Published : 16 Nov 2016, 06:45 PM
নতুন এই গাড়িটি সামনের দুই বছরের মধ্যে জাগুয়ারের বিক্রি শুরু করতে যাওয়া গাড়ির প্রাক-পরীক্ষার অংশ। এর মাধ্যমে বোঝা যায় কীভাবে নিত্য-নতুন প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনা গ্রাহকদের চাহিদার ক্রমান্বয়ে পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। আর গাড়ি প্রস্তুতকারকদের নিয়মিত ধারণার বাইরে গিয়ে সময়োপযোগী নতুন কোনো কিছু প্রস্তুতের তাগিদ দিচ্ছে।
২০১৫ সালের মধ্যে শূন্য নির্গমন যানবাহন ক্যালিফোর্নিয়ার বাজারে ১৫ শতাংশ জায়গা দখল করবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। সরকার ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পরিবেশ দূষণ রোধে প্রস্তুতকারকদের কার্বন মুক্ত যানবাহন তৈরির প্রতি উৎসাহিত করা হচ্ছে। অন্যদিকে গ্যাসোলিনের সস্তা দামের ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তারা তুলনামূলক বড় যানবাহন বিশেষ করে এসইউভি ব্যবহারের প্রতি আকর্ষণ বোধ করছেন।
এক-চতুর্থাংশ জাগুয়ার ব্যবহারকারীরা পছন্দের তালিকায় ব্যাটারিচালিত গাড়ি সবার আগে বিবেচনা করবে বলে সম্প্রতি এক গবেষণায় পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার উত্তর আমেরিকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জো ইবারহার্ড রয়টার্সকে বলেন, “কোনো সন্দেহ নেই বাজার পরিবর্তন হচ্ছে। যদিও কী মাত্রায় এবং কত দ্রুত এই পরিবর্তন ঘটছে সে বিষয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি আছে, তবুও আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত থাকতে চাই। এটা শিল্পের জন্য খুবই স্পর্শকাতর একটা সময় এবং আমি মনে করি না সামনের ১০ বছর ঠিক কী হবে, তার ভুল বা সঠিক বা নির্দিষ্ট কোনো উত্তর কারও কাছে আছে। এর অর্থ হচ্ছে বাজার কোনদিকে নিয়ে যায় তা দেখার জন্য আমাদের ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে যথেষ্ট নমনীয় হতে হবে”- যোগ করেন তিনি।
নতুন এই বৈদ্যুতিক গাড়িতে ৯০ কিলোওয়াট লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে এবং একবার চার্জ করে এটি ২২০ মাইল পর্যন্ত যেতে পারবে। ২০১৮ সালে গাড়িটি বাজারে ছাড়া হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
আই-পেইস এসইউভি দিয়ে ধনী এবং পরিবেশ সচেতন গ্রাহকদের আকর্ষিত করার প্রয়াশ করছে জাগুয়ার। আরেক বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রচলিত প্রিমিয়াম মডেল এক্স-এর তুলনায় জাগুয়ারের মূল্য অনেক কম হবে বলে জানিয়েছেন ইবারহার্ড। একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ এসইউভি'র দাম পড়বে প্রায় ১,৩০,০০০ ডলার। তার বিশ্বাস আউডি, বিএমডাব্লিউ, মার্সেইডিজ বেঞ্জসহ অন্যান্য যেসব প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে বাজারে বৈদ্যুতিক এসইউভি আনার ঘোষণা দিয়েছে তাদের সহজেই পরাজিত করতে পারবে জাগুয়ার।