Published : 19 Oct 2022, 02:32 PM
ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের নেতৃত্ব নির্বাচনের ভোট গণনার মধ্যেই ‘ব্যাপক অনিয়মের’ অভিযোগ তুলেছেন সভাপতি পদপ্রার্থী শশী থারুর।
এনডিটিভি জানিয়েছে, শশী থারুরের সহযোগীরা উত্তরপ্রদেশে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ‘ঝামেলা’ থাকার কথা বলছে, যে কারণে সেখানকার ভোট বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তারা। অথচ বুধবারই ভোটের ফল প্রকাশের কথা রয়েছে।
শশী থারুরের নির্বাচনী এজেন্ট সালমান সজ বলেন, “উত্তর প্রদেশে স্বাভাবিকভাবেই যা ঘটে (ভোট জালিয়াতি) তার জন্য আমরা ভোটে প্রতিযোগিতা করিনি। আমরা মধুসূদন মিস্ত্রির (নির্বাচন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান) কার্যালয়ের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ রাখছি। বিভিন্ন বিষয়ে জানাচ্ছি, কিন্তু তাদের থেকে সুনির্দিষ্ট কিছু এখনও পাইনি।”
এক চিঠিতে শশী থারুরের পক্ষ থেকে মধুসূদন মিস্ত্রিকে বলা হয়েছে, “উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন পরিচালনায় অত্যন্ত গুরুতর অনিয়ম আপনার নজরে আনতে চাই। দেখতে পাচ্ছেন, ঘটনাগুলো মারাত্মক এবং সেখানে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসযোগ্যতা এবং সততার অভাব রয়েছে।”
কংগ্রেসের নেতৃত্বপ্রত্যাশী শশী লিখেছেন, “উত্তরপ্রদেশে যা ঘটেছে তা ‘সম্পূর্ণ অন্য লেভেলের’। মল্লিকার্জুন খড়গের সমর্থকরা কীভাবে নির্বাচনী অনিয়মের সঙ্গে জড়িত, সে ব্যাপারে খড়গে অবগত কি না, আমাদের জানা নেই।
“আমরা নিশ্চিত, উত্তর প্রদেশে যা ঘটেছে, খড়গে জানলে কখনোই সেটি ঘটতে দিতেন না। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্বাচনকে কলুষিত করার অনুমতি তিনি দেবেন না।”
প্রায় ২৫ বছরের মধ্যে প্রথম অ-গান্ধী সভাপতি পেতে যাচ্ছে কংগ্রেস। মল্লিকার্জুন খড়গে অথবা শশী থারুর, এই দুজনের মধ্যে একজন হতে যাচ্ছেন উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী দলটির নতুন সভাপতি।
সোমবার অভ্যন্তরীণ এ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়; গণনা শেষে বুধবার ফল ঘোষণার কথা রয়েছে।
এ নির্বাচনে কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের একটি বড় অংশ খড়গেকে সমর্থন দিচ্ছেন। তাকে গান্ধী পরিবারের ‘অঘোষিত আনুষ্ঠানিক প্রার্থী’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। অপরদিকে থারুর নিজেকে পরিবর্তনের প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন।
কংগ্রেস পার্টির প্রায় ১৩৭ বছরের ইতিহাসে এই নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো সরাসরি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সভাপতি বেছে নেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু নির্বাচনে অবৈধভাবে সিল মারা ব্যালট পেপার ও ভোটকেন্দ্রে অননুমোদিত লোকের উপস্থিতি ও ভোটে অসদাচরণের মত সমস্যাগুর কথা বলা হচ্ছে শশী থারুর পক্ষ থেকে।
তার চিঠিতে বলা হয়েছে, “উত্তরপ্রদেশে কলঙ্কিত ঘটনার সুযোগ দিয়ে নির্বাচনকে কীভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু মনে করা হয়, তা আমরা বুঝতে পারছি না। আমরা উত্তরপ্রদেশের সমস্ত ভোটকে অবৈধ বলে দাবি করছি আমরা।”
অন্যদিকে নির্বাচনে অসুদপায় অবলম্বনের সম্ভাবনাকে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে কংগ্রস। কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারি-ইন-চার্জ-অব কমিউনিকেশনস জয়রাম রমেশ বলেন, “সমালোচকরা এই অভিযোগগুলো করে থাকেন…দুই যোগ্য ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন…একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।”
আরও খবর