Published : 06 Apr 2023, 10:08 PM
শরীয়তপুর সদরে ‘ঘুষের’ ৫০ হাজার টাকাসহ বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) এক কর্মকর্তাকে আটক করেছে বলে দুদক জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এ অভিযান চালানো হয় বলে দুদক মাদারীপুর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আতিকুর রহমান জানান।
আটক মোহাম্মদ মনির হোসেন বিসিক শরীয়তপুর জেলা উপ-ব্যবস্থাপক।
কয়েক দিন আগে মাদারীপুর জেলা সমন্বিত দুদক কার্যালয়ে ওই উপ-ব্যবস্থাপকের নামে একটি লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী এসকেন্দার ঢালী।
দুদকে করা ওই অভিযোগে বলা হয়, সদর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের উত্তর কেবল নগর গ্রামের আবুল কালাম ঢালী শরীয়তপুরের প্রেমতলা এলাকায় বিসিক শিল্প নগরীতে চার হাজার ৫০০ বর্গফুট একটি প্লট বরাদ্দ পান।
“সেখানে মেসার্স ঢালী মিনারেল ওয়াটার নামের একটি করখানা দেন তিনি। ২০১০ সালে ১০০ টাকা মূল্যের ২টি স্ট্যাম্পে সদর উপজেলার চিকন্দী ইউনিয়নের দক্ষিণ কেবল নগর গ্রামের এসকেন্দার ঢালীকে বিসিক শিল্প নগরীর প্লট ৭/এ নম্বর এর সমস্ত সম্পতির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ক্ষমতা প্রদান করেন আবুল কালাম ঢালী।”
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, চুক্তি মোতাবেক এসকেন্দার ঢালী দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সম্প্রতি উক্ত প্রকল্পের নাম ও উপখাত পরিবর্তনের জন্য ‘ঢালী মিনারেল ওয়াটার’কে ‘মেসার্স বাংলাদেশ হারবাল অ্যান্ড স্পাইসেস প্রোডক্টস’ নামে রূপান্তরের জন্য বিসিক জেলা কার্যালয়ের উপ-ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মনির হোসেনের কাছে আবেদন করা হয়।
“তবে মনির হোসেন আবেদনটি বিসিক চেয়ারম্যানের অফিসে ফরওয়ার্ড করার জন্য এসকেন্দার ঢালীর কাছে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। এর মধ্যে তাকে ৪৭ হাজার টাকাও দেন এসকেন্দার ঢালী।
“পরে তাকে আরও ৫০ হাজার টাকার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করেন মানির হোসেন। বাকি টাকা না দিলে আবেদন ফরওয়ার্ড ও ফাইলে স্বাক্ষর করবেন না বলেও তিনি জানান।”
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তিতি চলছে বলে জানান মাদারীপুর দুদকের উপ পরিচালক আতিকুর রহমান।
তিনি বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে উপ-ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মনির হোসেনের কার্যালয়ে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশি করে ঘুষের ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার এবং তাকে আটক করা হয়েছে।”
দুদকের অভিযান ও কর্মকর্তা আটকের বিষয়ে শরীয়তপুর বিসিকের কর্মকর্তা অর্ক সরকার বলেন, কোন অভিযোগে তারা অভিযান চালিয়েছে তা আমার জানা নেই। বিষয়টি বিভাগীয় অফিসকে জানানো হবে।