Published : 30 Jun 2025, 06:18 PM
দুই মাসে ইউক্রেইনের প্রায় সাড়ে নয়শ বর্গকিলোমিটার এলাকার দখলে নেওয়া রুশ বাহিনী পূর্ব-মধ্যাঞ্চলীয় দিনিপ্রোপেত্রভস্কের প্রথম একটি গ্রামও নিজেদের কব্জায় নিয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এবং যুদ্ধের খোঁজখবর রাখা ব্লগাররা।
তবে গ্রামটির দখল নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ইউক্রেইনের কোনো সূত্র বা রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কিছু বলেনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মস্কো ও কিইভের মধ্যে যখন সম্ভাব্য শান্তির ব্যাপারে আলোচনা চলছে, তখন ইউক্রেইনে যুদ্ধ আরও তীব্র হয়েছে। রাশিয়ার সেনারা এরই মধ্যে ইউক্রেইনের সুমি অঞ্চলের ২০০ বর্গকিলোমিটার ভূখণ্ড দখলে নিয়েছে। গত মাসেই তারা দিনিপ্রোপেত্রভস্ক অঞ্চলে ঢুকে পড়েছিল।
প্রভাবশালী ‘ইউক্রেইনিয়ান ডিপ স্টেটের’ মানচিত্রে দেখা যাচ্ছে, ইউক্রেইনের এক লাখ ১৩ হাজার ৫৮৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা এখন মস্কোর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এর মধ্যে ২৮ জুন পর্যন্ত শেষ দুই মাসেই তাদের দখলে যুক্ত হয়েছে ৯৪৩ বর্গকিলোমিটার।
রুশপন্থি এক কর্মকর্তা ভ্লাদিমির রোগোভকে উদ্ধৃত করে রুশ রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা রিয়া জানায়, রাশিয়ার সেনারা দিনিপ্রোপেত্রভস্কের দাচনোয়ি গ্রামটি দখলে নিয়েছে।
মস্কো বলছে, তারা শান্তি চায়, তবে সেজন্য ইউক্রেইনকে অবশ্যই তাদের চারটি অঞ্চল ছেড়ে দিতে হবে। এই অঞ্চলগুলোর সিংহভাগই এখন রুশ বাহিনীর দখলে; ২০২২ সালে এক গণভোটের ফল অনুযায়ী রাশিয়া এ অঞ্চলগুলোকে এখন নিজেদের অংশ হিসেবেই বিবেচনা করছে।
ইউক্রেইন এবং তার ইউরোপীয় মিত্ররা এই অঞ্চলগুলো ছেড়ে দিতে রাজি নয়। তারা বলছে, অঞ্চল ছেড়ে দেওয়ার যে শর্ত রাশিয়া দিয়েছে, তা মূলত আত্মসমর্পণের সমতুল্য।
তাদের মতে, রাশিয়া শান্তি চায় না, আর কিইভ কখনোই রাশিয়ার দখলে যাওয়া এক পঞ্চমাংশ ভূখণ্ডের মালিকানা ছাড়বে না।
রাশিয়ার হাতে এখন ইউক্রেইনের যে ভূখণ্ডটুকু রয়েছে তার মধ্যে ক্রাইমিয়া ২০১৪ সালেই মস্কোর দখলে গেছে। এর বাইরে এখন লুহানস্কের ৯৯% এবং দোনেৎস্ক, জাপোরিঝিয়া ও খেরসনের ৭০%-র বেশি অংশ রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। এগুলো ছাড়াও খারকিভ, সুমি ও দিনিপ্রোপেত্রভস্কের সামান্য কিছু এলাকাতেও মস্কোর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।