Published : 10 Jul 2025, 01:14 PM
রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনেক বিষয়ে কাছাকাছি আসা সম্ভব হলেও এখন মৌলিক বিষয়গুলোতে ‘ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন’ বলে মন্তব্য করেছেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ।
আলোচনায় অগ্রগতি হওয়া বিষয়গুলো আগামী সপ্তাহে মিমাংসার জায়গায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১১তম অধিবেশনের সূচনা বক্তব্যে কথা বলছিলেন রীয়াজ।
এ দিনে আলোচনার সূচিতে থাকছে- প্রধান বিচারপতি নিয়োগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং জরুরি অবস্থা ঘোষণা।
আলী রীয়াজ বলেন, "গত কিছুদিনের আলোচনায় আমাদের বেশ কিছু অগ্রগতি হচ্ছে, সেটা লক্ষণীয়। আলোচনায় বেশ কিছু ক্ষেত্রে ঐকমত্যে পৌঁছেছি। অনেক ক্ষেত্রে কাছাকাছি আসছি।
“অনেক বিষয়ে একমত হওয়ার পাশাপাশি আমাদের যেটা দরকার, সেটা হচ্ছে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য মৌলিক বিষয়গুলোতে এক ধরনের ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা। কারণ আমাদের সকলের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য এক। সেগুলো অর্জন করার চেষ্টা করাটাই হচ্ছে আমাদের সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা।"
আলোচনায় ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ না করতে একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের কথা বলা হয়েছে জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, “নাগরিকের অধিকার সুরক্ষার কথা বলছি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা বলছি এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যেন এমন ব্যবস্থা তৈরি করা যায়, যা কোনো অবস্থাতেই এদেশে আবার কোন ফ্যাসিবাদী শাসন তৈরি করতে না পারে সেটা নিশ্চিত করা। এ উদ্দেশ্যগুলোর ব্যাপারে আমরা সবাই একমত। ইন্টেনশন এবং উদ্দেশ্যের দিক থেকে কোন ভিন্নতা নেই। কমিশনের কোন আলাদা উদ্দেশ্য নেই।
"দ্রুততম সময়ের মধ্যে সকলকে নিয়ে যতদূর সম্ভব ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে সকলকে নিয়ে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা। আমরা বারবার বলেছি যে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এই জুলাই মাসের মধ্যেই যেন এই কাজ সম্পন্ন করতে পারি। অনেক বিষয়ে অনেক নিষ্পত্তি হয়নি। তবে আলোচনায় অগ্রগতি হওয়ায় বিষয়গুলোতে আগামী সপ্তাহে মিমাংসার জায়গায় যেতে পারব। সেটাই লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যে। এর বাইরে আসলে আমাদের কারোও কোন উদ্দেশ্য নেই। বিশেষ করে কমিশনের উদ্দেশ্য থাকার কোন কারণ নেই।"
আলী রীয়াজ বলেন, "কারণ কমিশনের দায়িত্ব নিয়েছে আপনাদের (রাজনৈতিক দল) অংশ হিসেবে। আমরা আলাদা কেউ না। আমরা সকলে মিলে এক। ফলে এই জায়গা থেকে আমাদেরকে অগ্রসর হতে হবে।“
রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে যে সহযোগিতা ‘মিলছে’ তা অব্যাহত থাকলে দ্রুত একটি মিমাংসায় পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন আলী রীয়াজ।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান ও আইয়ুব মিয়া বৈঠকে আছেন।
বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, সিপিবিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করছে ঐকমত্য কমিশন।