এশিয়ান কাপ বাছাই
Published : 12 Mar 2025, 09:04 PM
হাভিয়ের কাবরেরার কথার পুনরাবৃত্তি এবার শোনা গেল তিন গোলরক্ষক মিতুল মারমা, মেহেদী হাসান শ্রাবণ ও সুজন হোসেনের কণ্ঠে। দলের প্রতিটি পজিশনে জায়গা পাওয়ার উপভোগ্য লড়াইয়ের কথা তৃপ্তি নিয়ে বলেছিলেন বাংলাদেশ কোচ। এবার তিন গোলরক্ষকও জানালেন, ভারত ম্যাচে পোস্টে দাঁড়াতে অনুশীলনে তাদের মধ্যে দারুণ লড়াই চলছে।
আনিসুর রহমান জিকো অনিয়মিত হয়ে পড়ার পর থেকে কাবরেরার প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক মিতুল। জাতীয় দলের হয়ে অভিজ্ঞতা অল্প হলেও আছে শ্রাবণের। এ দুজনের চেয়ে বয়সে বড় হলেও সুজনের এখনও অভিষেক হয়নি জাতীয় দলে।
এবারের ঘরোয়া লিগের টেবিলে মোহামেডানের শীর্ষে থাকার পেছনে সুজনের অবদান কম নয়। আর আবাহনীর পোস্টে উজ্জ্বল মিতুল; এখন পর্যন্ত লিগে সবচেয়ে কম গোল হজম (২টি) করা দলটি আছে দ্বিতীয় স্থানে।
বয়স মাত্র ১৯ বছর হলেও ৬ ফুট ১ ইঞ্চি উচ্চতার শ্রাবণ দুই সতীর্থের মতো অনুশীলনে চেষ্টার কমতি রাখছেন না। বললেন, সিনিয়রদের চাপে রাখার কাজ তিনি করে যাবেন, নিজের মতো করে।
“সেরা একাদশে খেলার জন্য সব খেলোয়াড়ই চেষ্টা করে জান-প্রাণ দিয়ে। তো আমারও শুরু থেকে ইচ্ছা, আগ্রহ…সবারই জাতীয় দলের সেরা একাদশে খেলার ইচ্ছা থাকে, আমারও ইচ্ছা আছে। যেহেতু মিতুল ভাই বর্তমানে খেলে যাচ্ছে, পেছন থেকে আমি তাকে পুশ করে যাচ্ছি আমার মতো করে। কোচ যখন মনে করবে, আমাকে সেরা একাদশে খেলতে দিবে বা আমি সেরা একাদশে খেলার মতো কাজ করছি, তখন কোচই খেলাবেন আশা করি।”
বয়সের দিক থেকে দুই জুনিয়রকে প্রশংসায় ভাসিয়ে সুজনও বাফুফের মাধ্যমে পাঠানো ভিডিও বার্তায় বললেন, চেষ্টার ত্রুটি রাখছেন না তিনি।
“সৌদি আরবে আমরা যতদিন আছি, আলহামদুলিল্লাহ ভালো অনুশীলন হচ্ছে। এখানকার আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে নিচ্ছি। সবাই জানে, গোলকিপার একজনই খেলে, ওরা (মিতুল ও শ্রাবণ) খুবই ভালো, জুনিয়র হলেও ওদের সাথে লড়াই করতে হচ্ছে। চেষ্টা করব ওদের পেছনে ফেলে যেন আমি খেলতে পারি।”
প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক হলেও সতর্ক মিতুল। আগামী ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপের তৃতীয় রাউন্ডের বাছাইয়ের ম্যাচে জায়গা পাওয়া নিশ্চিত ধরে নিচ্ছেন না তিনি।
“এখানে যে পরিবেশে আমরা অনুশীলন করছি, সেটা আমাদের জন্য খুবই ভালো। যেহেতু শিলংয়ে খেলা, আমরাও এখানে একই আবহাওয়ায় অনুশীলন করার চেষ্টা করছি। আমি মনে করি, এটা আমাদের জন্য ইতিবাচক দিক।”
“আমাদের মূল টার্গেট যেহেতু ভারত, আমরা তাদের দুর্বল দিকগুলো নিয়ে কাজ করছি। কী করলে আমাদের জন্য ইতিবাচক হবে, তা নিয়ে কাজ করছি। কেবল গোলকিপার পজিশন নয়, দলে প্রতিটি পজিশন নিয়েই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। যারা গোলকিপার আছে আমার সাথে, ওরা দুজনেই ভালো। খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিস্থিতি ফেইস করছি। আমরা সবাই প্রস্তুত।”