Published : 15 Jun 2025, 11:54 PM
আমার বয়স যখন আড়াই বছর তখন আমি আমার বাবাকে হারাই। বাবার আদর, ভালোবাসা আর শাসন কী জিনিস তা আমি জানি না। মায়ের একা আদরে আমি বড় হয়েছি।
আমার বড় বোন যখন বলে, “আব্বু এটা খেতে পছন্দ করত” বা “আব্বু আমাদের নিয়ে ঘুরতে যেতেন” তখন এসব শুনে মনে হয় আমি যেন কোনো গল্প শুনছি।
তখন ভাবি, আব্বু যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে হয়ত আমিও তার সঙ্গে গল্প করতাম, ঘুরতে যেতাম।
আব্বু যখন চিকিৎসার জন্য বাইরে যান তখন আমি হাঁটতে ও কথা বলতে শিখেছি মাত্র। তিনি নিজের ফোনে আমার হাঁটার একটি ভিডিও করে নিয়ে গিয়েছিলেন।
পরিবারের অন্যদের মুখে শুনেছি, তিনি হাসপাতালের বেডে শুয়ে সেই ভিডিও বারবার দেখতেন। আমার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ না হলেও সে ভিডিওটি ছিল আব্বুর সান্ত্বনা।
আমার আম্মু সবসময় চেষ্টা করেন যেন আমি বাবার অভাবটা না বুঝি। কিন্তু কিছু অভাব কখনো পূরণ হয় না। কোরবানির ঈদের সময় বাবাকে সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে।
কারণ, বাবা না থাকায় আমরা ঈদের অনেক আনন্দ থেকে বঞ্চিত হই। এই যেমন দায়িত্ব পালনের জন্য কেউ না থাকায় আমরা নিজেদের কোরবানি আমাদের বাসায় দিতে পারি না।
নানির বাড়িতে আমাদের কোরবানি দেওয়া হয়। তাই ঈদের সেই বিশেষ আনন্দটা অন্যদের মত হয় না।
এখন আমার একটাই স্বপ্ন, আমি যেন বাবার সব আশা পূরণ করতে পারি।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: চাঁপাইনবাবগঞ্জ।