সাফ উইমেন’স অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ
Published : 09 Jul 2025, 10:02 PM
ভারত সরে দাঁড়ানোয় সাফ উইমেন’স অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের শিরোপা সম্ভাবনা জোরাল হয়েছে আরও। ঘরের মাঠে বয়সভিত্তিক এই টুর্নামেন্টে আবারও সেরা হওয়ার লক্ষ্য জোর দিয়ে জানিয়েছেন অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার প্রান্তি।
প্রথমবারের মতো বয়সভিত্তিক দলে কোচের দায়িত্ব পালন করবেন পিটার জেমস বাটলার। তিনি আসরটিকে দেখছেন নতুনদের পরখ করে নেওয়ার মঞ্চ হিসেবে।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শুক্রবার শুরু হবে চার দলের এই টুর্নামেন্ট। নির্দিষ্ট কোনো কারণ না জানিয়েই সরে দাঁড়িয়েছে ভারত। নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশকে নিয়ে রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে হচ্ছে এবারের প্রতিযোগিতা। সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট পাওয়া দল হবে চ্যাম্পিয়ন।
উদ্বোধনী দিনেই শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। মিয়ানমারে সর্বশেষ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে গ্রুপ সেরা হয়ে মূল পর্বে ওঠা দল থেকে বয়সভিত্তিক এই দলে সুযোগ পেয়েছেন ৮ ফুটবলার-আফঈদা, মোসাম্মৎ সাগরিকা, মুনকি আক্তার, স্বপ্না রানী, স্বর্ণা রানী মন্ডল, জয়নব বিবি রিতা, মিলি আক্তার ও উমহেলা মারমা।
বুধবার সংবাদ সম্মেলনে আফঈদা প্রত্যয়ী কণ্ঠে শোনালেন, মিয়ানমারের মতো এখানেও ছুটতে চান সাফল্যের পথে।
“এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করার পর আমরা যদিও এই দলের সঙ্গে অনুশীলন করার বেশি সময় পাইনি। যে কদিন অনুশীলন করেছি, কোচ আমাদের যেভাবে বলেছেন সেভাবে অনুশীলনের চেষ্টা করেছি। ২০২৩ সালে এই টুর্নামেন্টে আমরা চ্যাম্পিয়ন। এখানে ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা কাউকে ছোট করে দেখার উপায় নেই। ওরাও ভালো খেলে। তবে আমরাও ম্যাচ বাই ম্যাচ জিতে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পেতে চাই, যেন চ্যাম্পিয়ন হতে পারি আমরাই।”
বয়সভিত্তিক এই দলে নবিরন খাতুন, সুরমা জান্নাত, কানন রানী বাহাদুর, অয়ন্ত বালা মাহাতো, পূজা দাসের মতো সম্ভাবনাময় নতুনও আছেন। বাটলার তাদের পরখ করে নেওয়ার দিকেই গুরুত্ব দিতে চান বেশি।
“এই মেয়েরা সবাই দায়িত্ববান। এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে দুর্দান্ত খেলেছে। তাদেরই বেশিরভাগ এখানে খেলবে। মেয়েরা প্রস্তুত। গত কিছু দিন ওরা দারুণ অনুশীলন করেছে। আশা করি, এখানে আমরা ভালো কিছুই উপহার দিব। তবে সবাই হয়তো জয় নিতে ভাবছে, কিন্তু আমি সেভাবে ভাবছি না। আমার কাছে এটা নতুন খেলোয়াড়দের পরখ করার ও সুযোগ দেওয়ার একটা চমৎকার মঞ্চ।”
“আমাদের মেয়েদের ফুটবল খেলার ধরণ সত্যি প্রচুর লোকের বিস্মিত করেছে। এদের ওপর আমার গভীর আস্থা রয়েছে, যেটা এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সফল হতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আমি নেপাল, ভুটানের খেলা খুব বেশি দেখিনি। তবে প্রতিপক্ষকে সমীহ করছি। পরিস্থিতি অনুসারে আমরা কৌশল পরিবর্তন করব ম্যাচে।”