Published : 09 Feb 2023, 11:37 AM
দুঃসময়ের আঁধার পেরিয়ে অবশেষে কিছুটা আলোর রেখা। নিজেকে ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে বড় একটি পদক্ষেপ। মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে আবার খবরের শিরোণামে জেডন স্যানচো। তার এমন পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত এরিক টেন হাগ। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ বলছেন, ২২ বছর বয়সী এই ফুটবলারের প্রতি সবটুকু সমর্থন তাদের থাকবে। তবে নিজের ভবিষ্যতের ছবি আঁকতে হবে তাকেই।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে বুধবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড একটি পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারে স্যানচোর সৌজন্যে। লিডস ইউনাইটেডের বিপক্ষে ২-০ গোলে পিছিয়ে থাকা দল এক পর্যায়ে ছিল হারের মুখে। ৬২তম মিনিটে ব্যবধান কমান মার্কাস র্যাশফোর্ড। পরে বদলি হিসেবে নামা স্যানচো সমতা ফেরান ৭০তম মিনিটে।
কদিন আগেও এই স্যানচোকে ঘিরে ছিল অনিশ্চয়তার মেঘ। গত ২২ অক্টোবরের পর শারীরিক ক্লান্তি আর মানসিক অবসাদে ফুটবল থেকে দূরে ছিলেন তিনি তিন মাসের বেশি সময়। সেই হতাশার সময়টা পেরিয়ে আবার তিনি দলে ফেরেন কদিন আগে। মাঠে ফেরার পর তার মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ এটি। সেই ম্যাচেই দলের নায়ক প্রতিভাবান এই ফরোয়ার্ড।
দুঃসময়ের কালো মেঘ সরিয়ে যেভাবে আবার উজ্জ্বল হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিচ্ছেন স্যানচো, তাতে উচ্ছ্বসিত টেন হাগ। ইউনাইটেড কোচের মতে, দ্রুতই এই দলে নিজের জায়গা পাকা করে নিতে পারেন এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড।
“আমি সত্যিই খুব খুশি যে সে সঠিক পথেই আছে। আশা করি, সামনেও এই মোমেন্টাম সে ধরে রাখতে পারবে এবং আমি নিশ্চিত যে এই ম্যাচের পারফরম্যান্স তাকে প্রাণশক্তি জোগাবে ও আরও উজ্জীবিত করে তুলবে। সে দুর্দান্ত এক ফুটবলার এবং সে যদি সঠিক পর্যায়ে নিজেকে সময় দিতে পারে, তাহলে সে অসাধারণ হয়ে উঠবে।”
“আমাদের দলটি এখন এমন যে প্রতিপক্ষের অর্ধে খেলতে পারে। সে (স্যানচে) এই ধরনের খেলাই পছন্দ করে এবং আঁটসাঁট জায়গায় সে ভালো খেলতে পারে। এখন এটা (ভবিষ্যৎ) তার হাতেই, সে যদি চায় তো খেলতে পারে এই দলে…।
মাঠের বাইরের কঠিন সময়টার সঙ্গে লড়াই করে স্যানচে যেভাবে ফিরেছেন, সেটির প্রশংসাও করছেন ইউনাইটেড কোচ। তবে এটিও জানিয়ে দিলেন, তাকে পাড়ি দিতে হবে আরও অনেক পথ।
“সময়টা কঠিন, সন্দেহ নেই। তবে আমি সন্তুষ্ট ও গর্বিত যে, সে এখান থেকে বেরিয়ে আসছে এবং এরকম পারফরম্যান্স করছে। আমি তাই তার পাশেই থাকব, সব কোচ, গোটা দল তার পাশে থাকবে। তবে দিনশেষে, কাজটা করতে হবে তার নিজেকেই।”
স্যানচোর পারফরম্যান্সে খুশি হলেও দলের পারফরম্যান্স নিয়ে ভালো-মন্দ দুই রকম অনুভূতিই আছে কোচের।
“আমার অনুভূতি মিশ্র। ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকেও ড্র করতে পারার পর হতাশ হওয়াটা হয়তো ঠিক নয়। তবে অন্য দিকে, মাঠে দুই দলের পারফরম্যান্স দেখে এবং এতগুলো সুযোগ তৈরি করার পর এই ম্যাচগুলি জিততে হবে। দুই অর্ধেই আমরা যেভাবে খেলাটা শুরু করেছি, তা মেনে নেওয়ার মতো নয়।”