Published : 28 Jul 2022, 04:39 PM
আট টেস্টের ছোট্ট ক্যারিয়ারে মুদ্রার দুই পিঠ দেখা হয়ে গেছে মাহমুদুল হাসান জয়ের। নিউ জিল্যান্ডে চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় লড়াকু ইনিংস, দক্ষিণ আফ্রিকায় সেঞ্চুরি। ঝলমলে এই দুইয়ের পাশে ১৪ ইনিংসে আছে পাঁচটি শূন্যও। যুব বিশ্বকাপজয়ী এই তরুণের উন্নতির অনেক জায়গা দেখছেন আব্দুর রাজ্জাক। জাতীয় দলের এই নির্বাচক জানিয়েছেন, ম্যাচ খেলিয়েই সেই ঘাটতিগুলো পূরণ করতে চান তারা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে সবশেষ টেস্ট সিরিজে শূন্য দিয়ে শুরু করেন জয়। পরের তিন ইনিংসে করেন ৪২, ১০ ও ১৩। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে ক্যারিবিয়ানে ফিরে যাচ্ছেন ২১ বছর বয়সী এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।
অনেকটা হুট করেই টেস্ট দলে জায়গা পেয়ে যান জয়। অন্য ওপেনারদের ব্যর্থতায় অভিষেকও হয়ে যায়। আপাতত তামিম ইকবালের সঙ্গী তিনিই। বয়সভিত্তিক দল থেকে সরাসরি জাতীয় দলে খেলা যদিও আদর্শ কিছু নয়।
দুটি চার দিনের ম্যাচ ও তিনটি ওয়ানডে খেলতে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা ছাড়বে ‘এ’ দল। আগের দিন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ও কোচ মিজানুর রহমানকে নিয়ে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন রাজ্জাক। সফরে এই নির্বাচক যাচ্ছেন দলের ম্যানেজার হয়ে। তিনি মনে করেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়ে গেলেও মাঝের ধাপগুলো পার হওয়া প্রয়োজন জয়ের।
“জয় খুবই ইয়াং ছেলে। ও এখন এই সময়ে যত বেশি খেলবে আমাদের মনে হয়েছে তত বেশি ভালো হবে। জয়ের কিন্তু উন্নতি করার জায়গা রয়েছে, প্রচুর পরিমাণে। অলরেডি সে ভালো করেছে, কিন্তু বিষয়টা এমন না যে ও পরিপূর্ণ।”
“জয় কেবল অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলেছে। ‘এ’ দল বা অন্য কোথাও খেলেনি। তো এসব জায়গাতেও খেলার দরকার আছে। এই বয়সে যত খেলবে, তত বেশি শিখবে। জয়কে নিয়ে এটাই মূল লক্ষ্য।”
‘এ’ দল মূলত নিজেকে প্রমাণেরই জায়গা। জয়ের মতো তরুণ দেখাতে চাইবেন, সবশেষ সফরের ভুল থেকে তিনি শিখেছেন। সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুনের মতো আপাতত জাতীয় দলের বাইরে থাকা ব্যাটসম্যানরাও দেখাতে চাইবেন, ফিরতে তারা প্রস্তুত।
বাইরে থাকা এই ক্রিকেটারদের ভালো করা দেশের ক্রিকেটের জন্যই খুব জরুরি বলে মনে করেন রাজ্জাক। নয়তো বড় একটা শূন্যতা তৈরি হয় ক্রিকেটে। সেটা এড়াতে সৌম্য, মিঠুনদের ব্যাটে রান দেখতে চান সাবেক এই বাঁহাতি স্পিনার।
“সৌম্য দুটি চার দিনের (এইচপি দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ) ম্যাচেই রান পেয়েছে, এটা ভলো একটা ব্যাপার আমাদের জন্য। এই ধরনের খেলোয়াড়রা যখন ভালো করে তখন জাতীয় দলের জন্য এই সুবিধাটা হয়, জাতীয় দলে আর গ্যাপটা থাকে না। আমাদের একটা সময়ে বেশ বড় গ্যাপ ছিল। অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে বাধ্য হয়ে আমাদের খেলোয়াড় নিতে হয়েছে। সৌম্যরা যারা আছে, ওরা যদি ভালো খেলে তাহলে এই গ্যাপ আর থাকবে না।”