Published : 10 Dec 2022, 10:01 PM
কুড়িগ্রামে বিচারাধীন রৌমারী খেয়াঘাট নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ-জেলা পরিষদের মধ্যে চলছে রশি টানাটানি।
এ নিয়ে ঘাট এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১০ নভেম্বর হাই কোর্ট কুড়িগ্রামের ২২টি খেয়াঘাটের মধ্যে চিলমারী উপজেলার রমনা শ্যালোঘাট ও জোড়গাছ ঘাট বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ- বিআইডব্লিউটিএ-র হাতে দেয়। বাকি ঘাটগুলো আগের মত কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদকে পরিচালনা করার দায়িত্ব দিয়ে সরকারিভাবে গেজেট প্রকাশ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে চিলমারী, রৌমারী ও রাজীবপুর ঘাটের মালিকানা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চরম দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
একই ঘাট উভয় পক্ষ ইজারা দেওয়ায় এ নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।
উভয় পক্ষের লোকজন বিভিন্ন সময় দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ায় ঘাট দিয়ে পারাপার হওয়া সাধারণ মানুষ আতংকে ছিলেন।
সবশেষ হাই কোর্টের রায় ও সে অনুযায়ী গেজেট প্রকাশ করা হয়।
তবে বিআইডব্লিউটিএ রৌমারী ও রাজীবপুর খেয়াঘাটকে নিজের দাবি করায় উভয় পক্ষের দ্বন্দ্ব থেকেই যায়।
কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান জানান, দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব অবসানে হাই কোর্ট গত ১০ নভেম্বর এক রায়ে চিলমারী উপজেলার রমনা নৌঘাট ও জোড়গাছ ঘাট বিআইডব্লিউটিএ-কে দেয়।
এর বাইরে ফকিরেরহাট, খেয়ারচরঘাট, গোয়ালের চর ঘাট, ভেলামারী, নটারকান্দি, বাগুয়ারচর (খঞ্জনমারা), ফুলুয়ারচর, কুটিরচর, মদাব্যাপারীরঘাট, কোদালকাটি, খারুভাজ, তারাবর, আজিজ মাস্টারের ঘাট, মদনের চর, বলদমারা, ফুলুয়ারচর, কর্ত্তিমারী, খেওয়ার ফাঁড়ি, পালেরচর ও চাক্তাবাড়ী খেয়াঘাটকে কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের আওতায় পরিচালনার জন্য রায় দেয়; সে অনুযায়ী গেজেট প্রকাশ করা হয়।
“কিন্তু বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দিচ্ছে।”
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ বিআইডব্লিউটিএ বাঘাবাড়ী নদী বন্দরের সহকারী বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “চিলমারীর রমনাঘাট ও জোড়গাছ ঘাট সরাসরি বন্দর কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। রাজীরপুর ও রৌমারীঘাটের মালিকানা নিয়ে মামলা আছে। গেজেট হলে ওই ঘাটগুলো পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আসবে।”