সাফ উইমেন’স অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ
Published : 10 Jul 2025, 05:44 PM
উইমেন’স এশিয়ান কাপের বাছাই পেরুনোর আত্মবিশ্বাস সঙ্গী। তবে আফঈদা-স্বপ্নাদের পা মাটিতেই রাখার পরামর্শ দিলেন পিটার জেমস বাটলার। সাফ উইমেন’স অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারত না খেললেও বাকি তিন প্রতিপক্ষের উপর থেকে মনোযোগ হারাতে বারণ করলেন বাংলাদেশ কোচ।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শুক্রবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বয়সভিত্তিক এই প্রতিযোগিতা শুরু করবে বাংলাদেশ। এবারের প্রতিযোগিতায় ভারত না খেলায় ঔজ্জ্বল্য কমেছে মেনে নিলেও নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল থাকার কথা বললেন বাংলাদেশ কোচ। শ্রীলঙ্কা, ভুটান ও নেপালের বিপক্ষে নিজেদের মেলে ধরার বার্তা মেয়েদের দিয়েছেন তিনি।
“মিয়ানমার থেকে ফেরার পর থেকে আমরা মূলত খেলোয়াড়দের পা মাটিতে ফিরিয়ে আনতে এবং বিনয়ী রাখতে কাজ করেছি। আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো শৃঙ্খলাবদ্ধ থেকে টুর্নামেন্টের প্রতি মনোযোগ দেওয়া। আমার চোখে খেলোয়াড় গড়ে তোলার জন্য এটি দারুণ একটি টুর্নামেন্ট, তরুণ খেলোয়াড়দের জাত চেনানোর দারুণ এক সুযোগ। তাই আমি মুখিয়ে আছি তারা কী করতে পারে, এটা দেখতে। অবশ্যই আমরা কাউকে হালকাভাবে নিচ্ছি না, সবাইকে সম্মান করছি। জানি, সহজ হবে না।”
“অবশ্যই, ভারত অংশ না নেওয়ায় টুর্নামেন্টের ঔজ্জ্বল্য কিছুটা কমে গেছে, কিন্তু কিছু করার নেই। সম্ভবত অনেকের দৃষ্টি এখন এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্টের দিকে। তবে যেমন আমি বলেছি, সব দলের জন্য খেলোয়াড় গড়ে তোলার গুরুত্বপূর্ণ একটি টুর্নামেন্ট। ভবিষ্যতের তারকাদের তৈরি করার একটি দারুণ সুযোগ।”
এই দলে একাধিক খেলোয়াড় ছিলেন উইমেন’স এশিয়ান কাপের মূল পর্বে ওঠা দলের অংশ। তবে এতে করে আত্মতুষ্টির সুযোগ দেখছেন না বাটলার।
“আসলে আমি যেখানো কোচ থাকি, সেই দলে আত্মতুষ্টির জায়গা নেই। আমি নিশ্চিত করি, তারা যেন বিনয়ী থাকে, পা মাটিতে রাখে ও প্রতিপক্ষকে সম্মান করে। আমি নির্দিষ্ট কাউকে নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করি না। আমাদের দলে সত্যিই বেশ কিছু প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে, যারা কি না উন্নতির যাত্রা শুরু করেছে। আমি নিশ্চিত নেপাল, ভুটান ও শ্রীলঙ্কাও একই পরিস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তারা আসলে এখানে উন্নতি করতে এসেছে।”
“যেকোনো মূল্যে জিততে হবে- আমি এমনটা বিশ্বাস করি না। আমি বিশ্বাস করি এবং আমি নিশ্চিত, এখানে থাকা অন্য কোচরাও একমত হবেন- এই টুর্নামেন্ট তরুণ খেলোয়াড়দের বিকাশ এবং তাদের গেমটাইম দেওয়ার জন্য। যেন তারা পরবর্তীতে সিনিয়র জাতীয় দলে খেলার পথে এগিয়ে যেতে পারে।”
অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার প্রান্তিও বয়সভিত্তিক এই প্রতিযোগিকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না। সতীর্থদের মধ্যে কাউকে দেখছেন না আলাদা চোখে। তার দৃষ্টিতে দলে থাকা সবাই দারুণ।
“আমাদের প্রস্তুতি আলহামদুলিল্লাহ ভালো। খুব বেশি সময় পায়নি মিয়ানমারে এশিয়ান কাপ বাছাই খেলতে যাওয়ার কারণে। তারপরও…আজ সকালেও আমরা অনুশীলন করেছি সবাই একসঙ্গে। আলহামদুলিল্লা ভালো আমাদের প্রস্তুতি। আমার কাছে মনে হয় তিনটা দলই ভালো। প্রত্যেক দলের সঙ্গে আমাদের ভালোভাবে খেলতে হবে। কাউকে দুর্বল ভেবে ছোট করে দেখার কিছু নেই। আমরা তিনটি দলের সঙ্গে লড়াই করব, ভালো খেলব। ইনশাল্লাহ জিতব।”
“আমরা এশিয়ান কাপে গিয়েছি বলে সাফকে ছোট করে দেখব, তা নয়। আমাদের স্বপ্ন ছিল আগে সাফ জিতব পরে এশিয়া। সাফ জেতার পর এশিয়া কাপে গিয়েছি। তাই বলে যে সাফ খেলব না এটা তো হয় না। সাউথ এশিয়ার দেশ আমরা সাউথ এশিয়ায় খেলব। আমাদের দলে স্পেশাল বলে তো কোনো কথা নেই। আমাদের ২৩ জনের স্কোয়াড ২৩ জনই স্পেশাল।”