Published : 26 May 2025, 07:43 PM
দিনাজপুরের সুস্বাদু লিচু বাজারে আসতে শুরু করেছে; দামও ভাল পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, প্রথম পর্যায়ে মাদ্রাজি জাতের লিচু নেমেছে। কমপক্ষে এক সপ্তাহ পরে বেদানা এবং তারও কয়েকদিন পরে বোম্বাই জাতের লিচু নামার কথা।
কিন্তু মাদ্রাজি জাতের সঙ্গে অপরিপক্ক বেদানা ও বোম্বাই জাতের লিচুও বাজারে এসে গেছে।
জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃত দিনাজপুরের বেদানা লিচু মে মাসের শেষে এবং জুনের প্রথমে নামার কথা থাকলেও বিরূপ আবহাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে আগেই নামিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে জানান চাষিরা।
এতে চাষিরা কিছুটা লাভবান হলেও ভোক্তারা লিচুর পরিপূর্ণ স্বাদ থেকে বঞ্চিত হবেন। রোববার থেকে শহরের কালিতলা ফল বাজারে আধাপাকা, অপরিপক্ক লিচু বেচা-কেনা হতেও দেখা গেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, জেলায় সাড়ে পাঁচ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে লিচু বাগান আছে নয় হাজারের বেশি। প্রথম দিকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গাছে লিচুর দানাও ভালো আসে। কিন্তু লিচু নামার আগ মুহূর্তে কখনো প্রচুর বৃষ্টি, আবার কখনও তাপদাহের কারণে কিছু গাছের লিচু নষ্ট হয়েছে।
শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো থাকলে এখান থেকে ৩৬ হাজার মেট্রিক টন লিচু পাওয়া যাবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ। যার দাম ৭০০ কোটি টাকার উপরে হবে বলে আশা করছেন এই কৃষি কর্মকর্তা।
শহরের কালিতলা ফল মার্কেটে লিচু বিক্রি করতে আসা বিরলের মাধববাটি এলাকার কৃষক সোহরাব বলেন, “গাছে লিচুর ফলন ভালোই এসেছে। কিন্তু লিচুতে রং আসার পর পরই কখনও প্রচণ্ড তাপদাহ, আবার কখনও লাগাতার বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস। এতে লিচু ঝরে পড়ছে। এ কারণে ক্ষতি এড়াতে পরিপক্ক লিচুর সঙ্গে অপরিপক্ক লিচুও বিক্রি করে দিচ্ছে।
একই কারণের কথা বলেন সদর উপজেলার মাসিমপুর এলাকার লিচু বাগান মালিক মহসিন আলী। তিনি বলেন, তার বাগনের ৭৫টি বেদানা লিচু গাছে ফলন ভালোই হয়েছে। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে অনেক লিচু নষ্ট হয়েছে। অপেক্ষা করলে আরো নষ্ট হবে এই আশঙ্কায় বাধ্য হয়েই আগেভাগেই বিক্রি করে দিচ্ছেন।
এদিকে লিচু বাজারের আড়তদার মোবারক আলী বলেন, “বিরূপ আবহাওয়া ও কোরবানির ঈদের ১০ দিনের সরকারি ছুটি মাথায় রেখে জোরেসোরে চলছে লিচুর বাজারজাত। মাদ্রাজি লিচু নামার সময় হলেও ৮-১০ দিন আগেই এসে গেছে অপরিপক্ক বেদানা লিচু।”
১০০টি মাদ্রাজি লিচু বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে। বেদানা লিচু বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায়।