Published : 13 May 2024, 11:51 AM
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে প্রায় এক মাস আগে দুর্বৃত্তের ধাক্কায় নিহত হওয়া বাংলাদেশি নাগরিক জাকির হোসেন খসরুর (৭৬) হত্যার ঘটনায় ঘাতক গ্রেপ্তার না হওয়ায় বিক্ষোভ করেছেন প্রবাসীরা।
আহত করার ৫ দিন পর ১০ এপ্রিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জামালপুরের সন্তান খসরু।
এ ঘটনার প্রতিবাদ ও প্রবাসীদের নিরাপত্তা চেয়ে রোববার নিউ ইয়র্কের জ্যামাইকায় বিক্ষোভ-সমাবেশের আয়োজন করে শেরপুর জেলা সমিতি এবং জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটি।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার এবং শেরপুর জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান।
পরিস্থিতির আলোকপাত করেন শেরপুর জেলা সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, “আমরা আর কোন প্রবাসীকে এভাবে হারাতে চাই না। আমরা নিরাপত্তা চাই চলতি পথে।”
এতে বক্তব্য দেন তদন্তকারী পুলিশ স্টেশনের কমান্ডিং অফিসার ক্যাপ্টেন টিস্যাঙ। খসরুর সন্দেহভাজন ঘাতকের ব্যাপারে পুলিশ ‘পুরোপুরি নিশ্চিত’ হতে না পারলেও যেকোন সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান তিনি।
তদন্তকারী এ পুলিশ কর্মকর্তা খসরুর স্ত্রী শামিমা আকতার শিউলিকে বিচারের আশ্বাস দেন। ঘাতক মাস্ক পরা থাকায় তাকে চিহ্নিত করতে প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন কমিউনিটি নেতা ওসমান গণি, যুক্তরাষ্ট্র সফররত শেরপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া লিটন, বাংলাদেশি-আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রিন্স আলম, সাধারণ সম্পাদক রাশেকুল মালিক এবং জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের পেশ ইমাম মীর্জা আবু জাফর বেগ।
ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার বলেন, “২০২২ সালের ১১ মে এই একইস্থানে ভরদুপুরে ছিনতাইকারী এক দুর্বৃত্তের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন ভূইয়া। তারও আগে প্রায় একই এলাকায় আরো কয়েকজন প্রবাসী আক্রান্ত হয়েছেন। এজন্য এ এলাকার পথচারীদের নিরাপত্তা জোরদারের বিকল্প নেই। আমি কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি বরাবরে আকুল আহ্বান জানাচ্ছি অবিলম্বে খসরুর ঘাতক গ্রেপ্তারের পর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য।”
এছাড়া গত ২৭ মার্চ ওজোনপার্কে বাংলাদেশি নাগরিক উইন রোজারিও (১৯) হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয় সমাবেশ থেকে।