Published : 18 Oct 2022, 04:40 PM
বুটজোড়া তুলে রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন মাসের শুরুতে। সিদ্ধান্তে কোনো বদল আসেনি। প্রিয় ফুটবলকে বিদায় বলে দিলেন গনসালো হিগুয়াইন। শেষটা ভালো না হওয়ার বিষাদ সঙ্গী করে বিদায় বেলায় বললেন-স্বপ্নের এখানেই শেষ।
৩৪ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন শেষবারের মতো ইন্টার মায়ামির হয়ে মেজর লিগ সকারের প্লে-অফে খেলতে নামেন সোমবার নিউ ইয়র্ক সিটির বিপক্ষে। বর্ণিল ক্যারিয়ারের শেষটা জয়ে রঙিন হয়নি; বরং সঙ্গী হয়েছে ৩-০ গোলের হারের হতাশা।
রিয়াল মাদ্রিদ, নাপোলি, ইউভেন্তুস, এসি মিলান ও চেলসি ঘুরে সবশেষ ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিয়েছিলেন হিগুয়াইন। কিন্তু এই দলটির হয়ে সাফল্য পেলেন না তিনি।
বিদায় বেলায় অবশ্য শেষ ম্যাচের ফলের চেয়ে হিগুয়াইনকে ফুটবল মাঠের পুরান দিনের স্মৃতি জেঁকে ধরল বেশি। সাফল্যে মোড়ানো ক্লাব ক্যারিয়ার, নানা বাঁকের ছবি ভেসে ওঠার কথা অশ্রুসিক্ত চোখে বললেন তিনিও।
“সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতাম যে কাজটি, আজ সেটাই শেষ হয়ে গেল -এমনটা অনুভব হচ্ছে। এটা (ফুটবল) ছিল আমার জীবনের অর্ধাংশ। আমরা ক্যারিয়ার, সাড়ে ১৭ বছরের।”
“পুরো ক্যারিয়ারের নানা ছবি মনে ভর করেছে। এতদিন যেভাবে জীবনটা কেটেছে, যা কিছু করেছি, যেসব অভিজ্ঞতা হয়েছে..সবকিছু (মনে পড়ছে) এবং এখন আমি আনন্দ চিত্তে চলে যাচ্ছি। কেননা, শেষ দিন পর্যন্ত সবটুকু নিংড়ে দিয়েছি এবং এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ…। স্বপ্ন শেষ এবং আরেকটি জীবনের শুরু।”
আর্জেন্টিনার রিভার প্লেটে ক্লাব ক্যারিয়ার শুরু করা হিগুয়াইন ২০২০ সালে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার আগে খেলেন রিয়াল, নাপোলি ও ইউভেন্তুস। ক্লাব ক্যারিয়ারে তার গোল ৩০০-এর বেশি এবং আর্জেন্টিনার হয়ে ৩১টি।
রিয়ালের জার্সিতে তিনবার লা লিগার শিরোপার স্বাদ পেয়েছেন হিগুয়াইন। ইউভেন্তুসে থাকাকালীন সেরি আ ট্রফিও জিতেছেন তিন বার। আর্জেন্টিনাকে শিরোপা এনে দিতে না পারার ব্যর্থতা সঙ্গী হলেও ক্যারিয়ার জুড়ে হিগুয়াইন পরিচিত ছিলেন একজন ‘ভালো মানুষ’ হিসেবে। দিন শেষে এটাই তার সবচেয়ে বড় পাওয়া বললেন তিনি।
ভবিষ্যৎ ভাবনাও জানিয়েছেন হিগুয়াইন। ক্রীড়াঙ্গণে ভবিষ্যতে খেলোয়াড়দের মানসিক দিক নিয়ে কাজ করতে চান তিনি।
“খেলাধুলায় এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একজন খেলোয়াড়ের সবরকম দক্ষতা ও মেধা থাকতে পারে, কিন্তু তার মানসিক অবস্থা ঠিক না থাকলে ওগুলো খুব একটা কাজে আসে না।”