Published : 23 Jun 2019, 10:20 PM
সাউথ্যাম্পটনে সোমবার আফগানদের সঙ্গে লড়াইয়ে বাংলাদেশের জন্য বড় হুমকি হতে পারে আফগানদের স্পিন আক্রমণ। দুর্দান্ত সেই স্পিন আক্রমণের শিরোমণি অবশ্যই রশিদ।
ওয়ার্ন স্পিনের জাদুতে মুগ্ধতা ছড়াতেন ক্রিকেট দুনিয়ার সব প্রান্তে, সব উইকেটে। তবে হ্যাম্পশায়ার বৌল স্টেডিয়ামে বরাবরই খানিকটা হলেও সহায়তা পেয়েছেন স্পিনাররা। এবারের বিশ্বকাপে তো উইকেট স্পিনারদের হয়ে কথা বলছে প্রবলভাবেই।
বিশ্বকাপে এবার এখানে আগের তিন ম্যাচেই আগে ব্যাট করা দল এখনও করতে পারেনি ২৩০ রানও। সব ম্যাচেই স্পিনারদের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য।
শনিবার এখানেই ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপকে ২২৪ রানে আটকে রাখে আফগানিস্তান। মূল কৃতিত্ব ছিল আফগানদের চার স্পিনারের। ৩৩ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন অফ স্পিনার মোহাম্মদ নবি। ১০ ওভারে কেবল ২৬ রান দিয়ে ১টি নিয়েছেন আরেক অফ স্পিনার মুজিব উর রহমান। রশিদ ১০ ওভারে ৩৮ রানে নিয়েছেন ১ উইকেট, অনিয়মিত লেগ স্পিনার রহমত শাহ ৫ ওভারে ২২ রানে ১টি।
যে উইকেটে ভারতীয় ব্যাটিংকে দমিয়ে রাখতে পেরেছেন আফগান স্পিনাররা, সেই উইকেটেই ম্যাচ বাংলাদেশের বিপক্ষে। বলার অপেক্ষা রাখে না, আফগানদের মূল অস্ত্র হবে এই স্পিন আক্রমণই।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে নিজেদের স্পিন শক্তির বার্তা জানিয়ে দিলেন আফগান অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব।
“বাংলাদেশ খুব ভালো খেলছে। তবে ভারতের ব্যাটিং লাইন আপও তো বিশ্বের সেরা। তাদের বিপক্ষে আমাদের স্পিনাররা ভালো করেছে। উইকেটে সহায়তা থাকলে শুধু বাংলাদেশ নয়, সব দলের জন্যই আমাদের স্পিনারদের খেলা কঠিন।”
এই স্পিন আক্রমণ সামলানোর পরিকল্পনায় সব দলই সবার আগে ভাবে রশিদকে নিয়ে। এই বিশ্বকাপে এখনও নিজের সেরা চেহারায় দেখা যায়নি এই লেগ স্পিনারকে। কদিন আগে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ডও গড়েছেন। কিন্তু তার যা স্কিল, যে কোনো দিন ছন্দে ফিরে একাই গড়ে দিতে পারেন পার্থক্য। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিতও দিয়েছেন।
বাংলাদেশের বিপক্ষে রশিদের রের্কডও দারুণ। ৫ ওয়ানডেতে ১০ উইকেট নিয়েছেন, রান দিয়েছেন ওভারপ্রতি সাড়ে তিনের কম। ৩ টি-টোয়েন্টিতে ৮ উইকেট নিয়েছেন ওভারপ্রতি সাড়ে চারের কম রান দিয়ে।
“গোটা ক্রিকেট বিশ্বই রশিদ খানকে সমীহ করে। অসাধারণ বোলার সে। জানি যে মর্গ্যান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রচুর রান দিয়েছে। তবে সেটা স্রেফ একটি বাজে দিন। এমনিতে সে একই সঙ্গে দারুণ আগ্রাসী ও নিয়ন্ত্রিত। দারুণ বোলার। অন্য দুই স্পিনার, নবি ও মুজিবও দারুণ।”
“তাদেরকে আমরা সমীহ করি, তবে ভয় পাচ্ছি না। আমাদের ছেলেরা ছোট থেকেই স্পিন খেলে বেড়ে উঠেছে। তাদেরকে আমরা সমীহ করি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শীর্ষ বোলারদের মধ্যে বলে। কিন্তু ভালো খেলার সামর্থ্যও আমাদের আছে।”
রশিদকে নিয়ে আলাদা করেই ভাবছে দল, জানালেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও। বাংলাদেশ অধিনায়কের চাওয়া, এই লেগ স্পিনারকে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে খেলবেন তার ব্যাটসম্যানরা।
“রশিদ স্মার্ট বোলার, তাকে খেলতে হবে স্মার্টলি। বল বুঝে খেলার চেষ্টা করতে হবে। তাড়াহুড়ো করা যাবে না, সে শুরুতে উইকেট পেলে প্যানিক করাও যাবে না। চেষ্টা করতে হবে চিন্তা-ভাবনায় তার চেয়ে এগিয়ে থাকতে।”
“তবে রশিদের দিকে বেশি নজর দিতে গিয়ে অন্যদের হেলা করাও যাবে না। মুজিব হয়তো শুরুতেই বোলিং করবে। মাঝে নবি অনেক অভিজ্ঞ। উইকেট ধীরগতির হবে, ওদের সবাইকেই ভালোভাবে সামলাতে হবে আমাদের।”