Published : 26 Jan 2017, 08:33 PM
বাংলাদেশ থেকে তথ্যপ্রযুক্তি রপ্তানি সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিষয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) জানিয়েছে, সংগঠনটির সভাপতি মোস্তাফা জব্বার তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর সুপারিশের বিষয়টির প্রয়োজনীয়তা, গুরুত্ব এবং সুফল উপস্থাপন করে নগদ প্রণোদনার দাবির পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ, তথ্যপ্রযুক্তি পরামর্শ ও ডিজিটাল কমার্সকে শুল্কমুক্তের আওতায় আনার দাবি করেন। তিনি ইইএফ ফান্ড চালু করার দাবিও পেশ করেন। সেইসঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি রপ্তানি হিসেবে হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও সেবাকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান। এ ছাড়া সি ফরমে হার্ডওয়্যার ও সেবাখাত অন্তর্ভুক্ত করা এবং জটিলতা কমিয়ে সি ফরমে পরিবর্তন করার দাবিও জানান। তিনি বলেন, “নগদ প্রণোদনা দেওয়া হলে একদিকে যেমন রপ্তানি বাড়বে, তেমনিভাবে পাঁচ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রাও নিশ্চিত হবে।”
সভায় সরকারের পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রী ছাড়াও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. ইউনুসুর রহমান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর শীতাংশু কুমার সুর চৌধুরী, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হারুন অর রশীদ, বিসিসি নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার সরকারসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রতিনিধি হিসেবে বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার এবং বেসিসের সাবেক সভাপতি শামীম আহসান বক্তব্য রাখেন।
জুনাইদ আহমদ পলক তথ্যপ্রযুক্তি খাতের রপ্তানি বৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরে এই খাতে নগদ প্রণোদনা প্রদান, প্রণোদনার অর্থকে শুল্কমুক্ত করা, রফতানি আয়বিষয়ক ব্যাংকের জটিলতা দূরীকরণ, রপ্তানি ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে শুল্ক ও নিয়ন্ত্রণ জটিলতার বিষয়গুলো উত্থাপন করেন। তিনি সব সংকট সমাধান ও নগদ প্রণোদনা প্রদানের জোর দাবি জানান।
সভায় তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের এলআইসিটি প্রকল্পের কম্পোনেন্ট টিম লিডার সামি আহমেদ তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ও বেসিসের পক্ষ থেকে একটি উপস্থাপনাও পেশ করেন।
সভায় বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে জটিলতা, রপ্তানি আয় দেশে আনার জটিলতা, শুল্ক জটিলতা ইত্যাদি দূর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অবিলম্বে ইইএফ ফান্ড চালু করার জন্য অর্থমন্ত্রী নির্দেশনা প্রদান করেন। একইসঙ্গে তিনি সি ফরমে পরিবর্তন আনারও নীতিগত সিদ্ধান্ত দেন।
অর্থমন্ত্রী নগদ প্রণোদনা প্রদানের বিষয়েও নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে বিষয়টির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার নির্দেশ প্রদান করেন।