেয়ে মিলিয়ে দিয়েছেন।”