Published : 22 Jun 2025, 07:24 PM
কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমকে হত্যাচেষ্টা মামলায় তার তৃতীয় স্ত্রী রিয়া মনি এবং তার বন্ধু কামরুল ইসলাম রিয়াজকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার মহানগর হাকিম জশিতা ইসলাম রোববার শুনানি শেষে এক হাজার টাকা মুচলেকায় মামলার পরবর্তী তারিখ ২৭ জুলাই পর্যন্ত তাদের জামিন দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার এসআই মো. মোস্তানছির বিল্লাহ এদিন তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী আতিকুর রহমান খান জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
শুনানিতে তিনি বলেন, “রিয়া মনি বাদীর (হিরো আলম) তৃতীয় স্ত্রী। সেদিনের ঘটনা লাইভে দেখেছি। হিরো আলমের অনুসারীরা মিলে রিয়া মনি এবং রিয়াজকে মারধর করেছে। রিয়াজের মাথায় চারটা সেলাই লেগেছে।
“আসামিদের মামলা করার কথা, উল্টো তারাই মামলা খেল। ফেব্রিকেটেড মামলা। আসামিদের হয়রানি করতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলা দিয়েছে। তাদের জামিন প্রার্থনা করছি।”
বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, “অবৈধ প্রেমের সম্পর্কে বাঁধা দিতে যাওয়া তারা হিরো আলমকে মারধর করেছে। যেদিন রিয়া মনির শ্বশুড় মারা যায়, দেখতে যায় নাই। রঙ্গমঞ্চে ব্যস্ত ছিল।
“এরপর থেকে হিরো আলম ব্যক্তিগত তদন্ত শুরু করে। জানতে পারে, তার স্ত্রী অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত। যে বাসায় ঘটনা ঘটেছে, সেটা হিরো আলমেরই বাসা (ভাড়া), তবে তিনি বাসায় কম যেতেন। সন্দেহ করা নিয়ে তাদের (হিরো আলম-রিয়া) মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। কপোত-কপোতীর (রিয়া-রিয়াজ) জন্য বাধা ছিলেন হিরো আলম। তারা প্ল্যান করে, হিরো আলমকে সরিয়ে দিতে।”
এ আইনজীবী বলেন, “তার (হিরো আলম) কল্পনায় ছিলো না তার বাসায় তার সাথে এমনটা করবে। কপোত-কপোতীকে বাসায় যৌন কামনায় লিপ্ত অবস্থায় দেখতে পান। তার ওপর হামলা চালায়। তার ডাক-চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন এগিয়ে আসে। লোকজন না থাকলে হয়ত সেদিন তাকে মেরে ফেলত। তাদের জামিনের বিরোধিতা করছি। জামিন পেলে হিরো আলম ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবে “
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আদেশ অপেক্ষমাণ রাখেন। পরে তাদের জামিনের আদেশ দেন বলে জানান হাতিরঝিল থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই মোকছেদুল ইসলাম।
হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শনিবার হিরো আলম বাদী হয়ে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২১ জুন বিকেল ৪টার দিকে হিরো আলম হাতিরঝিল থানাধীন এলাকায় তার ভাড়া বাসায় গিয়ে দেখেন, রিয়া মনি ও রিয়াজ ‘ঘরের ভেতরে দরজা বন্ধ’ অবস্থায় রয়েছেন। তখন হিরো আলম তার স্ত্রী রিয়া মনি ও রিয়াজকে ‘একসঙ্গে শোবার ঘরে’ থাকার কারণ জিজ্ঞাসা করেন।
“এসময় রিয়া মনি তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে রিয়া মনি এবং পলাতক আসামি আবদুল্লা হত্যার উদ্দেশ্যে কাঠের লাঠি দিয়ে হিরো আলমের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়ি মারধর করে। রিয়ার নির্দেশে রিয়াজ গলা চাপ দিয়ে ধরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। তখন তারা হিরো আলমের গলায় থাকা আট আনা ওজনের সোনার চেইন কৌশলে চুরি করে নেয়।”