Published : 29 Aug 2024, 10:36 PM
রাজশাহীর গোদাগাড়ীর নিখোঁজ জুয়েলারি ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনকে তুলে নেওয়ার অভিযোগে র্যাবের সাত সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার আমলি আদালতের বিচারক লিটন হোসেন এ আদেশ দিয়েছেন বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী মাহমুদুর রহমান।
আগের দিন বুধবার দুপুরে ব্যবসায়ীর স্ত্রী নাইস খাতুন র্যাব-৫ এর রেলওয়ে কলোনি ক্যাম্পে ২০১৬ সালে কর্মরত সাতজনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন।
আইনজীবী মাহমুদুর বলেন, আদালত ২৪ নভেম্বর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে।
মামলার আসামিরা হলেন- র্যাব-৫ এর তৎকালীন রাজশাহীর রেলওয়ে কলোনি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার শাহিনুর রহমান, উপপরিদর্শক (এসআই) দেবব্রত মজুমদার, দুলাল মিয়া, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কামাল হোসেন, ল্যান্স নায়েক মাহিনুর খাতুন, সিপাহী কহিনুর বেগম ও কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম।
মামলার বাদী নাইস খাতুন গোদাগাড়ী পৌরসভার মহিষালবাড়ি আলীপুর মহল্লার বাসিন্দা।
মামলার বরাতে আইনজীবী বলেন, ২০১৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ইসমাইল হোসেনকে (৩০) উপজেলা সদর ডাইংপাড়া মোড় থেকে র্যাব সদস্যরা তুলে নিয়ে যান বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। তিন দিন পর ইসমাইল অন্য এক ব্যক্তির মোবাইল নম্বর থেকে কল করে পরিবারকে বলেন, তিনি র্যাবের হেফাজতে আছেন।
এজাহারে অভিযোগ করা হয়, র্যাব সদস্যরা যখন ইসমাইলকে তুলে নিয়ে যান তখন অনেকেই দেখেছেন। এ ছাড়া মাদক পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া দুই ব্যক্তি র্যাব ক্যাম্পে থাকা অবস্থায় সেখানে ইসমাইলকে দেখেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার খোঁজও মেলেনি।
ইসমাইল হোসেনের পরিবার এতদিন মনে করতেন, কথিত আয়নাঘরে ইসমাইলকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তাই আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ‘আয়নাঘর’ থেকে কেউ কেউ ফিরে এলে ইসমাইল হোসেনের ছোট ভাই ইউসুফ আলীও ঢাকায় ছুটে যান।
তিনি কয়েকদিন ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করেন কথিত আয়নাঘরের সামনে। ইসমাইলের ছোট দুই সন্তানও অপেক্ষায় থাকেন বাবার। কিন্তু ইসমাইলকে ছাড়াই বাড়ি ফিরতে হয়েছে ইউসুফকে। এরপরই র্যাবের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হলো বলে বলা হয়েছে।