Published : 23 Nov 2023, 10:26 PM
“ভাই, আমি ডাকাইত না, আমি চোর। অভাবে পইড়া গ্রামে কদু ও মুরগি চুরি করছি। এগুলা চুরি কইরা তো বেচি নাই। খাইছি।”
ডাকাতির মামলায় বরিশাল আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) হাতে গ্রেপ্তার হওয়া বরগুনার বামনা উপজেলার সোনাখালী গ্রামের মিলন হাওলাদার (২৮) সাংবাদিকদের কাছে এভাবেই স্বীকারোক্তি দেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কৌশলে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে মিলনকে গ্রেপ্তার করে এপিবিএন। এ সময় তার সহযোগী একই উপজেলার ঢুষখালী গ্রামের বেল্লাল খাঁকে (৩৩) গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তাদের নিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ।
পুলিশ সুপার জানান, বেল্লালের নামে ঝালকাঠির কাঠালিয়া থানায় একটি ও বামনা থানায় দুটি ডাকাতির মামলা রয়েছে। আর মিলনের বিরুদ্ধে রাজাপুর থানায় দুটি ও ভাণ্ডারিয়া থানায় একটি মামলা রয়েছে।
“তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে অবস্থান শনাক্ত করে তাদেরকে বামনা থানা পুলিশের সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলন শেষে গ্রেপ্তার মিলনের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান উপস্থিত সাংবাদিকরা। তিনি কালো সুয়েটার আর জিন্স প্যান্ট পড়েছিলেন।
কীভাবে গ্রেপ্তার হলেন জানতে চাইলে মিলন বলেন, “এক নারী পুলিশ সদস্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী পরিচয় দিয়ে প্রথমে আমার মোবাইল ফোনে কল করে। তারপর কথা বলতে বলতে প্রেম হয়। তার সঙ্গে দেখা করার জন্য সহযোগী বেল্লালকে নিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আসি। তখন পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
তিনি বলেন, “একটি ডাকাতি মামলায় আসামি হওয়ার পর আর ডাকাতি করি নাই। টুকটাক চুরি করেছি। ভালো হতে চেয়েছি। লাভ অইলো কই?
“ডাকাতি কইরা এহন কি কিছু পাওয়া যায় কন? কারও ঘরে কি একটু সোনাও পাওন যায়”, সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন রাখেন মিলন।
এপিবিএনের পরিদর্শক শাহ মো. ফয়সাল বলেন, গ্রেপ্তার দুই ডাকাত সদস্যকে বরগুনার বামনা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।