Published : 25 Mar 2025, 08:51 PM
কক্সবাজারের টেকনাফ সৈকত এলাকা দিয়ে সাগরে অবমুক্ত করা হল হ্যাচারিতে ফুটানো আরও ২৫৫টি কাছিমের বাচ্চা।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম) এর ব্যবস্থাপনায় মঙ্গলবার দুপুরের দিকে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ মাঝেরপাড়া সৈকত এলাকায় ‘অলিভ রিডলি’ প্রজাতির এসব কাছিমের বাচ্চা সাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে।
নেকম এর প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ব্যবস্থাপক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, শাহপরীর দ্বীপ উপকূলের সাগরে বিভিন্ন সময়ে কিছু সংখ্যক কাছিম ডিম পাড়ে। নেকমের স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা উপকূলের বিভিন্ন এলাকা থেকে আট হাজার ৫০০টি ডিম সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে ডিমগুলো নিজেদের হ্যাচারিতে সংরক্ষণ করা হয়। হ্যাচারিতে বিশেষ প্রক্রিয়ায় ফুটানো বাচ্চাগুলো সাগরে অবমুক্ত করা হচ্ছে।
নেকম জানায়, সাড়ে আট হাজার ডিম থেকে এরই মধ্যে দেড় হাজারের বেশি কাছিমের বাচ্চা ফুটানো হয়েছে। সবগুলোই সাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকার সৈকতের ১২টি পয়েন্ট এবার ২৫ হাজার ৭০০ ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত দুই হাজার কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত করা হয়েছে।
ব্যবস্থাপক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, চার বছরে ৪০ হাজার ৪৫০টি ডিম সংগ্রহ করা হয়। ৮৫ শতাংশ ডিমের বাচ্চা ফুটিয়ে সাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে। বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের দিক-নির্দেশনায় নেকম কাছিম সংরক্ষণের ২০ বছর ধরে কাজ করছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সমুদ্রের ময়লা-আবর্জনা ও আগাছা পরিষ্কার এবং মাছের পোনা খাদক জেলিফিশ খেয়ে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য বজায় রাখতে অনন্য ভূমিকা রাখে এই কাছিম।
সম্প্রতি নেকমের এক জরিপে দেখা গেছে, মাত্র ৩৪টি স্পটে সামুদ্রিক কাছিম ডিম পাড়তে আসছে; যা এক দর্শক আগেও ছিল ৫২টি। অর্থাৎ হুমকির মুখে পড়ছে সামুদ্রিক কাছিমের ডিমপাড়ার স্থান।