Published : 29 Jan 2023, 10:39 AM
নাজমুল হোসেন শান্ত যখন আউট হলেন, রায়ান বার্ল তখন ক্রিজে গেলেন। উইকেটে তাই দুজনের দেখা হয়নি। তবে নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করেছেন দুজনই। শান্ত সিলেট স্ট্রাইকার্সকে এনে দিয়েছেন উড়ন্ত শুরু। পরে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়েছেন বার্ল। জয়ের পর সিলেটের শেষ সময়ের নায়ক বার্ল স্তুতিতে ভাসিয়েছেন শুরুর দিকের নায়ক শান্তকে।
বিপিএলে শনিবার রাতে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে লক্ষ্য বেশ কঠিন ছিল সিলেটের। ১৭৫ রান তাড়ায় প্রয়োজন ছিল দ্রুত শুরু। দলকে কাঙ্ক্ষিত সেই শুরু এনে দেন শান্ত। ৫ ওভারেই ৫০ তুলে ফেলে তারা। সেখানে ৬ চার ও ১ ছক্কায় শান্তর রান ছিল ২২ বলে ৪২। তার উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী তৌহিদ হৃদয় তখন খেলছেন ৮ বলে ৭ রান করে।
শান্ত পরে আউট হয়ে যান ৪৪ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলে। তখনও সিলেটের দরকার ৪২ বলে ৬৫ রান। দারুণ কিছু শট খেলে চাপ কমান মুশফিকুর রহিম। এরপর দায়িত্ব নিজের ব্যাটে তুলে নেন বার্ল। চোখের পলকে তিনি সব অনিশ্চয়তা দূর করে সিলেটকে এগিয়ে নেন জয়ের কাছে। স্রেফ ১৬ বলে ৪১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে যখন তিনি বিদায় নেন, সিলেটের জয় তখন হাতের মুঠোয় প্রায়।
রান তাড়ায় জয়ের ভিত গড়ে দেওয়ায় ম্যান অব দা ম্যাচের স্বীকৃতি পান শেষ পর্যন্ত শান্ত। বার্ল নিজেও ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরলেন, ওই ইনিংস কত গুরুত্বপূর্ণ ছিল দলের জন্য।
“অসাধারণ, অসাধারণ খেলেছে সে। পাওয়ার প্লেতে সে যেভাবে শুরু করেছে, এর চেয়ে ভালো শুরু আর চাইতে পারতাম না আমরা। সব কৃতিত্ব তার। ক্লাসি… স্টাইলিশ… ক্লিশে আরও যত কথা আছে, বলতে পারেন ইনিংসটি নিয়ে। দারুণ ইনিংস ছিল।”
উইকেটে যাওয়ার পর চট্টগ্রামের বোলারদের তুলাধুনা শুরু করতে খুব একটা সময় নেননি বার্ল। সিলেটের জয় নিয়ে সংশয় যেটুকু ছিল, তা মুছে যায় নিমিষেই। পরে তিনি বললেন, পাল্টা আক্রমণের পরিকল্পনা নিয়েই তিনি উইকেটে গিয়েছিলেন।
“শেষ পর্যন্ত থাকতে পারলে ভালো হতো। পানি পানের বিরতির সময় কোচরা এসে বললেন, ‘তুমি কাজ শেষ করে আসো। আমরা জানি তুমি পারবে।’ আমি বললাম, ‘আমি যতটা সম্ভব আগ্রাসী থাকার চেষ্টা করতে চাই। (প্রয়োজনীয়) রান রেট কমাতে চাই। শেষের দিকের জন্য বা ১৮-১৯ ওভারের জন্য ফেলে রাখতে চাই না।’ শেষ পর্যন্ত যা হয়েছে, তাতে আমি খুশি।”
শেষ পর্যন্ত সিলেট ম্যাচটি জিতে নেয় দুই ওভার বাকি থাকতেই।