Published : 07 Jun 2024, 08:09 PM
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে ১৩১ টন চাল, ৬৮ টন গম ও ৩৪ হাজার ৯২৬টি খালি বস্তার হসিদ মিলছে না।
এ ঘটনায় খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, এলএসডি) আব্দুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিকের বিরুদ্ধে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা নাজমুল হক পলাশবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দেন বলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিজানুর রহমান জানান।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে জানা যায়, গত ২০ মে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিজানুর রহমান পলাশবাড়ী খাদ্য গুদাম পরিদর্শনে যান। সেখানে তিনি ১৩১ টন চালের ঘাটতি দেখতে পান।
পরদিন গাইবান্ধা জেলার সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাকিব রেওয়ানকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা ছিলেন, সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু হেনা মোস্তফা কালাম, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুস সোবহান ও গাইবান্ধার খাদ্য পরিদর্শক আল আউয়াল।
মিজানুর রহমান শুক্রবার বলেন, “কমিটি গত ৩ জুন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে একটি রিপোর্ট জমা দেয়। সেই রিপোর্টে দেখা যায়, ওই গুদামে ১৩১ টন চাল, ৬৮ টন গম ও ৩৪ হাজার ৯২৬টি বস্তার কোনো হদিস নাই।”
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই পরিমান খাদ্যশস্য ও সামগ্রী তছরুপ করা হয়েছে। এ কারণে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, এলএসডি) আব্দুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিককে দায়ী করে মঙ্গলবার পলাশবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়া এ ঘটনায় খাদ্য বিভাগের মহাপরিচালক এক আদেশে আব্দুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিককে তাৎক্ষণিক বদলি করে সিলেট বিভাগে যোগদানের নির্দেশ দেন বলে মিজানুর রহমান জানান।
পলাশবাড়ী থানার ওসি কে এম আজমিরুজ্জামান জানান, যেহেতু সরকারি মালপত্র আত্মসাতের বিষয়। এ কারণে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রাপ্ত অভিযোগটির তদন্তের জন্য দুদকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।