উন্নয়নকাজের জন্য বন্দরের আয়ের ১ শতাংশ চান শাহাদাতও

পূর্বসূরীদের মতো নগরীর উন্নয়ন কাজের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরের আয়ের এক শতাংশ ‘নগর উন্নয়ন মাশুল’ হিসেবে চান সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন।

মঙ্গলবার অস্থায়ী নগর ভবনে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি বিষয়টি উত্থাপন করেন।

এর আগের চট্টগ্রামের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী একই দাবি উত্থাপন করেছিলেন। তারও আগে আরেক আওয়ামী লীগ নেতা সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনও এক শতাংশ সার্ভিস চার্জের দাবি তুলেছিলেন।

মঙ্গলবারের সাক্ষাতে মেয়র শাহাদাত বলেন, “নগরীর স্বার্থে এ মাশুল নির্ধারণ প্রয়োজন। নগরীতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন যেসব রাস্তা বানায় তা বন্দরের পণ্য পরিবহনে ব্যাপক ভূমিকা রাখে৷ বন্দরের ভারী গাড়িতে এ সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা মেরামত করতে সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আয়ের বড় অংশ চলে যায়।

“বন্দরকে সচল রাখতে ভালো সড়ক নির্মাণে সিটি করপোরেশনের অনেক অর্থের প্রয়োজন৷ বন্দর যদি আয়ের এক শতাংশ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (সিসিসি) দেয় তাহলে সিসিসি অবকাঠামো খাতে আরো ভূমিকা রাখতে পারবে, যা বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে দেশের রাজস্ব আয়ে ভূমিকা রাখবে।”

শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ সিটি করপোরেশনের যে ব্যাপক কার্যক্রম তা কেবল হোল্ডিং ট্যাক্সসহ অল্প কিছু খাতের আয় দিয়ে করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে শাহাদাত বলেন, “এজন্য বন্দরসহ বিভিন্ন খাত থেকে আয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।”

সাক্ষাতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, “পলিথিন কর্ণফুলী নদীর নাব্যতার জন্য বড় হুমকি। কর্ণফুলীকে বাঁচাতে সিসিকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় একটি সামগ্রিক কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন।”

সভায় উপস্থিত ছিলেন সিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি ও বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক।

চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস থেকে 'নগর উন্নয়ন মাশুল' চান মেয়র রেজাউল

'খরচ মেটাতে' বন্দরের কাছে 'চার্জ' চায় চসিক

স্বপ্ন পূরণ কঠিন: সুজন