Published : 06 Nov 2022, 06:59 PM
লিওনেল মেসির অনুপস্থিতিতে শুরুতে পিএসজিকে পথ দেখালেন নেইমার। নিজেদের মাঠে উজ্জীবিত ফুটবল খেলা লরিয়ঁ পাল্টা জবাব দিয়ে জমিয়ে তুলল ম্যাচ। পয়েন্ট হারানোর শঙ্কায় থাকা পিএসজির জন্য শেষ দিকে ত্রাতা হয়ে এলো দানিলো পেরেইরার গোল।
লিগ ওয়ানে রোববার প্রতিপক্ষের মাঠে ২-১ গোলে জিতেছে পিএসজি। চোটের কারণে এ ম্যাচে খেলতে পারেননি মহাতারকা মেসি।
লিগে অজেয় যাত্রা ধরে রাখল পিএসজি। ১৪ ম্যাচে ১২ জয় ও দুই ড্রয়ে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান আরও মজবুত করেছে ক্রিস্তফ গালতিয়ের দল। ২৭ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে লরিয়ঁ।
সপ্তম মিনিটে প্রথম আক্রমণ থেকেই গোল পেতে পারত পিএসজি। কিন্তু নুনো মেন্দেসের পাস ধরে বক্সের ভেতর থেকে নেইমারের শট কোনোমতে পা বাড়িয়ে আটকান গোলরক্ষক ইভোন ভোগো।
দুই মিনিট পর নিজেদের ভুলে গোল হজম করে লরিয়ঁ। আশেপাশে পিএসজির তিন খেলোয়াড় থাকা সত্বেও সতীর্থকে ছোট পাস বাড়ান ভোগো। নেইমারকে ছুটে আসতে দেখে ফিরতি ব্যাক পাস ক্লিয়ার করতে শটও নিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু বল ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের পায়ে লেগে চলে যায় পাশে থাকা উগো একিতিকের কাছে। ফরাসি এই ফরোয়ার্ডের পাস ধরে বডি ডজে ইনোসেন্ট বোনকেকে ছিটকে দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন নেইমার।
গোল হজমের সঙ্গে ভোগোকেও হারায় লরিয়ঁ। ক্লিয়ার করতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান তিনি। এরপর নেইমারের ডজে ইনোসেন্টও ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান তার উপর। চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ভোগো, বদলি নামেন ভিতো মান্নোনে।
২৮তম মিনিটে বাইলাইনের একটু উপর থেকে এমবাপের ক্রসে সের্হিও রামোসের হেড ফেরান ভিতো। একটু পর নেইমারের পাস ধরে দূরূহ কোণ থেকে এমবাপের শটও আটকান এই ইতালিয়ান গোলরক্ষক।
আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে বিরতির আগে জমে ওঠে ম্যাচ। পিএসজির রক্ষণে বেশ চাপ দিলেও গোলরক্ষকের তেমন কোনো পরীক্ষা নিতে পারেনি লরিয়ঁ। পাল্টা আক্রমণে বরং ভালো সুযোগ পায় পিএসজি। ৪২তম মিনিটে মার্কিনিয়োসের শট ফেরান ভিতো। একটু পর একিতিকের শট গোললাইনের একটু উপর থেকে ক্লিয়ার করেন ইনোসেন্ট।
দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে গোছালো পাল্টা আক্রমণ থেকে সমতায় ফিরে লরিয়ঁ। সতীর্থের পাস ধরে লে ফি‘কে বল বাড়ান তেরেম মোফি। ফি’র ফিরতি থ্রু পাস বুলেট গতির কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন মোফি। প্রতিরোধের তেমন কোনো সুযোগই পাননি পিএসজি গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মা।
৮১তম মিনিটে এমবাপের কর্নার ক্লিয়ার হলেও ফের কর্নার পায় পিএসজি। এবার অন্য প্রান্ত থেকে কর্নার নেন নেইমার। গোলমুখ থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন দানিলো পেরেইরা।
নির্ধারিত সময় শেষের পাঁচ মিনিট বাকি থাকতে এমবাপে ও পেরেইরাকে তুলে নেন কোচ। বদলি নামান পাবলো সারাবিয়া ও নর্দি মুকিয়েলেকে।
স্কোরলাইন ঠিক বোঝাতে পারছে না পিএসজির দাপট। ১৫ প্রচেষ্টার মধ্যে ৮টি লক্ষ্যে রেখে মাত্র ২টিতে সফল হয় তারা। তুলনায় মাত্র দুই শট পোস্টে রেখে এক গোল তুলে নেয় লরিয়ঁ।