Published : 21 Oct 2016, 05:43 PM
এই প্রযুক্তিতে গাড়িগুলো সব সময় একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে এবং যোগাযোগ করতে পারবে। একসঙ্গে যুক্ত থাকায় কোনো গাড়ি হঠাৎ করে ব্রেক চাপলে সেটি পেছনের গাড়ি বা অন্য গাড়ির চালককে সতর্ক করবে। যার ফলে দূর্ঘটনার হার কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, জানিয়েছে রয়টার্স।
আর যাতায়াতের সময় কমাতে ট্রাফিক সিগনাল পর্যবেক্ষণ করবে গাড়িগুলো আর সেই তথ্য অন্য গাড়িগুলোর কাছে পাঠানো হবে। এই তথ্য বিবেচনা করে গাড়ির চালক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কোন পথে কম লাল বাতি পেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে।
বর্তমানে স্ব-চালিত গাড়ির প্রযুক্তিতেই মনোযোগ দিয়েছে অটোমেকার প্রতিষ্ঠানগুলো। সে দলে যোগ দিতেই সম্প্রতি নতুন একটি স্ব-চালিত 'রেঞ্জ রোভার স্পোর্ট' গাড়ি প্রদর্শন করেছে ভারতীয় অটমেকার প্রতিষ্ঠান টাটা মোটর্স-এর মালিকানাধীন জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার। এই গাড়িটি আস্তে চলতে থাকা একটি গাড়িকে পাশ কাটিয়ে সামনে যেতে সফল হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
আর যুক্তরাজ্যে সংযুক্ত গাড়ির প্রযুক্তির সাফল্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের যাতায়াত ব্যবস্থাকে আরও কিছুটা ত্বরান্বিত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে এই প্রযুক্তির পরীক্ষা চালিয়েছে সরকারি পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান 'ইউকে অটোড্রাইভ'।
প্রতিষ্ঠানটির এক প্রকল্প পরিচালক ট্রিম আর্মিটেজ বলেন, "যে গাড়িগুলো একে অপরের সঙ্গে সঙ্গে এবং আশপাশের পরিবেশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে সেগুলোর থেকে প্রাপ্ত সুবিধা অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, রাস্তায় নিরাপত্তা বাড়ানো থেকে ট্রাফিক প্রবাহ পর্যন্ত।"
চলতি মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাজ্যের রাস্তায় প্রথমবারের চালকবিহীন গাড়ি নামানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই দশকের মধ্যেই চালকবিহীন গাড়ি নামানোর লক্ষ্যে কাজ করছে দেশটি। ২০১৭ সালে লন্ডনে পরীক্ষামূলকভাবে চালকবিহীন গাড়ি চালানোর কথা রয়েছে আরেক অটোমেকার প্রতিষ্ঠান 'ভলভো'-এর।