Published : 09 Feb 2019, 12:34 PM
নতুন ইমোজিগুলোর মধ্যে রয়েছে হিয়ারিং এইড, হুইলচেয়ার, কৃত্রিম অঙ্গ ও পথপ্রদর্শক কুকুরের মতো ইমোজি-- খবর বিবিসি’র।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ইতোমধ্যেই কিছু ইমোজি রয়েছে অ্যাপলের। এবার এ ধরনের ইমোজি যোগ হয়েছে ২০১৯ সালের দাপ্তরিক তালিকায়। ফলে চলতি বছরের দ্বিতিয়ার্ধে অনেক স্মার্টফোনেই দেখা যাবে এই ইমোজিগুলো।
প্রতিবন্ধী দাতব্য সংস্থা স্কোপ-এর ফিল ট্যাবট বলেন, “সামাজিক মাধ্যম অনেক প্রভাব বিস্তার করে এবং এই প্রতিবন্ধী সহায়ক ইমোজিগুলোর অন্তর্ভুক্তি দারুণ ব্যাপার।”
“এখন পর্যন্ত প্রতিবন্ধকতাকে খুব ছোট করে দেখা হয়েছে।”
“সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে আমরা প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও প্রতিবন্ধকতার দারুণ উপস্থাপন দেখতে চাই,” যোগ করেন ট্যাবট।
ইমোজির মূল ষষ্ঠ আপডেটে তালিকায় যোগ হয়েছে মোট ২৩০টি নতুন ইমোজি ফিচার।
কম্পিউটিং প্রতিষ্ঠান, সফটওয়্যার ডেভেলপার এবং অন্যান্য প্রতিনিধিদের নিয়ে ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক একটি দল রয়েছে যারা নিশ্চিত করেন ভিন্ন ভিন্ন ডিভাইস ও অ্যাপের গ্রাহক রা একে অপরকে ইমোজি পাঠাতে পারেন।
অ্যাপল, গুগল, মাইক্রোসফট, স্যামসাং, ফেইসবুক ও টুইটারসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম মালিকরা ইমোজির ইউনিকোড নকশা তাদের প্ল্যাটফর্ম অনুযায়ী পরিবর্তন করতে পারে, তবে এক পণ্য থেকে অন্য পণ্যে যাতে এটি চেনা যায় তা নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক।
অ্যামেরিকান কাউন্সিল অফ ব্লাইন্ড এবং ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ দ্য ডেফসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে আলোচনার পর ২০১৮ সালের মার্চ মাসে ১৩টি চিত্রাঙ্কন জমা দেয় অ্যাপল। এর ওপর ভিত্তি করেই তৈরি করা হয়েছে নতুন ইমোজিগুলো। এতে বলা হয়, বিশ্বে সাতজনের মধ্যে একজন ব্যক্তির কোনো না কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা রয়েছে।
এবারের তালিকায় আরেকটি লক্ষ্যণীয় ইমোজি হলো ‘এক বিন্দু রক্ত’, নারীদেরকে ঋতুচক্র নিয়ে নতুনভাবে কথা বলার পথ খুলে দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দাতব্য সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল ইউকে ২০১৭ সালে একটি অনলাইন ভোট আয়োজন করে, যাতে জানতে চাওয়া হয় ঋতুচক্রের ইমোজি কেমন হওয়া উচিত।
ভোটে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পায় রক্তমাখা এক জোড়া প্যান্টের ইমোজি। কিন্তু ইউনিকোড কনসরটিয়াম এটি বাতিল করলে এক বিন্দু রক্তের ইমোজি আনতে জোর দেয় দাতব্য সংস্থাটি।
এ বিষয়ে নারী অধিকার দলের প্রধান লুসি রাসেল বলেন, “একটি ইমোজি এর কোনো সমাধান দেবে না কিন্তু এটি আলাপের পরিবেশ তৈরিতে সহয়তা করতে পারে। মাসিকের লজ্জা শেষ হয় এটি নিয়ে কথা শুরুর মাধ্যমে।”